প্রত্যাখ্যানই বিরোধী একমাত্র বিকল্প নয়- খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়া
ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায় সম্পর্কে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন আমাদের কিছুটা অবাক করেছে। কারণ, রায়টি একটি বিভক্ত রায়। সংখ্যাগরিষ্ঠের রায় যদি সরকারি দলের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে বৈধতা দেয়, তা হলে বলতে হয়, সংখ্যালঘুর রায় বিএনপির রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয় আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে কি না, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে রায়টি পর্যালোচনার দাবি রাখে। তার চেয়েও বড় কথা, সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। রায়ে সীমাবদ্ধতা, ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। কিন্তু এই রায়কে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল যে ধরনের নির্দলীয় সরকার চাইছে, তা পাওয়াও অসম্ভব নয়। আবার সরকারি দল নির্বাচিত ব্যক্তিকে ধরে রাখার যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, তারও সমন্বয় সম্ভব।
বলা নিষ্প্রয়োজন, এই রায় বিরোধী দলের চেয়ে সরকারি দলকেই অগ্নিপরীক্ষায় দাঁড় করিয়েছে। আগামী নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হলে একটা সংঘাতপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলে যে শঙ্কা রয়েছে, তার প্রতি সাতজন বিচারপতিই একমত হয়েছেন। অথচ বিরোধীদলীয় নেতা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সংখ্যালঘু বিচারকেরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে যেসব অভিমত রেখেছেন, তা সাহসী ও অকপট। বিরোধী দলের নেতা যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক অভিমত দেবেন, তখন তা নির্ভুল হওয়া কাম্য, অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট হওয়া উচিত নয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেছেন, বিচারপতি খায়রুল হক এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পরে সই দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে এই অপ্রিয় রেওয়াজটি বহু বছর ধরে চলে আসছে। তবে সময়টি দীর্ঘ এবং অগ্রহণযোগ্য। সে জন্য তাঁকে এককভাবে দায়ী করা চলে না। তিনি গত মার্চে তাঁর রায় জমা দেওয়ার পরে অন্যরা আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস সময় নিয়েছেন। এ ছাড়া অবসর গ্রহণকালে শতাধিক পেন্ডিং রায় নিয়ে অবসরে যাওয়া কিংবা অসদাচরণের অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করার পর ঝুলন্ত রায় আর না লেখার দৃষ্টান্তও আছে। রায়ে নির্দলীয় ব্যক্তির পরিবর্তে দলীয় নির্বাচিত সরকারের শর্ত আরোপের তথ্যও ঠিক নয়।
২০১১ সালের মে মাসে আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত আদেশের পর বিএনপির চেয়ারপারসন দুই মেয়াদের বিষয়ে যে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছিলেন, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে অকার্যকর হয়ে যায়নি। দলীয় সরকারের অধীনে যেনতেন নির্বাচন করতে উদ্গ্রীব ক্ষমতাসীন দলের ওপর বিএনপি রায়ের আলোকেই চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আদালতের রায়ভিত্তিক বিকল্পটিকে বিএনপির হাতছাড়া করা উচিত নয়।
বলা নিষ্প্রয়োজন, এই রায় বিরোধী দলের চেয়ে সরকারি দলকেই অগ্নিপরীক্ষায় দাঁড় করিয়েছে। আগামী নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হলে একটা সংঘাতপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলে যে শঙ্কা রয়েছে, তার প্রতি সাতজন বিচারপতিই একমত হয়েছেন। অথচ বিরোধীদলীয় নেতা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
সংখ্যালঘু বিচারকেরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে যেসব অভিমত রেখেছেন, তা সাহসী ও অকপট। বিরোধী দলের নেতা যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক অভিমত দেবেন, তখন তা নির্ভুল হওয়া কাম্য, অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট হওয়া উচিত নয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেছেন, বিচারপতি খায়রুল হক এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পরে সই দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে এই অপ্রিয় রেওয়াজটি বহু বছর ধরে চলে আসছে। তবে সময়টি দীর্ঘ এবং অগ্রহণযোগ্য। সে জন্য তাঁকে এককভাবে দায়ী করা চলে না। তিনি গত মার্চে তাঁর রায় জমা দেওয়ার পরে অন্যরা আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস সময় নিয়েছেন। এ ছাড়া অবসর গ্রহণকালে শতাধিক পেন্ডিং রায় নিয়ে অবসরে যাওয়া কিংবা অসদাচরণের অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করার পর ঝুলন্ত রায় আর না লেখার দৃষ্টান্তও আছে। রায়ে নির্দলীয় ব্যক্তির পরিবর্তে দলীয় নির্বাচিত সরকারের শর্ত আরোপের তথ্যও ঠিক নয়।
২০১১ সালের মে মাসে আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত আদেশের পর বিএনপির চেয়ারপারসন দুই মেয়াদের বিষয়ে যে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছিলেন, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে অকার্যকর হয়ে যায়নি। দলীয় সরকারের অধীনে যেনতেন নির্বাচন করতে উদ্গ্রীব ক্ষমতাসীন দলের ওপর বিএনপি রায়ের আলোকেই চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আদালতের রায়ভিত্তিক বিকল্পটিকে বিএনপির হাতছাড়া করা উচিত নয়।
No comments