বাজারদর-বাজার ভরা শীতের সবজি দাম চড়া
এখনো বেজায় চড়া শাক-সবজি। অথচ বাজার সয়লাব শীতের আনাজে। তা ছাড়া ১২ মাস যেসব সবজি পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম এখনো আগের মতোই। ফলে তরিতরকারিতে মোটেও স্বস্তি নেই। মাছ মাংসের দামে অবশ্য খুব একটা ওঠানামা নেই।
চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ অন্যান্য সদাইপাতির দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় কমই রয়েছে।
শাকসবজি : বাজারে নতুন সবজি উঠলে প্রথম দিকে দাম একটু চড়াই থাকে। তবে সেটা প্রথম দুই এক সপ্তাহ। এর পর ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকে। তবে এ বছরের চিত্র একটু আলাদা। শীতের সবজির দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে বেশ সময় লাগছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা জোট করে দাম বাড়াচ্ছেন। আর বিক্রেতাদের সেই চিরাচরিত বাণী, পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ইত্যাদি।
গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, সিম, লাল ও সাদা মুলা, মুলাশাক, ধনে পাতাসহ প্রায় সব ধরনের সবজির সমারোহ বাজারে। মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। শালগম বা ওলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, সিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। লাল মুলা কম পাওয়া যাচ্ছে, সাদা মুলার কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। মুলাশাক এক আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা। পালং শাকেরও একই দাম।
নতুন আলুর দাম পাইকারি বাজারে ১১৫ টাকা পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হলেও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা নিচ্ছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাক জানান, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে সুখবর নেই। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি বাজারে দর কষাকষির সুযোগ পান না তাঁরা।
এদিকে বাজারে বারোমাসি সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। চিচিঙ্গা, করল্লা, বেগুন, পেঁপেসহ অন্য তরকারির দাম কমছে না। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, করল্লা ২৫ থেকে ৩০, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাক বলেন, বারোমাসি সবজির যে চাহিদা, সে পরিমাণে বাজারে আসে না। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বারোমাসি সবজির দাম বেশি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শামীম আহমেদ অভিযোগ করে জানালেন, 'সবজির দাম এখনো অনেক বেশি।' বর্ধিত এই দামের জন্য খুচরা বিক্রেতাদের দায়ী করে তিনি বলেন, 'নতুন আলুর পাল্লা ১১৫ টাকা, খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয় ৫০ টাকা কেজি। কেজিতে প্রায় অর্ধেক লাভ।'
চাল-ডাল : সব ধরনের চালের দাম নভেম্বর মাসের তুলনায় কেজিতে এক-দুই টাকা বেড়েছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম কেজিপ্রতি ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, সাধারণ মানের ৪৪-৪৫। ভালো মানের মিনিকেট বাজারভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ রসুনের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৪৭-৪৮ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাস আগে দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৩৭ টাকা এবং আমদানি পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা ছিল। রসুন আগের সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংস : রুই, কাতলা, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, কই মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে। মাঝারি আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা এবং পাঁচমিশালি মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাঙ্গাশ মিলছে ১১০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।
বাজারভেদে গরুর মাংসের দাম ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাকসবজি : বাজারে নতুন সবজি উঠলে প্রথম দিকে দাম একটু চড়াই থাকে। তবে সেটা প্রথম দুই এক সপ্তাহ। এর পর ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকে। তবে এ বছরের চিত্র একটু আলাদা। শীতের সবজির দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে বেশ সময় লাগছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা জোট করে দাম বাড়াচ্ছেন। আর বিক্রেতাদের সেই চিরাচরিত বাণী, পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ইত্যাদি।
গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, সিম, লাল ও সাদা মুলা, মুলাশাক, ধনে পাতাসহ প্রায় সব ধরনের সবজির সমারোহ বাজারে। মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। শালগম বা ওলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, সিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। লাল মুলা কম পাওয়া যাচ্ছে, সাদা মুলার কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। মুলাশাক এক আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা। পালং শাকেরও একই দাম।
নতুন আলুর দাম পাইকারি বাজারে ১১৫ টাকা পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হলেও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা নিচ্ছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাক জানান, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে সুখবর নেই। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি বাজারে দর কষাকষির সুযোগ পান না তাঁরা।
এদিকে বাজারে বারোমাসি সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। চিচিঙ্গা, করল্লা, বেগুন, পেঁপেসহ অন্য তরকারির দাম কমছে না। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, করল্লা ২৫ থেকে ৩০, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাক বলেন, বারোমাসি সবজির যে চাহিদা, সে পরিমাণে বাজারে আসে না। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বারোমাসি সবজির দাম বেশি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শামীম আহমেদ অভিযোগ করে জানালেন, 'সবজির দাম এখনো অনেক বেশি।' বর্ধিত এই দামের জন্য খুচরা বিক্রেতাদের দায়ী করে তিনি বলেন, 'নতুন আলুর পাল্লা ১১৫ টাকা, খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয় ৫০ টাকা কেজি। কেজিতে প্রায় অর্ধেক লাভ।'
চাল-ডাল : সব ধরনের চালের দাম নভেম্বর মাসের তুলনায় কেজিতে এক-দুই টাকা বেড়েছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম কেজিপ্রতি ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, সাধারণ মানের ৪৪-৪৫। ভালো মানের মিনিকেট বাজারভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ রসুনের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৪৭-৪৮ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাস আগে দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৩৭ টাকা এবং আমদানি পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা ছিল। রসুন আগের সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংস : রুই, কাতলা, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, কই মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে। মাঝারি আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা এবং পাঁচমিশালি মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাঙ্গাশ মিলছে ১১০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।
বাজারভেদে গরুর মাংসের দাম ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
No comments