বিবিসির বিশ্লেষণ- মিসরে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সময়সাপেক্ষ
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিসর এখন গণবিক্ষোভে উত্তাল। দেশটির সরকারের জন্য এটি একটি বড় বাধা। দেশটিতে প্রকৃত গণতান্ত্রিক উত্তরণ এখনো সময়সাপেক্ষ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী মন্ত্রী পি জে ক্রাউলির মতে, স্বৈরশাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণের বিষয়টি কতটা কঠিন তা মিসরের গত দুই সপ্তাহের ঘটনাবলি থেকে স্পষ্ট হয়েছে। দেশটির বর্তমান অস্থিরতা, বিক্ষোভ, প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্ব, গণমাধ্যমের ভূমিকা, বিপুল প্রত্যাশা প্রভৃতির সমন্বয়ে অগ্রগতির সম্ভাবনা আশা করা যায়। তবে রাতারাতিই যে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটবে, এমনটা প্রত্যাশার সময় এখনো আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের উপমন্ত্রী উইলিয়াম জে বার্নস ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সম্মেলনে বলেন, সরলপথে ইতিহাসের অগ্রগতি খুব কমই দেখা যায়। মিসরও এ থেকে ব্যতিক্রম নয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কূটনৈতিক সাফল্য পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুরসি। কিন্তু তারপরই তিনি নিজের নির্বাহী ক্ষমতা বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিশেষ আদেশ (ডিক্রি) জারি করেন। অস্পষ্ট ও ‘সময়ের অনুপযোগী’ ডিক্রিটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। মুরসির মুখপাত্র পরে অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ডিক্রিটি কেবল ‘সার্বভৌম বিষয়াবলি’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
মুরসির বর্তমান কর্মকাণ্ড একজন অনভিজ্ঞ রাজনীতিকের মতোই। যে উদারপন্থী রাজনীতিকদের আহ্বানে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, সেই রাজনীতিকেরাই এখন মুরসির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন বিচারকেরাও।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মুরসির স্বৈরাচারী মনোভাবই তাঁর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাঁর ক্ষমতার ভিত্তি ইসলামপন্থী দলগুলো। কিন্তু তাঁকে রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থী দলগুলোর সমর্থন অপর্যাপ্ত হতে পারে।
কায়রোর ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একজন বিক্ষোভকারী মুরসিকে জার্মানির একনায়ক হিটলার ও স্বৈরাচারী রোমান সম্রাট কালিগুলার সঙ্গে তুলনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উপমন্ত্রী উইলিয়াম জে বার্নস ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সম্মেলনে বলেন, সরলপথে ইতিহাসের অগ্রগতি খুব কমই দেখা যায়। মিসরও এ থেকে ব্যতিক্রম নয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কূটনৈতিক সাফল্য পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুরসি। কিন্তু তারপরই তিনি নিজের নির্বাহী ক্ষমতা বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিশেষ আদেশ (ডিক্রি) জারি করেন। অস্পষ্ট ও ‘সময়ের অনুপযোগী’ ডিক্রিটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। মুরসির মুখপাত্র পরে অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ডিক্রিটি কেবল ‘সার্বভৌম বিষয়াবলি’র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
মুরসির বর্তমান কর্মকাণ্ড একজন অনভিজ্ঞ রাজনীতিকের মতোই। যে উদারপন্থী রাজনীতিকদের আহ্বানে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, সেই রাজনীতিকেরাই এখন মুরসির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন বিচারকেরাও।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মুরসির স্বৈরাচারী মনোভাবই তাঁর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাঁর ক্ষমতার ভিত্তি ইসলামপন্থী দলগুলো। কিন্তু তাঁকে রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থী দলগুলোর সমর্থন অপর্যাপ্ত হতে পারে।
কায়রোর ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একজন বিক্ষোভকারী মুরসিকে জার্মানির একনায়ক হিটলার ও স্বৈরাচারী রোমান সম্রাট কালিগুলার সঙ্গে তুলনা করেন।
No comments