জলকপাট-সংকটে আট হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা
আমন ফসল রক্ষার জন্য তুলসীগঙ্গা নদীর ডান ও বাঁ তীরে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরি করা হলেও তা জয়পুরহাটের তিন উপজেলার কৃষকদের কোনো উপকারে আসছে না। কারণ, বাঁধের ডান ও বাঁ তীরে প্রয়োজনীয়সংখ্যক জলকপাট (স্লুইসগেট) না থাকায় ও কিছু কপাট অকেজো থাকায় আট হাজার হেক্টর আমন ধানের ফসল জলাবদ্ধতায় নষ্ট হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জয়পুরহাট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে বিল হাওয়াইয়ের অবস্থান। ওই বিলের মধ্য দিয়ে তুলসী গঙ্গা নদী বয়ে গেছে। বিল হাওয়াইয়ের ১৪ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমির আমনের ফসল বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৩১ দশমিক ১০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এ সময় উভয় তীরের গ্রামগুলো থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হয় ১৫টি জলকপাট। এ কাজে দুই কোটি ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ব্যয় করা হয়।
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, অনেক স্থানে অপরিকল্পিতভাবে জলাকপাট নির্মাণ করা হয়েছে। আবার রক্ষণাবেক্ষণ না করায় বেশ কিছু জলকপাট নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে কপাটগুলো দিয়ে পানিনিষ্কাশন হয় না। কোনো কোনো বছর স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত কম হলেও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বেড়ে তুলসী গঙ্গা নদীর পানি অকেজো জলকপাট দিয়ে বিল হাওয়াইয়ে ঢুকে। এতে জলাবদ্ধতার কারণে আমনের ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
ক্ষেতলাল উপজেলার আমিড়া গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ জানান, প্রতিবছর বর্ষায় আমিড়া গ্রামের পাশে গনিরচড়া এলাকায় পানির চাপে বাঁধ ভেঙে যায়। এতে জমিতে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হয়। ওই স্থানে এলাকাবাসী বড় আকারে একটি জলকপাট নির্মাণের দাবি জানালেও দীর্ঘদিনেও তা নির্মাণ করা হয়নি।
পাউবো জয়পুরহাট কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী হায়দার আলী জানান, অকেজো জলকপাটগুলো সংস্কারের জন্য ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। অর্থ না পাওয়ায় এ মুহূর্তেই জলকপাটগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, পানিনিষ্কাশনের জন্য আমিড়া গ্রামের গনিরচড়া, গোমড়ামারি ও মির্জাপুরের মুকুল গ্রামে জলকপাট নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দেলবর হোসেন জানান, বাঁধের জলকপাটগুলো অকেজো থাকায় এবং প্রয়োজনীয়সংখ্যক কপাট না থাকায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি ঢুকলে এবং বৃষ্টিপাত হলে আমনের ফসলের ক্ষতি হয়। এ সমস্যা সমাধানে তিনি পাউবোর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, অনেক স্থানে অপরিকল্পিতভাবে জলাকপাট নির্মাণ করা হয়েছে। আবার রক্ষণাবেক্ষণ না করায় বেশ কিছু জলকপাট নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে কপাটগুলো দিয়ে পানিনিষ্কাশন হয় না। কোনো কোনো বছর স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত কম হলেও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বেড়ে তুলসী গঙ্গা নদীর পানি অকেজো জলকপাট দিয়ে বিল হাওয়াইয়ে ঢুকে। এতে জলাবদ্ধতার কারণে আমনের ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
ক্ষেতলাল উপজেলার আমিড়া গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ জানান, প্রতিবছর বর্ষায় আমিড়া গ্রামের পাশে গনিরচড়া এলাকায় পানির চাপে বাঁধ ভেঙে যায়। এতে জমিতে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হয়। ওই স্থানে এলাকাবাসী বড় আকারে একটি জলকপাট নির্মাণের দাবি জানালেও দীর্ঘদিনেও তা নির্মাণ করা হয়নি।
পাউবো জয়পুরহাট কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী হায়দার আলী জানান, অকেজো জলকপাটগুলো সংস্কারের জন্য ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। অর্থ না পাওয়ায় এ মুহূর্তেই জলকপাটগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, পানিনিষ্কাশনের জন্য আমিড়া গ্রামের গনিরচড়া, গোমড়ামারি ও মির্জাপুরের মুকুল গ্রামে জলকপাট নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দেলবর হোসেন জানান, বাঁধের জলকপাটগুলো অকেজো থাকায় এবং প্রয়োজনীয়সংখ্যক কপাট না থাকায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি ঢুকলে এবং বৃষ্টিপাত হলে আমনের ফসলের ক্ষতি হয়। এ সমস্যা সমাধানে তিনি পাউবোর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
No comments