শিশুদের রক্ষায় ভারতে নতুন আইন-হয়রানিকে 'জামিন-অযোগ্য' অপরাধ গণ্য করা হচ্ছে
যৌন নির্যাতনের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে ভারতে নতুন আইন করা হয়েছে। এ আইনের অধীনে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন না পাওয়া এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে হয়রানির বিচারও হবে এ আইনের অধীনে।
আইনটি গত ১৪ নভেম্বর কার্যকর হয়েছে। দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস গতকাল শুক্রবার এ কথা জানায়।
'দ্য প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস' (পিওসিএসও) নামের এ আইনে বলা হয়, 'কেউ যদি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো শিশুকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনুসরণ করে, দেখে অথবা ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল বা অন্য যেকোনো উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে তবে সে দোষী সাব্যস্ত হবে।'
আইনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোতে হয়রানি অথবা হুমকির উদ্দেশ্যে কোনো শিশুর প্রকৃত কিংবা বিকৃত ছবি ব্যবহার করলে সেটিও যৌন নির্যাতন বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আইনে এ ধরনের হয়রানিকে 'জামিন-অযোগ্য' অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়। এত দিন সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোয় সংঘটিত এ ধরনের অভিযোগ তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক আইনের আওতায় বিচার হতো।
দিলি্লর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোতে শিশুদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। এ-সংক্রান্ত প্রচুর অভিযোগও আমাদের কাছে এসেছে। কিন্তু এত দিন তা তথ্য-প্রযুক্তি আইনের আওতায় ছিল।' ভারতে ২০০৭ সালে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় শিশুদের যৌন হয়রানির বিষয়ে একটি জরিপ করে। এতে দেখা যায়, দেশটির অর্ধেকেরও বেশি শিশু কোনো না কোনোভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
'দ্য প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস' (পিওসিএসও) নামের এ আইনে বলা হয়, 'কেউ যদি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো শিশুকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনুসরণ করে, দেখে অথবা ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল বা অন্য যেকোনো উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে তবে সে দোষী সাব্যস্ত হবে।'
আইনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোতে হয়রানি অথবা হুমকির উদ্দেশ্যে কোনো শিশুর প্রকৃত কিংবা বিকৃত ছবি ব্যবহার করলে সেটিও যৌন নির্যাতন বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আইনে এ ধরনের হয়রানিকে 'জামিন-অযোগ্য' অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়। এত দিন সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোয় সংঘটিত এ ধরনের অভিযোগ তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক আইনের আওতায় বিচার হতো।
দিলি্লর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোতে শিশুদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। এ-সংক্রান্ত প্রচুর অভিযোগও আমাদের কাছে এসেছে। কিন্তু এত দিন তা তথ্য-প্রযুক্তি আইনের আওতায় ছিল।' ভারতে ২০০৭ সালে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় শিশুদের যৌন হয়রানির বিষয়ে একটি জরিপ করে। এতে দেখা যায়, দেশটির অর্ধেকেরও বেশি শিশু কোনো না কোনোভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments