ভুল ওষুধ খেয়ে প্রলাপ বকছেন পেলে!-বললেন ম্যারাডোনা
ছাইপাশ খাওয়ার অভ্যেসটা ডিয়েগো ম্যারাডোনারই ছিল, সব ছেড়েছুড়ে এখন অবশ্য নিজেকে সুস্থ বলেই দাবি করেন 'আর্জেন্টাইন ফুটবল-ঈশ্বর'। জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে এখন দুবাইতে আল ওয়াসলকে কোচিং করাচ্ছেন ম্যারাডোনা, আকাশি-নীলদের খেলাও নাকি খুব একটা দেখা হয় না তাঁর। ভৌগোলিকভাবে অনেকটা দূরে থাকলেও ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের লড়াইটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন ম্যারাডোনা।
নেইমারকে মেসির চেয়ে ভালো দাবি করা পেলের মন্তব্যের জের হিসেবে ম্যারাডোনার দাবি, ভুলভাল ওষুধ খেয়েই এমন উল্টাপালটা বকছেন পেলে!
কৌশলের দিক দিয়ে মেসির চেয়ে নেইমার এগিয়ে। নিজের সাবেক দলের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ ফুটবলারকে নিয়ে এমন একটা মন্তব্যই করেছিলেন পেলে, হয়তো তাতে প্রচ্ছন্ন স্নেহেরও একটা ছোঁয়া ছিল। কিন্তু এই মন্তব্যেই জ্বলন্ত উনুনের আঁচ পাচ্ছেন ম্যারাডোনা। তাই যার মধ্যে নিজের ছায়া খুঁজে পান, সেই লিওনেল মেসির 'অবমাননা' একদমই মেনে নিতে না পেরে পেলের সমালোচনার তুবড়ি ছুটিয়েছেন, 'মনে হচ্ছে পেলে ভুল ওষুধ খেয়েছেন। রাতে খাওয়ার ওষুধের বদলে সকালে খাওয়ার ওষুধটা গিলে ফেলেছিলেন তিনি। এ কারণেই তালগোল পাকিয়ে কি সব যে তিনি বলেছেন, যার মাথামুণ্ডু হয়তো নিজেই জানেন না..। তাঁর প্রতি আমার পরামর্শ, এরপর কোনো কিছু বলার আগে দেখেশুনে সঠিক ওষুধটা খান, নয়তো ডাক্তার বদলান'_এভাবেই পেলেকে ধুয়ে দিয়েছেন ম্যারাডোনা। শ্রেষ্ঠত্বের আসন নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা দ্বৈরথ চলছে লম্বা সময় ধরে। বিশেষ করে ফিফার শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের পুরস্কার নিয়েই বেধেছিল গোলমাল। প্রথমে ফিফার ভোট গ্রহণ পদ্ধতি ছিল ইন্টারনেটভিত্তিক। কিন্তু পরে বলা হয় বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই পেলের খেলা দেখার সুযোগ পাননি, তাই ম্যারাডোনাই বেশি ভোট পাবেন। যে কারণে 'ফ্যামিলি অব ফুটবল' নামের একটি অভিভাবক কমিটি বেছে নেয় পেলেকেই, যদিও ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন ম্যারাডোনাই। অবশেষে দুজনকেই ভাগাভাগি করতে হয় সেই পুরস্কার। সব মিলিয়ে ফুটবলের এ দুই মহারথীর সম্পর্কটা কখনোই উষ্ণ ছিল না, সাম্প্রতিক সময়ে মেসি-নেইমার শ্রেষ্ঠত্বের দ্বৈরথে দুজনই যাঁর যাঁর দেশের ফুটবলারের পক্ষ অবলম্বন করায় জটিলতা বাড়তেই থাকে। ম্যারাডোনার সাম্প্রতিক মন্তব্যেই যার প্রমাণ।
মায়ের অন্তিম ক্রিয়াকর্ম শেষে গতকালই দুবাইতে ফিরেছেন ম্যারাডোনা, জানিয়েছেন জীবনের সবচেয়ে 'আবেগঘন' সময়টা পার করছেন তিনি। তবে পেশাদারি বাস্তবতায় দ্রুতই তিনি ফিরে এসেছেন মাঠের জগতে, 'সময়টা খুবই আবেগী ছিল আমার জন্য। তবে আমার মায়ের অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম যে চিন্তাটা আমার মাথায় এসেছিল, তা হচ্ছে আমাকে দলের কাছে ফিরে আসতে হবে। এটা তাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা। তারা আমার পাশে সব সময় ছিল, তারা খুব ভালো ফর্মে আছে।' এপি
কৌশলের দিক দিয়ে মেসির চেয়ে নেইমার এগিয়ে। নিজের সাবেক দলের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ ফুটবলারকে নিয়ে এমন একটা মন্তব্যই করেছিলেন পেলে, হয়তো তাতে প্রচ্ছন্ন স্নেহেরও একটা ছোঁয়া ছিল। কিন্তু এই মন্তব্যেই জ্বলন্ত উনুনের আঁচ পাচ্ছেন ম্যারাডোনা। তাই যার মধ্যে নিজের ছায়া খুঁজে পান, সেই লিওনেল মেসির 'অবমাননা' একদমই মেনে নিতে না পেরে পেলের সমালোচনার তুবড়ি ছুটিয়েছেন, 'মনে হচ্ছে পেলে ভুল ওষুধ খেয়েছেন। রাতে খাওয়ার ওষুধের বদলে সকালে খাওয়ার ওষুধটা গিলে ফেলেছিলেন তিনি। এ কারণেই তালগোল পাকিয়ে কি সব যে তিনি বলেছেন, যার মাথামুণ্ডু হয়তো নিজেই জানেন না..। তাঁর প্রতি আমার পরামর্শ, এরপর কোনো কিছু বলার আগে দেখেশুনে সঠিক ওষুধটা খান, নয়তো ডাক্তার বদলান'_এভাবেই পেলেকে ধুয়ে দিয়েছেন ম্যারাডোনা। শ্রেষ্ঠত্বের আসন নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা দ্বৈরথ চলছে লম্বা সময় ধরে। বিশেষ করে ফিফার শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের পুরস্কার নিয়েই বেধেছিল গোলমাল। প্রথমে ফিফার ভোট গ্রহণ পদ্ধতি ছিল ইন্টারনেটভিত্তিক। কিন্তু পরে বলা হয় বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই পেলের খেলা দেখার সুযোগ পাননি, তাই ম্যারাডোনাই বেশি ভোট পাবেন। যে কারণে 'ফ্যামিলি অব ফুটবল' নামের একটি অভিভাবক কমিটি বেছে নেয় পেলেকেই, যদিও ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন ম্যারাডোনাই। অবশেষে দুজনকেই ভাগাভাগি করতে হয় সেই পুরস্কার। সব মিলিয়ে ফুটবলের এ দুই মহারথীর সম্পর্কটা কখনোই উষ্ণ ছিল না, সাম্প্রতিক সময়ে মেসি-নেইমার শ্রেষ্ঠত্বের দ্বৈরথে দুজনই যাঁর যাঁর দেশের ফুটবলারের পক্ষ অবলম্বন করায় জটিলতা বাড়তেই থাকে। ম্যারাডোনার সাম্প্রতিক মন্তব্যেই যার প্রমাণ।
মায়ের অন্তিম ক্রিয়াকর্ম শেষে গতকালই দুবাইতে ফিরেছেন ম্যারাডোনা, জানিয়েছেন জীবনের সবচেয়ে 'আবেগঘন' সময়টা পার করছেন তিনি। তবে পেশাদারি বাস্তবতায় দ্রুতই তিনি ফিরে এসেছেন মাঠের জগতে, 'সময়টা খুবই আবেগী ছিল আমার জন্য। তবে আমার মায়ের অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম যে চিন্তাটা আমার মাথায় এসেছিল, তা হচ্ছে আমাকে দলের কাছে ফিরে আসতে হবে। এটা তাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা। তারা আমার পাশে সব সময় ছিল, তারা খুব ভালো ফর্মে আছে।' এপি
No comments