লাগাতার আন্দোলনের হুমকি ফখরুলের

ঢাকা বিভক্তি ঠেকাতে প্রয়োজনে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোববারের হরতাল শুরু মাত্র। এতে সরকারের টনক না নড়লে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ঢাকা বিভক্তির মাধ্যমে সরকার সংবিধান পরিপন্থী কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, এ অপরাধের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রিপরিষদকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে


হবে।গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। ঢাকাকে দুই ভাগ করার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।
ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায় পূর্ণাঙ্গ প্রকাশের আগেই ওই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এবারও ঢাকা বিভক্তি নিয়ে আদালতের রিট নিষ্পত্তি হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে আইন পাস করানো হয়। এতটুকু ধৈর্য তাদের নেই।
তিনি বলেন, ঢাকা আমাদের ঐতিহ্য, ভালোবাসা। এই 'গণবিরোধী' সরকার ঢাকাকে দুই ভাগ করে জনগণের হৃৎপিণ্ডকে দুই টুকরো করেছে। এই চক্রান্ত দেশের একজন মানুষও মেনে নেয়নি। সব শ্রেণীর মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকল।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের অভিযোগ, টিপাইমুখ বাঁধ ও পদ্মা সেতুর দুর্নীতি বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দ্রব্যমূল্য ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সরকার শুধু বিরোধী নেতাকর্মীদের দমনে ব্যস্ত। তাই মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে রেহাই চায়।
ফখরুল বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনে সরকার বিরোধী দলের ২৬ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। নিজস্ব লোক দিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাতে নেতাকর্মীরা অংশ না নেয়, সে জন্যই এ 'মামলাবাজ' সরকার মামলা দিচ্ছে। কিন্তু নির্যাতন এবং মামলা দিয়ে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপি আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ঢাকাকে দুই ভাগ করে এই শহরের মর্যাদা নষ্ট করা হচ্ছে। এই স্বপ্নের শহরকে ভাগ করে সরকার মানুষের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এটি সরকারের একগুঁয়েমি, স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক কাজ। হরতাল সফল করতে নেতাকর্মীদের তিনি আহ্বান জানান।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী ছিল_ হান্নান শাহ : গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা পার্বত্য শান্তিচুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমানাধিকার আন্দোলন কর্মসূচির আয়োজন করে।
হান্নান শাহ বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে একটি আদিবাসী সংগঠনের কাছে দেশের বৃহৎ একটি অংশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে। শান্তির নামে একটি অপশক্তির কাছে মাথানত করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.