গার্মেন্টশিল্প খাতে নিরাপত্তা-বিদেশি চাপ ছাড়াই উন্নতি প্রয়োজন
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাগাদা এসেছে, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নত করার জন্য। তাদের কাছ থেকে অনেক আগেই গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিক ও উৎপাদন সহায়তার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম চালুর তাগাদা এসেছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন। তাঁদের এই তাগাদা এই শিল্পের কল্যাণে এবং বাংলাদেশেরই স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করি। যদিও এই স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশের এই শিল্প খাতে উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করার মতো। যার পরিণামে তাজরীন ফ্যাশনসে মর্মান্তিক প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। আর এ দুর্ঘটনা যে শুধু তাজরীনেই ঘটেছে তাও নয়। গত এক দশকে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হওয়া প্রমাণ করে, বাংলাদেশ গার্মেন্টশিল্প প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কতটা পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ যেখানে গার্মেন্টনির্ভর, সেখানে এই খাতের উন্নয়নে কেন এত অনীহা তা গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। এর আগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখানে শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য তাগাদা ছিল। এটাও দেশের প্রয়োজনেই প্রযোজ্য ছিল। বহু তাগাদার পর এই খাতে বেশ উন্নতি হলেও শ্রমিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা হয়নি। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারও এখনো নিশ্চিত হয়নি। এতে করে এই শিল্প খাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলেও বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু পোশাকশিল্প মালিকদের মানসিকতা অন্তত ট্রেড ইউনিয়নের বিপক্ষে সব সময়ই কার্যকর। তাঁরা যে কারণ দেখিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম চালু করতে দিচ্ছেন না, তার পেছনে যুক্তি অবশ্যই দুর্বল। তাঁদের ভয় ট্রেড ইউনিয়ন চালু হলে শ্রম অসন্তোষ বেড়ে যাবে; কিন্তু এখন ট্রেড ইউনিয়ন না থাকার পরও কি আশুলিয়ার মতো বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক অসন্তোষ থেমে আছে? ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে বরং এই অসন্তোষ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। তখন একটি কর্তৃপক্ষ থাকবে, যাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পথ পাওয়া যাবে। এখন যেমন উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন সেই পরিস্থিতি থাকবে না। শ্রমিকরাও এখনকার মতো দু-তিন মাসের বেতন বাকি থাকার ভয়ে থাকবে না। শ্রমিক নিরাপত্তার মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টিও জড়িত। শুধু তা-ই নয়, শ্রমিকের পারিশ্রমিকের সঙ্গে উৎপাদনেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এটাও মালিকদের সবাই ভালো করেই জানেন। তাই ট্রেড ইউনিয়নব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে উৎপাদনব্যবস্থার বৈপরীত্য আছে বলে যে ভুল ধারণা চালু আছে, তা পরিহার করা উচিত।
এই পরিস্থিতিতে বিদেশিদের তাগাদার আগে বাংলাদেশের গার্মেন্টশিল্প মালিকদেরই উদ্যোগী হওয়া দরকার। কারণ এর সঙ্গে আমাদের দেশের স্বার্থ জড়িত। আমাদের স্বার্থ আমাদেরই সংরক্ষণ করতে হবে।
বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ যেখানে গার্মেন্টনির্ভর, সেখানে এই খাতের উন্নয়নে কেন এত অনীহা তা গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। এর আগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখানে শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য তাগাদা ছিল। এটাও দেশের প্রয়োজনেই প্রযোজ্য ছিল। বহু তাগাদার পর এই খাতে বেশ উন্নতি হলেও শ্রমিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা হয়নি। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারও এখনো নিশ্চিত হয়নি। এতে করে এই শিল্প খাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলেও বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু পোশাকশিল্প মালিকদের মানসিকতা অন্তত ট্রেড ইউনিয়নের বিপক্ষে সব সময়ই কার্যকর। তাঁরা যে কারণ দেখিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম চালু করতে দিচ্ছেন না, তার পেছনে যুক্তি অবশ্যই দুর্বল। তাঁদের ভয় ট্রেড ইউনিয়ন চালু হলে শ্রম অসন্তোষ বেড়ে যাবে; কিন্তু এখন ট্রেড ইউনিয়ন না থাকার পরও কি আশুলিয়ার মতো বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক অসন্তোষ থেমে আছে? ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে বরং এই অসন্তোষ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। তখন একটি কর্তৃপক্ষ থাকবে, যাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পথ পাওয়া যাবে। এখন যেমন উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন সেই পরিস্থিতি থাকবে না। শ্রমিকরাও এখনকার মতো দু-তিন মাসের বেতন বাকি থাকার ভয়ে থাকবে না। শ্রমিক নিরাপত্তার মধ্যে পারিশ্রমিকের বিষয়টিও জড়িত। শুধু তা-ই নয়, শ্রমিকের পারিশ্রমিকের সঙ্গে উৎপাদনেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এটাও মালিকদের সবাই ভালো করেই জানেন। তাই ট্রেড ইউনিয়নব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে উৎপাদনব্যবস্থার বৈপরীত্য আছে বলে যে ভুল ধারণা চালু আছে, তা পরিহার করা উচিত।
এই পরিস্থিতিতে বিদেশিদের তাগাদার আগে বাংলাদেশের গার্মেন্টশিল্প মালিকদেরই উদ্যোগী হওয়া দরকার। কারণ এর সঙ্গে আমাদের দেশের স্বার্থ জড়িত। আমাদের স্বার্থ আমাদেরই সংরক্ষণ করতে হবে।
No comments