কে দেবে জনগণের ক্ষতিপূরণ by শাহীন হাসনাত
বাংলা ভাষায় একটি বহুল প্রচলিত প্রবচন হলো_ 'তেইল্লার মাথায় তেল দেওন।' অর্থাৎ যার মাথায় তেল আছে তার মাথায় তেলের ব্যবস্থা করা, যার খাবার আছে তাকেই খাবার দেওয়া। যেন সে এর ভালো বিনিময় দিতে পারে। যার নেই তাকে দিয়ে তো লাভ নেই। কারণ সে তো বিনিময় দিতে পারবে না।
৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জামায়াতের ডাকা হরতাল সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। হরতালে তারা অগি্নসংযোগ করেছে পুলিশের গাড়িসহ শতাধিক গাড়িতে। পিকেটারদের হামলায় গাড়ির যাত্রীসহ অনেক নিরীহ পথচারীও আহত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবলীলা থেকে রেহাই পায়নি বিদেশি দূতাবাসের গাড়ি। হরতাল চলাকালে মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়িতে হামলা করেছে তারা। হামলায় গাড়ির ড্রাইভারসহ আরোহী কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে জামায়াতে ইসলামী এ ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করে গাড়িতে হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জামায়াতের এ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাটাই মনে হয়েছে, তেল মাথায় তেল দেওয়ার ব্যবস্থা। সারাদেশে তারা শত শত গাড়ি ভাংচুর করেছে, আগুন দিয়েছে_ তার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেনি, এর দায়িত্বও স্বীকার করেনি, এসবের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেনি। বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির বিষয়ে। অথচ যে দেশে তারা রাজনীতি করে, যাদের ভোটে তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, যাদের ভাগ্যোন্নয়নের (!) কথা বলে দলে কর্মী ভেড়ায়, যে দেশ রক্ষার কথা বলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ক্ষমতার স্বাদ নেয়, সে দেশের জনগণের শত শত গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দিলেও তাদের জন্য কোনো দুঃখবোধ নেই, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব নেই_ এ কোন মানসিকতার পরিচায়ক? দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এমন নির্লজ্জ তোয়াজনীতি আর যাই হোক দেশের জনগণের জন্য সম্মানজনক নয়। অবশ্য জামায়াত সর্বদাই দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে, স্বাধিকারের বিরুদ্ধে লড়তে অভ্যস্ত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে মুক্তিকামী জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আসলে জামায়াতের রাজনীতিতে দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ, দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি বলে কিছু নেই। আছে শুধু প্রভুদের খুশি করার এজেন্ডা। যার জন্য দেশের জনগণ ছেড়ে বিদেশ তোয়াজে তারা ব্যতিব্যস্ত। জামায়াতের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, কোনো বিদেশি শক্তি নয়, এ দেশের জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে যেভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে রায় দিয়েছে, প্রয়োজনে জামায়াত নিষিদ্ধেরও দাবি তুলে তা বাস্তবায়ন করতে পিছপা হবে না। সুতরাং দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এদেশে রাজনীতি করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ কোনো তল্পিবাহক গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
হরতালের মতো কর্মসূচি নিয়ে যেখানে দেশের জনগণ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তখন হরতাল দিয়ে সারাদেশে একটি অস্থিতিশীল ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, বিদেশি দূতাবাসের গাড়িতে হামলা করে তালেবানি স্টাইলে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করা কোন রাজনীতির অংশ? জামায়াত-শিবিরের নেতারা যদি সত্যিই মনে করে থাকেন এভাবে গাড়ি ভাংচুর, অগি্নসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও আসলেই ঠিক নয়, তাহলে শুধু মার্কিন দূতাবাসের গাড়িতে হামলার জন্য দায় স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ কেন? ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব কেন? সারাদেশের শত শত গাড়িতে হামলার জন্য, অগি্নসংযোগের জন্য, সম্পদ নষ্টের জন্য, জীবনহানির জন্য দায় স্বীকার করুন, তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করুন, দুঃখ প্রকাশ করুন, তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন।
জামায়াতের এ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাটাই মনে হয়েছে, তেল মাথায় তেল দেওয়ার ব্যবস্থা। সারাদেশে তারা শত শত গাড়ি ভাংচুর করেছে, আগুন দিয়েছে_ তার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেনি, এর দায়িত্বও স্বীকার করেনি, এসবের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেনি। বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির বিষয়ে। অথচ যে দেশে তারা রাজনীতি করে, যাদের ভোটে তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, যাদের ভাগ্যোন্নয়নের (!) কথা বলে দলে কর্মী ভেড়ায়, যে দেশ রক্ষার কথা বলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ক্ষমতার স্বাদ নেয়, সে দেশের জনগণের শত শত গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দিলেও তাদের জন্য কোনো দুঃখবোধ নেই, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব নেই_ এ কোন মানসিকতার পরিচায়ক? দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এমন নির্লজ্জ তোয়াজনীতি আর যাই হোক দেশের জনগণের জন্য সম্মানজনক নয়। অবশ্য জামায়াত সর্বদাই দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে, স্বাধিকারের বিরুদ্ধে লড়তে অভ্যস্ত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে মুক্তিকামী জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আসলে জামায়াতের রাজনীতিতে দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ, দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি বলে কিছু নেই। আছে শুধু প্রভুদের খুশি করার এজেন্ডা। যার জন্য দেশের জনগণ ছেড়ে বিদেশ তোয়াজে তারা ব্যতিব্যস্ত। জামায়াতের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, কোনো বিদেশি শক্তি নয়, এ দেশের জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে যেভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে রায় দিয়েছে, প্রয়োজনে জামায়াত নিষিদ্ধেরও দাবি তুলে তা বাস্তবায়ন করতে পিছপা হবে না। সুতরাং দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এদেশে রাজনীতি করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ কোনো তল্পিবাহক গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
হরতালের মতো কর্মসূচি নিয়ে যেখানে দেশের জনগণ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তখন হরতাল দিয়ে সারাদেশে একটি অস্থিতিশীল ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, বিদেশি দূতাবাসের গাড়িতে হামলা করে তালেবানি স্টাইলে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করা কোন রাজনীতির অংশ? জামায়াত-শিবিরের নেতারা যদি সত্যিই মনে করে থাকেন এভাবে গাড়ি ভাংচুর, অগি্নসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও আসলেই ঠিক নয়, তাহলে শুধু মার্কিন দূতাবাসের গাড়িতে হামলার জন্য দায় স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ কেন? ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব কেন? সারাদেশের শত শত গাড়িতে হামলার জন্য, অগি্নসংযোগের জন্য, সম্পদ নষ্টের জন্য, জীবনহানির জন্য দায় স্বীকার করুন, তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করুন, দুঃখ প্রকাশ করুন, তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন।
No comments