এফডিআই নিয়ে ভোট-রাজ্যসভায়ও জয়ী কংগ্রেস
ভারতে খুচরা ব্যবসায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) নিয়ে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতেও জয়ী হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকার। গতকাল শুক্রবার ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় এফডিআইয়ের পক্ষে ১২৩টি এবং বিপক্ষে ১০৯ ভোট পড়েছে।
গত বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়ও এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটিতে ইউপিএ জয়ী হয়েছে।
এ জয়কে অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের জন্য বড় ধরনের সাফল্য বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রায় চার দিন বিতর্কের পর গতকাল রাজ্যসভায় এফডিআই নিয়ে ভোট হয়। শচীন টেন্ডুলকার খেলার জন্য কলকাতায় অবস্থান করায় ভোট দিতে পারেননি। আর ভোট শুরুর কয়েক মিনিট আগেই মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির (এসপি) ৯ সদস্য ওয়াকআউট করেন।
প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিসহ (বিজেপি) বাম দলগুলো শুরু থেকেই এফডিআইয়ের তীব্র বিরোধিতা করছিল। তাদের দাবি, এফডিআই বাস্তবায়নের ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এর দরকার আছে বলে যুক্তি দেয় সরকার। লোকসভায় বিরোধী দলগুলো এফডিআই বাতিলের দাবি জানায়। শুরুতে এফডিআই নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক ও ভোটে রাজি ছিল না সরকার। পরে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সমর্থন নিশ্চিত হওয়ার পর কংগ্রেস এতে সম্মত হয়। গত বুধবার ৫৪৩ সদস্যদের লোকসভায় এফডিআইয়ের পক্ষে ২৫৩টি ও বিপক্ষে ২১৮টি ভোট পড়ে।
গতকাল রাজ্যসভায় এফডিআই নিয়ে ইউপিএ জোটের এমপিদের সঙ্গে বিরোধীদের ব্যাপক বিতর্ক হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা পার্লামেন্টকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন। এ কারণে তাঁর কাছে ক্ষমাও দাবি করে বিরোধীরা। জবাবে আনন্দ বলেন, 'সরকার কৃষক, ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছে। মন্ত্রিসভায় আলোচনা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সুপারিশ বিবেচনার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় বিরোধী এমপিদের হৈচৈয়ের কারণে এক ঘণ্টা অধিবেশন মুলতবি রাখা হয়।
মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে সরকার আগেই এফডিআই বাস্তবায়নের পথ পরিষ্কার করে রেখেছিল। পার্লামেন্টে জয় পাওয়ায় এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হলো। সূত্র : পিটিআই।
এ জয়কে অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের জন্য বড় ধরনের সাফল্য বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রায় চার দিন বিতর্কের পর গতকাল রাজ্যসভায় এফডিআই নিয়ে ভোট হয়। শচীন টেন্ডুলকার খেলার জন্য কলকাতায় অবস্থান করায় ভোট দিতে পারেননি। আর ভোট শুরুর কয়েক মিনিট আগেই মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির (এসপি) ৯ সদস্য ওয়াকআউট করেন।
প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিসহ (বিজেপি) বাম দলগুলো শুরু থেকেই এফডিআইয়ের তীব্র বিরোধিতা করছিল। তাদের দাবি, এফডিআই বাস্তবায়নের ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এর দরকার আছে বলে যুক্তি দেয় সরকার। লোকসভায় বিরোধী দলগুলো এফডিআই বাতিলের দাবি জানায়। শুরুতে এফডিআই নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক ও ভোটে রাজি ছিল না সরকার। পরে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সমর্থন নিশ্চিত হওয়ার পর কংগ্রেস এতে সম্মত হয়। গত বুধবার ৫৪৩ সদস্যদের লোকসভায় এফডিআইয়ের পক্ষে ২৫৩টি ও বিপক্ষে ২১৮টি ভোট পড়ে।
গতকাল রাজ্যসভায় এফডিআই নিয়ে ইউপিএ জোটের এমপিদের সঙ্গে বিরোধীদের ব্যাপক বিতর্ক হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা পার্লামেন্টকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন। এ কারণে তাঁর কাছে ক্ষমাও দাবি করে বিরোধীরা। জবাবে আনন্দ বলেন, 'সরকার কৃষক, ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছে। মন্ত্রিসভায় আলোচনা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সুপারিশ বিবেচনার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় বিরোধী এমপিদের হৈচৈয়ের কারণে এক ঘণ্টা অধিবেশন মুলতবি রাখা হয়।
মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে সরকার আগেই এফডিআই বাস্তবায়নের পথ পরিষ্কার করে রেখেছিল। পার্লামেন্টে জয় পাওয়ায় এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হলো। সূত্র : পিটিআই।
No comments