সড়ক উন্নয়নের কাজে অনিয়মের অভিযোগ
৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং করার পর এর ওপর সাত মিলিমিটার পুরু সিলকোট (পিচ-পাথরের প্রলেপ) দেওয়ার কথা। আদতে শুধু সিলকোট করা হচ্ছে। কার্পেটিং না করেই এ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের কাজে এভাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ঝিনাইদহ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আমতলা থেকে তেলটুপি পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের আওতাধীন এ সড়কটি এক নম্বর সেকশনের অন্তর্ভুক্ত। এই সড়কের ২১ থেকে ৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নয়নকাজ চলছে। সড়কের মান্দিয়া বাজার এলাকা থেকে এক মাস আগে কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে দুই-তিন কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি সড়কের গর্তগুলো খোয়া দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এখন এর ওপর সিলকোট করা হচ্ছে।
সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই ১০ কিলোমিটার সড়কে প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা মেরামত করতে হবে। এরপর এই অংশে ৪০ মিলিমিটার পুরু কার্পেটিং করতে হবে। শেষে এর ওপর সাত মিলিমিটার সিলকোট করতে হবে। এ কাজের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কার্পেটিংয়ের জন্য এক কোটি ৯৪ লাখ এবং সিলকোটের কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৩২ লাখ টাকা। বাকি টাকা অন্যান্য খাতে খরচ ধরা আছে। কিন্তু ঠিকাদার শাহীনুর আলম কার্পেটিং না করেই সিলকোট করছেন। এতে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া যেসব স্থানে সিলকোট করা হয়েছে, সেসব স্থানে পিচও কম দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে ইতিমধ্যে পিচ উঠে যেতে শুরু করেছে। ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, রাস্তায় সিলকোট করার কাজের জন্য এক ইঞ্চির চার ভাগের তিন ভাগ আকৃতির পাথর ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন চার ভাগের এক ভাগ আকৃতির পাথর ব্যবহার করছেন।
সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের ১ নম্বর সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার তাঁদের কিছু না বলেই রাস্তার কাজ শুরু করেছেন। সেখানে কার্পেটিং ছাড়াই কাজ হচ্ছে দেখে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারা কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশও দিয়েছে, কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন ওই নির্দেশ না মেনে কাজ করছেন।
সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান জানান, অনিয়ম হচ্ছে দেখে তাঁরা ঠিকাদারকে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। এর পরও কাজ করা হচ্ছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার শাহীনুর আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ওই কাজটি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা তাজুল ইসলাম জানান, যেখানে যেখানে কার্পেটিং করার কথা তা করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট অফিস তাঁদের কাজ বন্ধ করে দিলেও তাঁরা আবার ভালো মালামাল দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ঝিনাইদহ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আমতলা থেকে তেলটুপি পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের আওতাধীন এ সড়কটি এক নম্বর সেকশনের অন্তর্ভুক্ত। এই সড়কের ২১ থেকে ৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নয়নকাজ চলছে। সড়কের মান্দিয়া বাজার এলাকা থেকে এক মাস আগে কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে দুই-তিন কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি সড়কের গর্তগুলো খোয়া দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এখন এর ওপর সিলকোট করা হচ্ছে।
সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই ১০ কিলোমিটার সড়কে প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা মেরামত করতে হবে। এরপর এই অংশে ৪০ মিলিমিটার পুরু কার্পেটিং করতে হবে। শেষে এর ওপর সাত মিলিমিটার সিলকোট করতে হবে। এ কাজের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কার্পেটিংয়ের জন্য এক কোটি ৯৪ লাখ এবং সিলকোটের কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৩২ লাখ টাকা। বাকি টাকা অন্যান্য খাতে খরচ ধরা আছে। কিন্তু ঠিকাদার শাহীনুর আলম কার্পেটিং না করেই সিলকোট করছেন। এতে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া যেসব স্থানে সিলকোট করা হয়েছে, সেসব স্থানে পিচও কম দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে ইতিমধ্যে পিচ উঠে যেতে শুরু করেছে। ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, রাস্তায় সিলকোট করার কাজের জন্য এক ইঞ্চির চার ভাগের তিন ভাগ আকৃতির পাথর ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন চার ভাগের এক ভাগ আকৃতির পাথর ব্যবহার করছেন।
সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের ১ নম্বর সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার তাঁদের কিছু না বলেই রাস্তার কাজ শুরু করেছেন। সেখানে কার্পেটিং ছাড়াই কাজ হচ্ছে দেখে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারা কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশও দিয়েছে, কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন ওই নির্দেশ না মেনে কাজ করছেন।
সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান জানান, অনিয়ম হচ্ছে দেখে তাঁরা ঠিকাদারকে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। এর পরও কাজ করা হচ্ছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার শাহীনুর আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ওই কাজটি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা তাজুল ইসলাম জানান, যেখানে যেখানে কার্পেটিং করার কথা তা করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট অফিস তাঁদের কাজ বন্ধ করে দিলেও তাঁরা আবার ভালো মালামাল দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
No comments