সংশোধনী নয়, জনগণই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ- প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের জনসভায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী নির্বাচন ও সংবিধান সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন, যা আলোচনার দাবি রাখে। কাউকে সংবিধান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলে তিনি যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত করার কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কঠিন সত্য হলো, যাঁদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত, তাঁরা সঠিক পন্থা অবলম্বন না করলে কোনো বিধান বা সংশোধনীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হতে পারে না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিধান ২০০৭ সালের নির্ধারিত নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারেনি, বরং এক-এগারোর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়েছিল।
পঞ্চদশ সংশোধনীর বেলায় আমাদের একই বক্তব্য। উচ্চ আদালতের রায় এবং পঞ্চদশ সংশোধনী সত্ত্বেও আগামী নির্বাচন সম্পর্কে সরকার ও বিরোধী দলকে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে। অতীতে ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচন কমিশনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের মন্দ নজির না দেখালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালুর প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তা আইনজ্ঞরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচনের বিধান ছিল।
সব দলেরই উদ্দেশ্য যদি হয় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পছন্দসই প্রতিনিধি তথা সরকার বেছে নেওয়া, তা হলে কোনো পক্ষেরই অনড় অবস্থান নেওয়া চলে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান খুঁজতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা বললেও নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন করার ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্বাচিত সরকারের অধীনে যে জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং সব দল অংশ নেবে, তার নিশ্চয়তা কী?
ক্ষমতাসীনদের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে ২০০৭ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিচক্ষণতার পরিচয় না দিলে সংবিধানের কোনো সংশোধনীই গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে না। সরকারকে এমন একটি অভয় পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে বিরোধী দলের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে।
পঞ্চদশ সংশোধনীর বেলায় আমাদের একই বক্তব্য। উচ্চ আদালতের রায় এবং পঞ্চদশ সংশোধনী সত্ত্বেও আগামী নির্বাচন সম্পর্কে সরকার ও বিরোধী দলকে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে। অতীতে ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচন কমিশনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের মন্দ নজির না দেখালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালুর প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তা আইনজ্ঞরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচনের বিধান ছিল।
সব দলেরই উদ্দেশ্য যদি হয় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পছন্দসই প্রতিনিধি তথা সরকার বেছে নেওয়া, তা হলে কোনো পক্ষেরই অনড় অবস্থান নেওয়া চলে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান খুঁজতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা বললেও নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন করার ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্বাচিত সরকারের অধীনে যে জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং সব দল অংশ নেবে, তার নিশ্চয়তা কী?
ক্ষমতাসীনদের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে ২০০৭ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিচক্ষণতার পরিচয় না দিলে সংবিধানের কোনো সংশোধনীই গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে না। সরকারকে এমন একটি অভয় পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে বিরোধী দলের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে।
No comments