রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন-পরিবেশ হোক সংঘাতমুক্ত
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে অনিবার্যভাবে একটা সংঘাতময় পরিবেশের দিকে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কা এখন অনেকেরই। গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সময় সৃষ্ট পরিস্থিতি যেন সে আভাসই দিচ্ছে।
বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্য এবং চোরাগোপ্তা হামলা জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। সরকারের হাতে যেমন সময় বেশি নেই, রাজনৈতিক দলগুলোর হাতেও সময় কম। অল্প সময়ের মধ্যে নিজেদের ঘর গুছিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট ও দলের মধ্যে এখনো মেরুসমান ব্যবধান। নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয়নি- এমন অভিমতও দিয়েছেন অনেকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতপার্থক্য, তা দূর করতে হলে প্রয়োজন একটি সংলাপ অনুষ্ঠান। যেখানে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখ দেখাদেখি বন্ধ, সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতার সহজ পথ খুঁজে পাওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। কিন্তু একটি রাজনৈতিক সমঝোতা সূত্র খুঁজে বের করার কোনো বিকল্প নেই। রাজনীতি সংঘাতের পথে গেলে এর পরিণাম কত ভয়াবহ হতে পারে, সে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন কোনোভাবেই জনগণের জন্য অকল্যাণ বয়ে না আনে, সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি না করে, সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের নামে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টি করাটাও কাম্য নয়।
সম্প্রতি জামায়াতের হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের মতো একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি এখন কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হয়, তা সবারই জানা। কোনো রাজনৈতিক দল হরতাল আহ্বান করলে স্বাভাবিক নিরাপত্তার স্বার্থেই সাধারণ মানুষকে সাবধানী হতে হয়। হরতাল বা যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সব রাজনৈতিক দলেরই আছে। একইভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন এমন অনেকেই থাকতে পারেন। জীবিকার প্রয়োজনে অনেককেই বাইরে যেতে হয়। যে কর্মসূচি মানুষের প্রতিদিনের জীবিকা ও রোজগারের পথ রুদ্ধ করে দেয়, সে কর্মসূচি কতটা জনমুখী, সেটাও এখন ভেবে দেখতে হবে। দেশজুড়ে জামায়াতের তাণ্ডব যখন অব্যাহত, তখন বিএনপি কাল সারা দেশে রাজপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব গাড়ি বের না করে জনগণের কাতারে চলে আসতে বলেছেন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই বলা হবে, সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যেতে পারে, বিএনপির এ কর্মসূচির ভেতর দিয়ে নতুন করে আরেকটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে, কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে হরতাল বা আরো কঠিন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। অর্থাৎ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি প্রায় অনিবার্য।
এ অবস্থায় দেশের স্বার্থে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে সুবিবেচনার পরিচয় দিতে হবে। সংঘাতমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলো দেশ ও জাতির কল্যাণে একযোগে কাজ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টিতে সচেষ্ট হবে।
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। সরকারের হাতে যেমন সময় বেশি নেই, রাজনৈতিক দলগুলোর হাতেও সময় কম। অল্প সময়ের মধ্যে নিজেদের ঘর গুছিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট ও দলের মধ্যে এখনো মেরুসমান ব্যবধান। নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয়নি- এমন অভিমতও দিয়েছেন অনেকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতপার্থক্য, তা দূর করতে হলে প্রয়োজন একটি সংলাপ অনুষ্ঠান। যেখানে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখ দেখাদেখি বন্ধ, সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতার সহজ পথ খুঁজে পাওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। কিন্তু একটি রাজনৈতিক সমঝোতা সূত্র খুঁজে বের করার কোনো বিকল্প নেই। রাজনীতি সংঘাতের পথে গেলে এর পরিণাম কত ভয়াবহ হতে পারে, সে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন কোনোভাবেই জনগণের জন্য অকল্যাণ বয়ে না আনে, সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি না করে, সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের নামে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টি করাটাও কাম্য নয়।
সম্প্রতি জামায়াতের হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের মতো একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি এখন কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হয়, তা সবারই জানা। কোনো রাজনৈতিক দল হরতাল আহ্বান করলে স্বাভাবিক নিরাপত্তার স্বার্থেই সাধারণ মানুষকে সাবধানী হতে হয়। হরতাল বা যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সব রাজনৈতিক দলেরই আছে। একইভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন এমন অনেকেই থাকতে পারেন। জীবিকার প্রয়োজনে অনেককেই বাইরে যেতে হয়। যে কর্মসূচি মানুষের প্রতিদিনের জীবিকা ও রোজগারের পথ রুদ্ধ করে দেয়, সে কর্মসূচি কতটা জনমুখী, সেটাও এখন ভেবে দেখতে হবে। দেশজুড়ে জামায়াতের তাণ্ডব যখন অব্যাহত, তখন বিএনপি কাল সারা দেশে রাজপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব গাড়ি বের না করে জনগণের কাতারে চলে আসতে বলেছেন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়ই বলা হবে, সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যেতে পারে, বিএনপির এ কর্মসূচির ভেতর দিয়ে নতুন করে আরেকটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে, কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে হরতাল বা আরো কঠিন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। অর্থাৎ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি প্রায় অনিবার্য।
এ অবস্থায় দেশের স্বার্থে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে সুবিবেচনার পরিচয় দিতে হবে। সংঘাতমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলো দেশ ও জাতির কল্যাণে একযোগে কাজ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টিতে সচেষ্ট হবে।
No comments