মুন্সিগঞ্জে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননকাজ আবার শুরু
বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননকাজ তৃতীয়বারের মতো গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুরে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় এই খনন ও অনুসন্ধান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
রঘুরামপুরে খননকাজ উদ্বোধন উপলক্ষে বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননকাজের প্রকল্প পরিচালক এবং অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূহ-উল আলম লেনিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম, পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান, বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননকাজের গবেষণা পরিচালক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গওহর রিজভী বলেন, বিক্রমপুরে প্রত্নতত্ত্বের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই খননকাজের মাধ্যমে আরও অনেক অজানা কিছু বেরিয়ে আসবে। তিনি খননকাজে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আরও বলেন, দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই বিচারকাজ দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ শুরু হয়। গত দুই বছরে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান, খনন ও গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। দুই বছরে খননের মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থান ও প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। সুখবাসপুর, রঘুরামপুর, বজ্রযোগিনী, গুহপাড়া, খানকা, মীরবাড়ি প্রভৃতি গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন পরিচালনা করে আবিষ্কৃত হয়েছে বৌদ্ধবিহারের অংশ, পোড়ামাটির শিল্পকর্ম, পাথরের স্ল্যাব, পাথরের নিদর্শনের ভেঙে যাওয়া টুকরো, কিছু ধাতব নিদর্শন, প্রাচীন নৌকাসহ বিভিন্ন জিনিস।
অনুষ্ঠানে দর্শকদের জন্য প্রত্নবস্তু প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গওহর রিজভী এসব প্রত্নবস্তু ঘুরে দেখেন। প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননকাজের অংশ নিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের স্থাপত্য বিভাগ, ভূতত্ত্ব অধিদপ্তর ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাবেক গবেষকেরা এবং ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’-এর গবেষকেরা। বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননে (২০১২-১৩) আংশিক অর্থায়ন করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে গওহর রিজভী বলেন, বিক্রমপুরে প্রত্নতত্ত্বের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই খননকাজের মাধ্যমে আরও অনেক অজানা কিছু বেরিয়ে আসবে। তিনি খননকাজে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আরও বলেন, দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই বিচারকাজ দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ শুরু হয়। গত দুই বছরে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান, খনন ও গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। দুই বছরে খননের মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থান ও প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। সুখবাসপুর, রঘুরামপুর, বজ্রযোগিনী, গুহপাড়া, খানকা, মীরবাড়ি প্রভৃতি গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন পরিচালনা করে আবিষ্কৃত হয়েছে বৌদ্ধবিহারের অংশ, পোড়ামাটির শিল্পকর্ম, পাথরের স্ল্যাব, পাথরের নিদর্শনের ভেঙে যাওয়া টুকরো, কিছু ধাতব নিদর্শন, প্রাচীন নৌকাসহ বিভিন্ন জিনিস।
অনুষ্ঠানে দর্শকদের জন্য প্রত্নবস্তু প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গওহর রিজভী এসব প্রত্নবস্তু ঘুরে দেখেন। প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননকাজের অংশ নিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের স্থাপত্য বিভাগ, ভূতত্ত্ব অধিদপ্তর ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাবেক গবেষকেরা এবং ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’-এর গবেষকেরা। বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খননে (২০১২-১৩) আংশিক অর্থায়ন করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
No comments