পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ক জোড়া লাগানোর উদ্যোগ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস মিলছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের চলতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে এ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সফরকালে গত বৃহস্পতিবার খার বলেছেন, সন্ত্রাসবাদবিরোধী ত্রিমাত্রিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর দেশ শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারে।
প্রায় দেড় বছর আগে পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হওয়ার পেছনে বেশি ভূমিকা রাখে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর একজন চরের হাতে দুই পাকিস্তানি নিহত, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের বাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অভিযান এবং দুর্ঘটনাবশত ন্যাটো বাহিনীর বিমান হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার মতো ঘটনাগুলো। পাশাপাশি পাকিস্তানভিত্তিক হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি রয়েছে। আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখে থাকে ওয়াশিংটন। তবে এসব জঙ্গির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তান সরকার প্রস্তুত আছে কি না, সে বিষয়ে খোলাসা করে কিছুই বলেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খার।
বার্ত সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে খার বলেন, ভেঙে পড়া পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোড়া লাগানোর জন্য একটি কৌশল গ্রহণে তিন দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কারা হুমকি, তা নির্ণয় করতে এবং যারা হুমকি, তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিরূপণ করতে একটি যৌথ প্রচেষ্টা চালানো হবে। খার আরও বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে যে কারও সঙ্গে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।’
পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে অন্য বিবদমান বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেন খার। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা ছিল খারের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। এপি।
বার্ত সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে খার বলেন, ভেঙে পড়া পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোড়া লাগানোর জন্য একটি কৌশল গ্রহণে তিন দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কারা হুমকি, তা নির্ণয় করতে এবং যারা হুমকি, তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিরূপণ করতে একটি যৌথ প্রচেষ্টা চালানো হবে। খার আরও বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে যে কারও সঙ্গে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।’
পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে অন্য বিবদমান বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেন খার। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা ছিল খারের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। এপি।
No comments