হামলা হলেই পাল্টা জবাব

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ন্যাটো আর কোনো হামলা চালালে এর জবাবে পাকিস্তান সেনবাহিনীও পাল্টা হামলা চালাবে। ন্যাটো হামলার জবাব দিতে পাক সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি এ আদেশ দিয়েছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।মোহমান্দে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সেনা সূত্র ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছে, ওই স্থানে হামলার জন্য সবুজ সংকেত


দিয়েছিলেন পাকিস্তান-আফগানিস্তান যৌথ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা। পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, সেখানে কোনো পাকিস্তানি সেনা আছে বলে তাদের জানা নেই। উল্লেখ্য, এ হামলায় ২৪ পাকসেনা নিহত হয়। অন্যদিকে গতকাল পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে শামসি বিমানঘাঁটি ত্যাগের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বার্তা এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাক সেনাবাহিনীকে পাল্টা হামলার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়ে সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তের সেনাবাহিনীকে এ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের হামলা হলেই যেন পাকিস্তানি বাহিনী পাল্টা জবাব দিতে পারে সে জন্যই এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কায়ানির বক্তব্য উদৃব্দত করে সূত্র জানায়, 'চেইন অব কমান্ড' সবাইকে মানতে হবে। যদি আক্রমণের শিকার হতেও হয় তবে এ কমান্ড মেনে পাল্টা হামলা চালাতে হবে। উল্লেখ্য, এ ধরনের হামলায় ওপর মহল থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো অনুমতির দরকার নেই। হামলার বদলে হামলাই হবে। কায়ানি বলেছেন, হামলার জবাবে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে আরও কঠোর জবাব দেওয়া যাবে, যদি পাকিস্তান বিমান বাহিনী একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কায়ানির উদ্ধৃতি দিয়ে ওই সূত্র আরও জানায়, কায়ানি মনে করেন কোনো ধরনের আগ্রাসনই সহজভাবে নেওয়া যাবে না। তাদের অবশ্যই কড়া জবাব দিতে হবে। নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থেই এটা করা হবে বলে মনে করেন কায়ানি।
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর সময় দেশটির বিমান বাহিনী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, দু'ঘণ্টা ধরে পাক সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ন্যাটো বাহিনী।
এ সময়ের মধ্যে তাদের পাল্টা জবাব দেওয়া যেত। তবে দেশটির বিমান বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, যোগাযোগের অভাবের কারণে ওই মুহূর্তে সেখানে বিমান বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। এমনকি পাল্টা হামলা করতে কর্তৃপক্ষের অনুষ্ঠানিক অনুমোদন না থাকায় তাৎক্ষণিক এর জবাব দেওয়া যায়নি।
যে স্থানে ন্যাটোর হামলায় পাক সেনারা নিহত হয়েছিল, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সেখানে হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তালেবানের হামলার শিকার হওয়ার পর তাদের ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য যখন ওই স্থানে হামলা করা হয় । হামলা চালানোর সময় পাল্টা গুলি চালানোয় ন্যাটো ভেবেছিল,তালেবানই সেখানে অবস্থান করছে। তবে পাকিস্তান কোনো ধরনের পাল্টা গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

No comments

Powered by Blogger.