রায় বিপক্ষে গেলে আরো সহিংস হবে জামায়াত! by মোশতাক আহমদ
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের রায় জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিপক্ষে গেলে আরো সহিংস হয়ে উঠবে দলটি। এ মুহূর্তে তারই ছক কষছেন দলের নেতারা। গত মঙ্গলবারের দেশব্যাপী সহিংসতা ছিল 'টেস্ট কেস'। দলের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ৯ ডিসেম্বরের আগে আর কোনো একক কর্মসূচি দেবে না দলটি। জোটের প্রধান দল বিএনপি একক কর্মসূচি দিতে নিষেধ করছে জামায়াতকে। ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হবে। ওই সমাবেশে জোটের শরিক দলের নেতারাও অংশ নেবেন।
জানা গেছে, এ মুহূর্তে জামায়াত নজর রাখছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে কী রায় আসে সেদিকে। ওই রায়ের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি দেবে দলটি।
ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় ঘোষণার পর জামায়াতের পরবর্তী কর্মসূচি আসবে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচি নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধ মামলা আদালতের বিচারাধীন একটি বিষয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য জনমনে এমন সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে যে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা হয়তো আইনের প্রকৃত সহায়তা পাবেন না।' তিনি আরো বলেন, 'আদালত সঠিক রায় দেবেন বলে আশা করছি। তা না হলে পরিস্থিতি বুঝে কর্মসূচি দেওয়া হবে।'
একক কর্মসূচি থেকে পিছটান : জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের দাবি, দুই মাস ধরে একক আন্দোলন করে তারা বোঝাতে চেয়েছেন, রাজপথে তাঁদের অবস্থান এখনো দুর্বল হয়ে যায়নি। রবিবারের একক হরতালের সহিংসতা সরকারকে নাড়া দিয়েছে বলেও তাঁদের ধারণা। অন্যদিকে জোটের প্রধান দল বিএনপি জামায়াতকে আর একক কর্মসূচি দিতে নিষেধ করেছে। জামায়াতের মঙ্গলবারের হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপি। হরতালের দিন জামায়াতের সহিংসতার দায়ও কিছুটা তাদের ঘাড়ে বর্তেছে। এ কারণেই জামায়াতের একক কর্মসূচিতে বিএনপির আপত্তি। জোটের প্রধান দলকে খুশি রাখতে তাই আপাতত একক কর্মসূচি না দিয়ে যৌথ আন্দোলনের কথা ভাবছে জামায়াত।
লাগাতার হরতালের চাপ : ৯ ডিসেম্বর রাজধানীসহ সারা দেশে ১৮ দলীয় জোটের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিলে লাগাতর হরতালের কর্মসূচি দিতে বিএনপিকে চাপ দিচ্ছে জামায়াত। ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক নেতা জানান, বিএনপি ও জামায়াতের লক্ষ্য এক- তা হলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করা। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে শুধু বিএনপি নয়, লাভবান হবে জামায়াতও। তবে জামায়াতের আরেকটি সূত্র জানায়, জোটবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় প্রভাবিত করার ফায়দা নিতে চায় জামায়াত।
নেতারা আড়ালে : জামায়াত-শিবিরের কেন্দ্র ও মহানগর নেতারা দেড় বছর ধরে আত্মগোপনে আছেন। আড়ালে থেকেই তাঁরা কর্মসূচি দিচ্ছেন এবং দল পরিচালনা করছেন। অফিস কিংবা রাজপথের কর্মসূচিতে নেতাদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অন্য নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক নেতা বলেন, সরকারই জামায়াত নেতাদের প্রকাশ্যে আসতে দিচ্ছে না।
জানা যায়, নেতারা আত্মগোপনে থাকলেও আন্দোলনের কর্মসূচি দেশের প্রতিটি কর্মী আগেই জানতে পারেন। মঙ্গলবারের একক হরতালের পরিকল্পনাও আগেই নেওয়া হয়েছিল। মোবাইল ফোনে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল তা কর্মীদের। মাঠপর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, আগেই তাঁদের জানা ছিল- সোমবার সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হলে পরদিন হরতাল দেওয়া হবে।
জানা গেছে, এ মুহূর্তে জামায়াত নজর রাখছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে কী রায় আসে সেদিকে। ওই রায়ের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি দেবে দলটি।
ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় ঘোষণার পর জামায়াতের পরবর্তী কর্মসূচি আসবে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচি নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধ মামলা আদালতের বিচারাধীন একটি বিষয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য জনমনে এমন সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে যে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা হয়তো আইনের প্রকৃত সহায়তা পাবেন না।' তিনি আরো বলেন, 'আদালত সঠিক রায় দেবেন বলে আশা করছি। তা না হলে পরিস্থিতি বুঝে কর্মসূচি দেওয়া হবে।'
একক কর্মসূচি থেকে পিছটান : জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের দাবি, দুই মাস ধরে একক আন্দোলন করে তারা বোঝাতে চেয়েছেন, রাজপথে তাঁদের অবস্থান এখনো দুর্বল হয়ে যায়নি। রবিবারের একক হরতালের সহিংসতা সরকারকে নাড়া দিয়েছে বলেও তাঁদের ধারণা। অন্যদিকে জোটের প্রধান দল বিএনপি জামায়াতকে আর একক কর্মসূচি দিতে নিষেধ করেছে। জামায়াতের মঙ্গলবারের হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপি। হরতালের দিন জামায়াতের সহিংসতার দায়ও কিছুটা তাদের ঘাড়ে বর্তেছে। এ কারণেই জামায়াতের একক কর্মসূচিতে বিএনপির আপত্তি। জোটের প্রধান দলকে খুশি রাখতে তাই আপাতত একক কর্মসূচি না দিয়ে যৌথ আন্দোলনের কথা ভাবছে জামায়াত।
লাগাতার হরতালের চাপ : ৯ ডিসেম্বর রাজধানীসহ সারা দেশে ১৮ দলীয় জোটের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিলে লাগাতর হরতালের কর্মসূচি দিতে বিএনপিকে চাপ দিচ্ছে জামায়াত। ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক নেতা জানান, বিএনপি ও জামায়াতের লক্ষ্য এক- তা হলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করা। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে শুধু বিএনপি নয়, লাভবান হবে জামায়াতও। তবে জামায়াতের আরেকটি সূত্র জানায়, জোটবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় প্রভাবিত করার ফায়দা নিতে চায় জামায়াত।
নেতারা আড়ালে : জামায়াত-শিবিরের কেন্দ্র ও মহানগর নেতারা দেড় বছর ধরে আত্মগোপনে আছেন। আড়ালে থেকেই তাঁরা কর্মসূচি দিচ্ছেন এবং দল পরিচালনা করছেন। অফিস কিংবা রাজপথের কর্মসূচিতে নেতাদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অন্য নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক নেতা বলেন, সরকারই জামায়াত নেতাদের প্রকাশ্যে আসতে দিচ্ছে না।
জানা যায়, নেতারা আত্মগোপনে থাকলেও আন্দোলনের কর্মসূচি দেশের প্রতিটি কর্মী আগেই জানতে পারেন। মঙ্গলবারের একক হরতালের পরিকল্পনাও আগেই নেওয়া হয়েছিল। মোবাইল ফোনে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল তা কর্মীদের। মাঠপর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, আগেই তাঁদের জানা ছিল- সোমবার সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হলে পরদিন হরতাল দেওয়া হবে।
No comments