কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন-৫০০ সেনা-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ভারতের সেনাবাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ৫০০ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে স্থানীয় দুটি মানবাধিকার সংগঠন। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের নামও উল্লেখ করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশন অব প্যারেন্টস অব ডিসঅ্যাপিয়ারড পারসনস (এপিডিপি) এবং ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ট্রাইব্যুনাল অন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড জাস্টিস ইন ইন্ডিয়ান-অ্যাডমিনিস্টারড কাশ্মীর (আইপিটিকে) নামের দুটি সংগঠন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। তথ্য অধিকার আইনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য, সরকারি তদন্ত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকারের সমন্বয়ে ৩৫৪ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
এতে গত দুই দশকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া শতাধিক হত্যাকাণ্ড, ৬৫ জন মানুষের নিখোঁজ হওয়া, ৯টি ধর্ষণ এবং আইনি হেফাজতে ৫৯টি নির্যাতনের ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত ৫০০ জনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুজন জেনারেল, তিনজন ব্রিগেডিয়ার এবং পুলিশের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের নাম আছে। গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও এসব কর্মকর্তার অনেকেই তাঁদের কর্মজীবনে পদোন্নতিসহ নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
তবে এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে ভারত সরকার ও সেনাবাহিনীর কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। সেনাবাহিনীর কাশ্মীরভিত্তিক ১৫ করপোরেশনের এক মুখপাত্র বলেন, 'এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন এখনো আমাদের কাছে পৌঁছেনি। যথাযথ কাগজপত্র পাওয়ার পর আমরা পদক্ষেপ নেব।'
আইপিটিকের কর্মী গৌতম নবলখা বলেন, 'গত ২২ বছরে কাশ্মীরে যা ঘটেছে আমরা কেবল তার নমুনা তুলে ধরেছি।' প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে কাশ্মীরে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। বিদ্রোহীদের দমনের জন্য প্রণীত আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট অনুসারে সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে হত্যা ও তার সম্পদ জব্দ করতে পারে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো জবাবদিহি করা হয় না। তাঁরা সব ধরনের দায়মুক্তি ভোগ করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানবাধিকার সংগঠন দুটি জানায়, এসব ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না সেটা তদন্ত করা কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি নেই।
সূত্র : গার্ডিয়ান, এএফপি।
অ্যাসোসিয়েশন অব প্যারেন্টস অব ডিসঅ্যাপিয়ারড পারসনস (এপিডিপি) এবং ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ট্রাইব্যুনাল অন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড জাস্টিস ইন ইন্ডিয়ান-অ্যাডমিনিস্টারড কাশ্মীর (আইপিটিকে) নামের দুটি সংগঠন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। তথ্য অধিকার আইনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য, সরকারি তদন্ত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকারের সমন্বয়ে ৩৫৪ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
এতে গত দুই দশকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া শতাধিক হত্যাকাণ্ড, ৬৫ জন মানুষের নিখোঁজ হওয়া, ৯টি ধর্ষণ এবং আইনি হেফাজতে ৫৯টি নির্যাতনের ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত ৫০০ জনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুজন জেনারেল, তিনজন ব্রিগেডিয়ার এবং পুলিশের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের নাম আছে। গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও এসব কর্মকর্তার অনেকেই তাঁদের কর্মজীবনে পদোন্নতিসহ নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
তবে এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে ভারত সরকার ও সেনাবাহিনীর কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। সেনাবাহিনীর কাশ্মীরভিত্তিক ১৫ করপোরেশনের এক মুখপাত্র বলেন, 'এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন এখনো আমাদের কাছে পৌঁছেনি। যথাযথ কাগজপত্র পাওয়ার পর আমরা পদক্ষেপ নেব।'
আইপিটিকের কর্মী গৌতম নবলখা বলেন, 'গত ২২ বছরে কাশ্মীরে যা ঘটেছে আমরা কেবল তার নমুনা তুলে ধরেছি।' প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে কাশ্মীরে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। বিদ্রোহীদের দমনের জন্য প্রণীত আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট অনুসারে সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে হত্যা ও তার সম্পদ জব্দ করতে পারে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো জবাবদিহি করা হয় না। তাঁরা সব ধরনের দায়মুক্তি ভোগ করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানবাধিকার সংগঠন দুটি জানায়, এসব ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না সেটা তদন্ত করা কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি নেই।
সূত্র : গার্ডিয়ান, এএফপি।
No comments