'আমি কেন ১০ বছর বন্দি ছিলাম' by কাজী আবুল মনসুর,
আ'র পোয়ারে দেখিয়েরে মরিত পাইজ্জুম, ইএন আই আশা ন'গরি। আর পোয়া দেখিয়েরে খোদার কাছে হাজার শোকর গইজ্জি। এবারা যদি আর মউতো হয়, আই হাসি মুখে যাইত পাজ্জুম।'৮০ বছরের ইউসুফ আলীর আর্তনাদ ছিল এ রকম। ১০ বছর ধরে কারাগারে বন্দি থাকার পর আবুল হোসেনকে মুক্ত পেয়ে স্বভাবজাত চট্টগ্রামের ভাষায় কথাগুলো বলেন ইউসুফ আলী। 'আমার ছেলেকে দেখে মরতে পারব কি-না, এমন আশা তো করিনি।
আমার ছেলেকে দেখে খোদার কাছে হাজার শোকর করছি, এবার যদি আমি মারাও যায়, সে মৃত্যুকে হাসিমুখে গ্রহণ করব।'
নিজেকেই অপরাধী মনে হলো সেই আবুল হোসেনকে দেখতে গিয়ে। আমার কাছেই আবুল হোসেন প্রশ্ন করে বসলেন, 'আমি কেন ১০ বছর বন্দি ছিলাম? কে ফিরিয়ে দেবে আমার যৌবন? নিঃস্ব হয়ে গ্রামে ফিরেও আমি শান্তিতে নেই। আমার ঘুম হয় না, আতঙ্কে চমকে উঠি। আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় আত্মহত্যা করি।'
সাতকানিয়ার উত্তর কাঞ্চনা, শহর থেকে অনেক দূরে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হারুনের সহায়তায় পাহাড়, জঙ্গল পরিবেষ্টিত একটি টংঘরে গিয়ে সন্ধান পেলাম আবুল হোসেনের। নাথপাড়া খালের একটি সাঁকো পার হয়ে কোনোমতে দাঁড়ানো একটি টংঘরে তাদের বাস। ঘরে বৃদ্ধ মা-বাবা, বড় ভাই হাশেমের পরিবার নিয়ে গাদাগাদি করে থাকা। মঙ্গলবার দুপুরে যখন হোসেন জানতে পারলেন শহর থেকে সাংবাদিক এসেছে তার সঙ্গে কথা বলতে তখন হোসেনের ছিল গা-ছাড়া ভাব। দেখে বললেন, কী হবে কথা বলে! তারপরও যখন সান্ত্বনার বাণী পেলেন তখন তার দু'চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগল অশ্রু। ডুকরে কেঁদে বললেন, 'সাংবাদিক ভাই, আমি জানি না এ কোন সাজা খোদা আমাকে দিল? কেন আমি ১৮ বছর ৪ মাস কারাগারে বন্দি ছিলাম। খালাস পেয়েও ১০ বছর আমি মুক্তি পেলাম না?'
কোনো নাটক বা সিনেমার কাহিনী নয়, হোসেন নামে উঠতি যুবকটি শিকার হয়েছিলেন গ্রাম্য রাজনীতির। এমন ঘটনা আমরা সিনেমা-নাটকের কাহিনীতে দেখি। কিন্তু হোসেনের জীবনে বাস্তুব হয়ে দেখা দিল তা। এ কাহিনীরও অন্যতম নায়ক যথাক্রমে গ্রামের চেয়ারম্যান, নাম আতাউর রহমান।
ঘটনা '৮৮ সালের।
হোসেনের দূরসম্পর্কীয় চাচা আলতাফ হোসেনকে কে বা কারা মেরে ফেলেছে_'এমন রব ওঠার পর এলাকার রঞ্জুর দোকান থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আলতাফ চাচাকে পড়ে থাকতে দেখে দৌড়ে ডাক্তার ডেকে ঘরে চলে আসি। রাতে হৈচৈ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি কে বা কারা আলতাফ চাচার লাশটি আমাদের ঘরের সামনে ফেলে রেখে গেছে। ছুটে যাই এলাকার চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কাছে। বিস্তারিত শুনে তিনি আশ্বস্ত করলেন আমাদের। লাশটি পুলিশ নিয়ে যায়।
সকালে চেয়ারম্যান আমাদের ডাকলেন। আমার বাবা, ভাই হাশেম ও আমি চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তিনি বললেন, 'তোমরা সাক্ষী হবে। তিনি কয়েকজন আসামির কথা বললেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে এসব লোকের বিরোধ আছে বলে জানতাম। চেয়ারম্যানের কথা শুনে আমরা বললাম, এ লাশের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা গরিব মানুষ। কেন আমাদের জড়াচ্ছেন? আমরা কোনো সাক্ষী দিতে পারব না। তখন তিনি বললেন, আলতাফের ছেলে রহমান বলেছে, তোমরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। আমরা বললাম, এটি মিথ্যা কথা। আমরা কিছুই জানি না। চেয়ারম্যান সেদিন জানিয়ে দেন, তার কথামতো কাজ না করলে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। আমরা চলে আসি। পরে শুনলাম আমাকে, আমার বাবা, আমার বড় ভাই হাশেম, আমার চাচা ইদ্রিস, চেয়ারম্যানের সঙ্গে যাদের বিরোধ আছে এমন আরও ৮ জনসহ ১২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। সবাই সন্দেহজনক আসামি। ১৯৮৮ সালের ৫ মার্চ মামলাটি করা হয়। পুলিশ আবুল কালাম নামে একজনকে ধরে নিয়ে নানা রকম স্বীকারোক্তি নেয়। পরে আমার বাবা ইউসুফ আলী, ভাই হাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালের শেষের দিকে আমিও ধরা পড়ি। বিচার চলে, পুলিশ চার্জশিট দেওয়ার পর দেখা যায়, আমি আর আমার ভাই হাশেমকে মূল আসামি করে বাকিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সাজায় আমাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আমার বাবা জেল থেকে বের হয়ে চেয়ারম্যানের হাত-পায়ে ধরেন। এতে চেয়ারম্যানের মন গলানো যায়নি। পাগলের মতো আমার বাবা ঘরের গবাদিপশু, আমার বিদেশ যাওয়ার জমানো টাকা খরচ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল আপিলের আবেদন জানাই। বিচারক ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট আমাদের বেকসুর খালাস দেন। এ বিষয়টি আমি জানি না। পরে শুনেছি, আমার ভাই হাশেম খালাস পেয়ে বেরিয়ে গেছেন। আমি তখন কুমিল্লা কারাগারে। একদিন ভাই দেখা করলেন। ভাইকে বললাম, তুমি বেরিয়েছ, আমি কেন বের হতে পারছি না? ভাই দৌড়াদৌড়ি করেন আদালতের বারান্দায়। শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেন। টাকা-পয়সা হারিয়ে মনোবল হারিয়ে ফেলেন। টাকার অভাবে আমার ভাই আর দেখতেও আসতে পারেন না। কুমিল্লা, সিলেট কারাগারের প্রকোষ্ঠে কাটে আমার সশ্রম কারাদণ্ডের দিন। যেখানে মানুষ এক সেকেন্ড সময় নষ্ট করে না, সেখানে আমার হারিয়ে গেল ১৮ বছরের বেশি সময়। কী কষ্ট আর দুঃখ আমার ভেতরে আছে তা আমি কীভাবে বোঝাই!'
গত ১৫ নভেম্বর। সকালে জেলার রফিকুল কাদেরের ডাকে অফিস রুমে এলেন আবুল হোসেন। জেলার তাকে বললেন, 'আজ ছাড়া পাচ্ছেন হোসেন। কেউ কি নিতে আসবে?' হোসেন জানালেন, 'স্যার, ১৮ বছরে পথঘাট ভুলে গেছি। তারপরও নিজের বাড়ি চিনব।' রফিকুল কাদের বলেন, 'তার মুক্তির ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ জেল আপিলের ফল জানতে চেয়ে ৪ বার অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় তার মুক্তি হয়নি।'
কেমন করে মুক্তি পেল হোসেন_এ প্রশ্নের সঠিক জবাব পাওয়া না গেলেও জানা গেছে, বিষয়টি কোনোভাবে জানতে পারেন জেলা ও দায়রা জজ আবদুল কুদ্দুস মিয়া। তিনি পুরনো ফাইলে তার খালাসনামা খুঁজতে বলেন। ধূলি জড়ানো ফাইলে বেরিয়ে আসে হাইকোর্টের খালাসনামার কাগজটি। তিনি ক্ষুব্ধ হন, হন হতবাক। ওই আদালতে এখন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দা হোসনে আরা। তিনি তাকে নির্দেশ দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খালাসনামাটি যেন কারাগারে পেঁৗছে। দায়িত্ব নিয়ে বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা দ্রুত হোসেনকে মুক্তি দিতে আদেশ দেন। কপিও পেঁৗছে দেওয়া হয় কারাগারে। দীর্ঘ ১৮ বছর ৪ মাসের বন্দিত্ব অবসান করে অবশেষে বের হলেন হোসেন। হ
নিজেকেই অপরাধী মনে হলো সেই আবুল হোসেনকে দেখতে গিয়ে। আমার কাছেই আবুল হোসেন প্রশ্ন করে বসলেন, 'আমি কেন ১০ বছর বন্দি ছিলাম? কে ফিরিয়ে দেবে আমার যৌবন? নিঃস্ব হয়ে গ্রামে ফিরেও আমি শান্তিতে নেই। আমার ঘুম হয় না, আতঙ্কে চমকে উঠি। আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় আত্মহত্যা করি।'
সাতকানিয়ার উত্তর কাঞ্চনা, শহর থেকে অনেক দূরে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হারুনের সহায়তায় পাহাড়, জঙ্গল পরিবেষ্টিত একটি টংঘরে গিয়ে সন্ধান পেলাম আবুল হোসেনের। নাথপাড়া খালের একটি সাঁকো পার হয়ে কোনোমতে দাঁড়ানো একটি টংঘরে তাদের বাস। ঘরে বৃদ্ধ মা-বাবা, বড় ভাই হাশেমের পরিবার নিয়ে গাদাগাদি করে থাকা। মঙ্গলবার দুপুরে যখন হোসেন জানতে পারলেন শহর থেকে সাংবাদিক এসেছে তার সঙ্গে কথা বলতে তখন হোসেনের ছিল গা-ছাড়া ভাব। দেখে বললেন, কী হবে কথা বলে! তারপরও যখন সান্ত্বনার বাণী পেলেন তখন তার দু'চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগল অশ্রু। ডুকরে কেঁদে বললেন, 'সাংবাদিক ভাই, আমি জানি না এ কোন সাজা খোদা আমাকে দিল? কেন আমি ১৮ বছর ৪ মাস কারাগারে বন্দি ছিলাম। খালাস পেয়েও ১০ বছর আমি মুক্তি পেলাম না?'
কোনো নাটক বা সিনেমার কাহিনী নয়, হোসেন নামে উঠতি যুবকটি শিকার হয়েছিলেন গ্রাম্য রাজনীতির। এমন ঘটনা আমরা সিনেমা-নাটকের কাহিনীতে দেখি। কিন্তু হোসেনের জীবনে বাস্তুব হয়ে দেখা দিল তা। এ কাহিনীরও অন্যতম নায়ক যথাক্রমে গ্রামের চেয়ারম্যান, নাম আতাউর রহমান।
ঘটনা '৮৮ সালের।
হোসেনের দূরসম্পর্কীয় চাচা আলতাফ হোসেনকে কে বা কারা মেরে ফেলেছে_'এমন রব ওঠার পর এলাকার রঞ্জুর দোকান থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আলতাফ চাচাকে পড়ে থাকতে দেখে দৌড়ে ডাক্তার ডেকে ঘরে চলে আসি। রাতে হৈচৈ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি কে বা কারা আলতাফ চাচার লাশটি আমাদের ঘরের সামনে ফেলে রেখে গেছে। ছুটে যাই এলাকার চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কাছে। বিস্তারিত শুনে তিনি আশ্বস্ত করলেন আমাদের। লাশটি পুলিশ নিয়ে যায়।
সকালে চেয়ারম্যান আমাদের ডাকলেন। আমার বাবা, ভাই হাশেম ও আমি চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তিনি বললেন, 'তোমরা সাক্ষী হবে। তিনি কয়েকজন আসামির কথা বললেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে এসব লোকের বিরোধ আছে বলে জানতাম। চেয়ারম্যানের কথা শুনে আমরা বললাম, এ লাশের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা গরিব মানুষ। কেন আমাদের জড়াচ্ছেন? আমরা কোনো সাক্ষী দিতে পারব না। তখন তিনি বললেন, আলতাফের ছেলে রহমান বলেছে, তোমরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। আমরা বললাম, এটি মিথ্যা কথা। আমরা কিছুই জানি না। চেয়ারম্যান সেদিন জানিয়ে দেন, তার কথামতো কাজ না করলে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। আমরা চলে আসি। পরে শুনলাম আমাকে, আমার বাবা, আমার বড় ভাই হাশেম, আমার চাচা ইদ্রিস, চেয়ারম্যানের সঙ্গে যাদের বিরোধ আছে এমন আরও ৮ জনসহ ১২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। সবাই সন্দেহজনক আসামি। ১৯৮৮ সালের ৫ মার্চ মামলাটি করা হয়। পুলিশ আবুল কালাম নামে একজনকে ধরে নিয়ে নানা রকম স্বীকারোক্তি নেয়। পরে আমার বাবা ইউসুফ আলী, ভাই হাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। ১৯৮৮ সালের শেষের দিকে আমিও ধরা পড়ি। বিচার চলে, পুলিশ চার্জশিট দেওয়ার পর দেখা যায়, আমি আর আমার ভাই হাশেমকে মূল আসামি করে বাকিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সাজায় আমাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আমার বাবা জেল থেকে বের হয়ে চেয়ারম্যানের হাত-পায়ে ধরেন। এতে চেয়ারম্যানের মন গলানো যায়নি। পাগলের মতো আমার বাবা ঘরের গবাদিপশু, আমার বিদেশ যাওয়ার জমানো টাকা খরচ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল আপিলের আবেদন জানাই। বিচারক ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট আমাদের বেকসুর খালাস দেন। এ বিষয়টি আমি জানি না। পরে শুনেছি, আমার ভাই হাশেম খালাস পেয়ে বেরিয়ে গেছেন। আমি তখন কুমিল্লা কারাগারে। একদিন ভাই দেখা করলেন। ভাইকে বললাম, তুমি বেরিয়েছ, আমি কেন বের হতে পারছি না? ভাই দৌড়াদৌড়ি করেন আদালতের বারান্দায়। শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেন। টাকা-পয়সা হারিয়ে মনোবল হারিয়ে ফেলেন। টাকার অভাবে আমার ভাই আর দেখতেও আসতে পারেন না। কুমিল্লা, সিলেট কারাগারের প্রকোষ্ঠে কাটে আমার সশ্রম কারাদণ্ডের দিন। যেখানে মানুষ এক সেকেন্ড সময় নষ্ট করে না, সেখানে আমার হারিয়ে গেল ১৮ বছরের বেশি সময়। কী কষ্ট আর দুঃখ আমার ভেতরে আছে তা আমি কীভাবে বোঝাই!'
গত ১৫ নভেম্বর। সকালে জেলার রফিকুল কাদেরের ডাকে অফিস রুমে এলেন আবুল হোসেন। জেলার তাকে বললেন, 'আজ ছাড়া পাচ্ছেন হোসেন। কেউ কি নিতে আসবে?' হোসেন জানালেন, 'স্যার, ১৮ বছরে পথঘাট ভুলে গেছি। তারপরও নিজের বাড়ি চিনব।' রফিকুল কাদের বলেন, 'তার মুক্তির ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ জেল আপিলের ফল জানতে চেয়ে ৪ বার অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় তার মুক্তি হয়নি।'
কেমন করে মুক্তি পেল হোসেন_এ প্রশ্নের সঠিক জবাব পাওয়া না গেলেও জানা গেছে, বিষয়টি কোনোভাবে জানতে পারেন জেলা ও দায়রা জজ আবদুল কুদ্দুস মিয়া। তিনি পুরনো ফাইলে তার খালাসনামা খুঁজতে বলেন। ধূলি জড়ানো ফাইলে বেরিয়ে আসে হাইকোর্টের খালাসনামার কাগজটি। তিনি ক্ষুব্ধ হন, হন হতবাক। ওই আদালতে এখন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দা হোসনে আরা। তিনি তাকে নির্দেশ দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খালাসনামাটি যেন কারাগারে পেঁৗছে। দায়িত্ব নিয়ে বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা দ্রুত হোসেনকে মুক্তি দিতে আদেশ দেন। কপিও পেঁৗছে দেওয়া হয় কারাগারে। দীর্ঘ ১৮ বছর ৪ মাসের বন্দিত্ব অবসান করে অবশেষে বের হলেন হোসেন। হ
No comments