অর্থ সংকটে অনেক প্রকল্পই বেখবর by আবু কাওসার ও সাবি্বর নেওয়াজ

র্থ সংকটে সরকারের অনেক প্রকল্পই বেখবর। পর্যাপ্ত টাকা না পাওয়ায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এক বছর আগে অনুমোদন পেলেও অর্থের জোগান নিশ্চিত না হওয়ায় বহু প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। কিছু প্রকল্প মাঝপথে এসে থেমে গেছে। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগে উন্নয়ন ব্যয়ের যে লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল, সংকট ঘনীভূত হওয়ায় সব হিসাব এখন এলোমেলো হয়ে গেছে।


শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে গেছে সরকারের। তাই এখন বুঝেশুনে খরচ করতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনাপ্রসূত প্রকল্পগুলো ছেঁটে ফেলার গত্যন্তর নেই। আর্থিক চাপ না কমাতে পারলে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বেড়েই চলবে। এতে মূল্যস্ফীতি আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে, বাড়বে জনদুর্ভোগ।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিদেশি সাহায্য বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৭ শতাংশ। বিদেশি সাহায্য বাস্তবায়নের এ হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বছর এডিপির মোট আকার ৪৬ হাজার কোটি টাকা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এডিপির আকার ছোট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ব্যয় সাশ্রয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্প ইতিমধ্যে গৃহীত হয়েছে সেগুলোতে অর্থায়ন
অব্যাহত থাকবে। এডিপি বাস্তবায়নে বিদেশি সাহায্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিকল্পনা সচিব বলেন, সাহায্য দ্রুত ছাড় করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ ও স্থানীয় সরকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও বড় মন্ত্রণালয়গুলোর বেশির ভাগ প্রকল্পই এখন আর্থিক সংকটের মুখে। বিশেষ করে দাতাদের সহায়তাভিত্তিক প্রকল্পগুলোর অবস্থা নাজুক। মোট এডিপির ৮০ ভাগ অর্থ ওই সব মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে জাইকার অর্থায়নে আশুগঞ্জে ৯৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রে টাকার অভাবে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিদ্যুতের আরেকটি বড় প্রকল্প সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের কাজও আটকে আছে। ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০১০ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বহুল আলোচিত ও জনগুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতু ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে প্রকল্পের। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত সওজের 'গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন প্রকল্প' অনুমোদনের এক বছর পরও অর্থের জোগান এখনও নিশ্চিত হয়নি। অর্থাভাবে নতুন স্কুল-কলেজ এমপিও করা বন্ধ রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই কারণে ৩ হাজার বেসরকারি স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। অভিন্ন অবস্থা উপজেলার মডেল স্কুল প্রকল্পের। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনগুরুত্বপূর্ণ ও সর্ববৃহৎ 'হেলথ পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রিশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম' বা এইচপিএনএসডিপির কাজ এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। জটিলতার কারণে আটকে আছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উন্নতমানের বীজ বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প।
তবে মন্ত্রণালয়গুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দাতাদের নানা জটিল শর্তের কারণে অর্থ ছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া দরপত্র প্রক্রিয়া ও ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ করেন তারা। শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, এ বছর তার মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বেশির ভাগ কাজ কেবল শুরু হয়েছে। আগামীতে কাজ বেড়ে গেলে সমস্যা বাড়বে।
বিদেশি সাহায্য কমার কারণ :বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে মন্দাভাব চলছে। মন্দা দীর্ঘস্থায়ী হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. জায়েদ বখত বলেন, বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এ অবস্থায় নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থের জোগান দেওয়া হলে আর্থিক চাপ আরও বাড়বে। তখন ব্যাংক থেকে আরও টাকা ধার করতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে ব্যাহত হবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা। তাই সরকারের উচিত কম গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে রাজনৈতিক বিবেচনায় গৃহীত প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ রাখা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী তসলিম বলেন, পাইপলাইনে বিপুল পরিমাণ সাহায্য আটকে আছে। অনেক দিন ধরে চেষ্টা চলছে ছাড় করানোর। কোনো কাজ হচ্ছে না। ওই টাকা ছাড় করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিশ্রুত সহায়তার মাত্র ১৮ ভাগ পাওয়া গেছে। অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিশ্রুত অর্থ ছিল ১৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে পাওয়া গেছে মাত্র ৩৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের এ সময়ে এসেছিল ৪৪ কোটি ডলার। প্রাপ্ত ৩৩ কোটি ডলারের মধ্যে সুদ বাবদ সরকার পরিশোধ করেছে ৩২ কোটি ডলার। ফলে নিট সাহায্য পাওয়া গেছে মাত্র ৭০ লাখ ডলার। সাহায্য প্রবাহের এই প্রবণতা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবছরের জন্য বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার, যা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ১০০ কোটি ডলার রয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এখনও বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। মোট এডিপির ৪৯ ভাগ বিদেশি উৎস থেকে জোগান দেওয়া হয়।
উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির চিত্র
শিক্ষা : আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষা খাতের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ থমকে গেছে। চাহিদার বিপরীতে প্রতিটি প্রকল্পের বরাদ্দ মিলেছে খুবই কম। আগামীতে এ অর্থ সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। অবশ্য আর্থিক সংকটের কথা সরাসরি স্বীকার না করে শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, আগামীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ আরও বেশি লাগবে_ এটুকু বলা যায়। চলমান ও নতুন মিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মোট উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে ৬৫টি। এর মধ্যে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প ২৮টি। সবচেয়ে বড় প্রকল্প 'মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন প্রকল্প' (এসইএসডিপি), 'সেকায়েপ', 'টিকিউআই', 'হেকেপ', কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন 'স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট', স্কিল অ্যান্ড ট্রেনিং এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট প্রভৃতি। নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৩৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৮টি উপজেলায় আইসিটি রিসোর্স সেন্টার। অর্থের অভাবে এখন এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় ৩০৬টি উপজেলায় মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ থমকে গেছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখা থেকে কার্যক্রম স্থগিত রাখতে প্রকল্প পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলামকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পেয়ে বর্তমানে 'তিন হাজার বেসরকারি স্কুলের অকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প' কাজে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে ৬৯৬ কোটি টাকা চাইলেও অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ১২০ কোটি টাকা। একইভাবে ৭০টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া ঢিমেতালে এগোচ্ছে।
বিদ্যুৎ : প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় আট থেকে দশটি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়েছে। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ভোলায় ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগে ভাটা পড়েছে। পাওয়ার সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটি গত জুনে কাজ শুরু করার কথা ছিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের টাকা না পাওয়ায় প্রকল্পের কাজ থমকে আছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী বছর প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার কথা। গ্রেটার চট্টগ্রাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পের অবস্থা নাজুক। কুয়েত আলোচ্য প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন তারা না করে দিয়েছে। ফলে মাঝপথে এসে এর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়াতে দুই বছর আগে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজই শুরু হয়নি। জাইকার অর্থ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, চলমান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮৫১ মেগাওয়াট ও আগামী বছর ৮৩৮ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি সাহায্য ব্যবহারের হার মাত্র ৮ ভাগ। চলমান ও নতুন মিলে বিদ্যুৎ বিভাগে মোট প্রকল্পের সংখ্যা ৪৬।
যোগাযোগ : দাতাদের সহায়তায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পের সংখ্যা ১৪। ওই সব প্রকল্পের বিপরীতে চলতি এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ কোটি টাকা। ভারতের প্রতিশ্রুত অর্থ না পাওয়ায় ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সড়ক বিভাগের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ৬টি প্রকল্প অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা ছাড় করেনি এডিবি। ওই সব প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ৫শ' থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর সাব-রিজিওনাল, ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট করিডোর ইত্যাদি।
কৃষি : নতুন ও চলমানসহ চলতি অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা ৬০। ওই সব প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ ৯৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি সহায়তার অংশ ১৯২ কোটি টাকা। চার মাসে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিদেশি সহায়তা ব্যবহৃত হয়েছে মাত্র ২১ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১১ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দাতাদের নানা জটিল শর্তের কারণে টাকা যথাসময়ে ছাড় না হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নে শ্লথ গতি দেখা দিয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সরকার : এডিপির এক-চতুর্থাংশের টাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হলেও এ মন্ত্রণালয়ের অবস্থা মোটেই সন্তোষজনক নয়। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ওই মন্ত্রণালয় মাত্র ১ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে, যা বরাদ্দের মাত্র ১০ শতাংশ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১৩৭। তার মধ্যে বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের সংখ্যা অর্ধশত। দরপত্র ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে বাস্তবায়ন ঠিকমতো হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.