আসাদকে সরানোর পথ খুঁজছে জাতিসংঘ!
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করেছেন লাখদার ব্রাহিমি। সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ এই দূত যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়েই এ কাজে হাত দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে এ উদ্দেশ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও করেছেন তিনি।
এরই মধ্যে সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল শুক্রবার তুরস্কে যান জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। সহিংসতা বন্ধে করণীয় নিয়ে তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করেন। তুরস্কে সিরীয় শরণার্থী শিবিরও ঘুরে দেখেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ডাবলিনের একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রাহিমি। ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ারকে সিরিয়াবিষয়ক শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমাধানে পৌঁছাতে চান তিনি। বৈঠক শেষে ব্রাহিমি জানান, 'গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে।
গত জুনেও এ রকম একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ বিদ্রোহীদের দমনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের আশা, ব্রাহিমির উদ্যোগকে সমর্থন করবে সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। ডাবলিনের বৈঠক শেষ করেই সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো যাওয়ার কথা ছিল ব্রাহিমির।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়া বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমঝোতায় পৌঁছাতে চান ব্রাহিমি। যার মাধ্যমে আসাদকে হটিয়ে সিরিয়ায় ২০ মাস ধরে চলা সহিংসতার অবসান সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি আবারও মার্কিন ও রুশ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহিমি।
আসাদ সামরিক বাহিনীকে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন_এ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র আগেই সিরীয় সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। হিলারি আনুষ্ঠানিকভাবেই আসাদবিরোধীদের সমর্থন দিয়েছেন। ব্রিটেনও বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছে। তারা বিদ্রোহীদের 'বাস্তবসম্মত সমর্থন' দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে। তবে রাশিয়া এখনো আলোচনার মা্যধমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। বল প্রয়োগের মাধ্যমে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিপক্ষে তারা। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র চায় বিরোধীরা সিরিয়ার ক্ষমতায় আসুক, যাতে করে তারা ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে পারে।
সিরিয়ার বিরোধী দলগুলো অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এর আগে তারা নিজেরাই আলোচনার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আসাদ-পরবর্তী সময়ে কে বা কারা সিরিয়ার ক্ষমতায় আসবে, সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক মহল কিভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও ইসলামী উগ্রপন্থীদের তৎপরতা দমন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি।
এরই মধ্যে সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল শুক্রবার তুরস্কে যান জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। সহিংসতা বন্ধে করণীয় নিয়ে তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করেন। তুরস্কে সিরীয় শরণার্থী শিবিরও ঘুরে দেখেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ডাবলিনের একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রাহিমি। ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ারকে সিরিয়াবিষয়ক শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমাধানে পৌঁছাতে চান তিনি। বৈঠক শেষে ব্রাহিমি জানান, 'গঠনমূলক' আলোচনা হয়েছে।
গত জুনেও এ রকম একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ বিদ্রোহীদের দমনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের আশা, ব্রাহিমির উদ্যোগকে সমর্থন করবে সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। ডাবলিনের বৈঠক শেষ করেই সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো যাওয়ার কথা ছিল ব্রাহিমির।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়া বিষয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমঝোতায় পৌঁছাতে চান ব্রাহিমি। যার মাধ্যমে আসাদকে হটিয়ে সিরিয়ায় ২০ মাস ধরে চলা সহিংসতার অবসান সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি আবারও মার্কিন ও রুশ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহিমি।
আসাদ সামরিক বাহিনীকে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন_এ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র আগেই সিরীয় সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। হিলারি আনুষ্ঠানিকভাবেই আসাদবিরোধীদের সমর্থন দিয়েছেন। ব্রিটেনও বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছে। তারা বিদ্রোহীদের 'বাস্তবসম্মত সমর্থন' দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে। তবে রাশিয়া এখনো আলোচনার মা্যধমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। বল প্রয়োগের মাধ্যমে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিপক্ষে তারা। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র চায় বিরোধীরা সিরিয়ার ক্ষমতায় আসুক, যাতে করে তারা ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে পারে।
সিরিয়ার বিরোধী দলগুলো অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এর আগে তারা নিজেরাই আলোচনার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আসাদ-পরবর্তী সময়ে কে বা কারা সিরিয়ার ক্ষমতায় আসবে, সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক মহল কিভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও ইসলামী উগ্রপন্থীদের তৎপরতা দমন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি।
No comments