রাজপথ অবরোধ- কাল রাজপথে ৮ ঘণ্টা থাকবে বিরোধী জোট
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে কাল রোববার অবরোধ কর্মসূচিতে সকাল ছয়টা থেকে আট ঘণ্টা রাজপথে থাকার সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। এ সময় রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশপথ অবরোধ করে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায় দলটি।
পাশাপাশি ১৮ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীরও নানা প্রস্তুতি রয়েছে বলে দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাস্তায় রিকশা নামাতেও নিষেধ করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের সংবাদ সম্মেলনে এ নিষেধের কথা বলা হয়। এর আগের দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজপথে গাড়ি না নামাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে এই অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধী দল—উভয় পক্ষের মধ্যেই একধরনের উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ কর্মসূচিতে কী পরিমাণ জনসমাগম হবে, বড় ধরনের জমায়েত হলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় এবং এ সময় জামায়াত-শিবির বড় কোনো অঘটন ঘটিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কি না—এসব নিয়েই সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূল উৎকণ্ঠা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি-জামায়াত এর আগে যেসব কর্মসূচি দিয়েছে, সেগুলোতে অরাজকতা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিল। সে জন্য নিরাপত্তামূলক সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির নামে নৈরাজ্যমূলক কোনো কর্মকাণ্ড করা হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে তাঁদের কর্মসূচিতে লোকজন আসার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে। এর মধ্যে দলটির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ জন্য গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় সরকারকে আগাম হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, অবরোধে কোনো রকম বাধা দিলে ওই দিনই আবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এমনকি হরতাল দেওয়া হতে পারে বলেও দলটির অপর এক দায়িত্বশীল নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
তবে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ১৮ দলীয় জোটের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, তাঁদের অবরোধ হবে শান্তিপূর্ণ। আর তাতে বাধা দিলে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দায়ী থাকবে। তিনি বলেন, ‘যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মানুষ নিজের রক্ত দেয়, তাই আশা করি, এক দিনের এই কষ্ট মানুষ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে।’
সাদেক হোসেন অভিযোগ করেন, অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিতে সরকার ইতিমধ্যে রাজধানীতে ধরপাকড় শুরু করেছে। মহানগর বিএনপির নেতা কাজী আবুল বাশার, মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, শফিকুল ইসলামসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া জোট নেতাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সরকারের ‘দুঃশাসন ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতি’, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আগামীকাল সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত রাজপথ অবরোধের এ কর্মসূচি গত ২৮ নভেম্বর জোটের সমাবেশ থেকে ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
পুলিশের কর্মকৌশল নির্ধারণ আজ: অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের ভূমিকা ও কর্মকৌশল কী হবে, তা আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠকে চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে একটি সভা হয়। সেখানে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হাবিবুর রহমানও যোগ দেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে যা করা দরকার, পুলিশ তা-ই করবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, কেউ যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে। থাকবে টহল ও তল্লাশিচৌকি।
ঢাকায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশারসহ দলের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গতকাল ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ থাকায় আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আর সূত্রাপুর থানার পুলিশ জানায়, গতকাল ভোরে ফরাশগঞ্জের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান ছাড়াও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, মনির হোসেন ও মো. দেলোয়ার নামের দলটির আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক বিবৃতিতে ওই নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা হাবিবুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ হাবিবুরের গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি।
বিশ্বব্যাংক বিএনপির অঙ্গসংগঠন নয়: ১৮ দলের সংবাদ সম্মেলনে সাদেক হোসেন খোকা দাবি করেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতির মহাকাব্য রচনা করেছে। এবার বিশ্বব্যাংক তাদের দুর্নীতি ধরে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘সরকার দুর্নীতি করে, আর দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। কিন্তু সরকার এবার বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে পারছে না। কেননা, বিশ্বব্যাংক বিএনপির অঙ্গসংগঠন নয়। তার পরও তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর দোষ দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকার গোপালগঞ্জসহ বিশেষ কয়েকটি জায়গার পুলিশের সদস্যদের এনে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালায়। তিনি সঠিকভাবে পুলিশকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার স্থায়ী নয়। এক সরকার যাবে, আরেক সরকার আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাস্তায় রিকশা নামাতেও নিষেধ করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের সংবাদ সম্মেলনে এ নিষেধের কথা বলা হয়। এর আগের দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজপথে গাড়ি না নামাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে এই অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধী দল—উভয় পক্ষের মধ্যেই একধরনের উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ কর্মসূচিতে কী পরিমাণ জনসমাগম হবে, বড় ধরনের জমায়েত হলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় এবং এ সময় জামায়াত-শিবির বড় কোনো অঘটন ঘটিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কি না—এসব নিয়েই সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূল উৎকণ্ঠা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি-জামায়াত এর আগে যেসব কর্মসূচি দিয়েছে, সেগুলোতে অরাজকতা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিল। সে জন্য নিরাপত্তামূলক সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির নামে নৈরাজ্যমূলক কোনো কর্মকাণ্ড করা হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে তাঁদের কর্মসূচিতে লোকজন আসার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে। এর মধ্যে দলটির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ জন্য গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় সরকারকে আগাম হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, অবরোধে কোনো রকম বাধা দিলে ওই দিনই আবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এমনকি হরতাল দেওয়া হতে পারে বলেও দলটির অপর এক দায়িত্বশীল নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
তবে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ১৮ দলীয় জোটের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, তাঁদের অবরোধ হবে শান্তিপূর্ণ। আর তাতে বাধা দিলে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দায়ী থাকবে। তিনি বলেন, ‘যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মানুষ নিজের রক্ত দেয়, তাই আশা করি, এক দিনের এই কষ্ট মানুষ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে।’
সাদেক হোসেন অভিযোগ করেন, অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিতে সরকার ইতিমধ্যে রাজধানীতে ধরপাকড় শুরু করেছে। মহানগর বিএনপির নেতা কাজী আবুল বাশার, মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, শফিকুল ইসলামসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া জোট নেতাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সরকারের ‘দুঃশাসন ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতি’, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আগামীকাল সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত রাজপথ অবরোধের এ কর্মসূচি গত ২৮ নভেম্বর জোটের সমাবেশ থেকে ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
পুলিশের কর্মকৌশল নির্ধারণ আজ: অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের ভূমিকা ও কর্মকৌশল কী হবে, তা আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠকে চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে একটি সভা হয়। সেখানে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হাবিবুর রহমানও যোগ দেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে যা করা দরকার, পুলিশ তা-ই করবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, কেউ যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে। থাকবে টহল ও তল্লাশিচৌকি।
ঢাকায় পাঁচজন গ্রেপ্তার: ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশারসহ দলের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গতকাল ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ থাকায় আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আর সূত্রাপুর থানার পুলিশ জানায়, গতকাল ভোরে ফরাশগঞ্জের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান ছাড়াও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, মনির হোসেন ও মো. দেলোয়ার নামের দলটির আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক বিবৃতিতে ওই নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা হাবিবুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ হাবিবুরের গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি।
বিশ্বব্যাংক বিএনপির অঙ্গসংগঠন নয়: ১৮ দলের সংবাদ সম্মেলনে সাদেক হোসেন খোকা দাবি করেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতির মহাকাব্য রচনা করেছে। এবার বিশ্বব্যাংক তাদের দুর্নীতি ধরে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘সরকার দুর্নীতি করে, আর দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। কিন্তু সরকার এবার বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে পারছে না। কেননা, বিশ্বব্যাংক বিএনপির অঙ্গসংগঠন নয়। তার পরও তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর দোষ দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকার গোপালগঞ্জসহ বিশেষ কয়েকটি জায়গার পুলিশের সদস্যদের এনে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালায়। তিনি সঠিকভাবে পুলিশকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার স্থায়ী নয়। এক সরকার যাবে, আরেক সরকার আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments