বিশ্লেষণ- ব্যর্থতা ঢাকতেই বেরিয়ে গেলেন মমতা!
পশ্চিমবঙ্গে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা বাম দুর্গ ধসিয়ে গত বছর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন দলীয় প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত প্রায় এক বছরে কৃষি সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা, দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ নানা কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা এরই মধ্যে উপলব্ধি করতে পেরেছেন, তাঁর সরকার জনগণের কাছে প্রয়োজনী পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়ার চেয়ে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা অন্তর্দ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সর্বোপরি রাজ্যে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসায় তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে মমতাকে।
ভারতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) অন্যতম শরিক ছিল তৃণমূল। কিন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মতভেদের কারণে বেশ কিছুদিন আগেই মমতা পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাই লড়াই করার কথা ঘোষণা দেন। গতকাল ইউপিএ জোট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ায় কংগ্রেসকে ছাড়াই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেল।
মমতার ঘনিষ্ঠ নেতারা জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে—এমন এলাকায় নিজের ভোট বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মমতা। এর পক্ষে যুক্তি হলো, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি ও রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্তে জনগণ কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ। জনগণের সরকারবিরোধী এই মনোভাবই কাজে লাগাতে চান মমতা। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে মমতা এই সময়টিই বেছে নিলেন ইউপিএ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। মূলত নিজের দলের ব্যর্থতা ঢাকতেই ইউপিএ থেকে বেরিয়ে গেলেন মমতা।
এর মধ্য দিয়ে মমতা কোনো জোটের সঙ্গে পূর্ণ মেয়াদে না থাকার প্রবণতা আবারও প্রমাণ করলেন। ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার (এনডিএ) সঙ্গে জোট বাঁধার পর এনডিএ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০০১ সালে সেই জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেন তিনি। ২০০৪ সালে এনডিএ সরকারের মেয়াদ শেষ হয়। একইভাবে এবার ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। ইউপিএ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০১৪ সালে। টিএনএন।
ভারতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) অন্যতম শরিক ছিল তৃণমূল। কিন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মতভেদের কারণে বেশ কিছুদিন আগেই মমতা পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাই লড়াই করার কথা ঘোষণা দেন। গতকাল ইউপিএ জোট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ায় কংগ্রেসকে ছাড়াই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেল।
মমতার ঘনিষ্ঠ নেতারা জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে—এমন এলাকায় নিজের ভোট বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মমতা। এর পক্ষে যুক্তি হলো, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি ও রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্তে জনগণ কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ। জনগণের সরকারবিরোধী এই মনোভাবই কাজে লাগাতে চান মমতা। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে মমতা এই সময়টিই বেছে নিলেন ইউপিএ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। মূলত নিজের দলের ব্যর্থতা ঢাকতেই ইউপিএ থেকে বেরিয়ে গেলেন মমতা।
এর মধ্য দিয়ে মমতা কোনো জোটের সঙ্গে পূর্ণ মেয়াদে না থাকার প্রবণতা আবারও প্রমাণ করলেন। ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার (এনডিএ) সঙ্গে জোট বাঁধার পর এনডিএ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০০১ সালে সেই জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেন তিনি। ২০০৪ সালে এনডিএ সরকারের মেয়াদ শেষ হয়। একইভাবে এবার ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। ইউপিএ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০১৪ সালে। টিএনএন।
No comments