ইরানে অবরোধ আরোপে মার্কিন সিনেটররা এককাট্টা
ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি পাস হয়। মূলত ইরানের তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এ প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।একই দিন সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)ও ইরানের ১৮০ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন কম্পানির ওপর অবরোধ আরোপ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর রবার্ট মেনেনদেজ ও রিপাবলিকান সিনেটর মার্ক ক্রিক যৌথভাবে প্রস্তাবটি সিনেটে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি সিনেটে ১০০-০ ভোটে পাস হয়। এতে বলা হয়েছে, ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যেসব বিদেশি ব্যাংক লেনদেন করবে তাদের সঙ্গে মার্কিন ব্যাংকগুলো লেনদেন বন্ধ করে দেবে। প্রস্তাব উত্থাপনকারীরা মার্কিন ব্যাংকে থাকা ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও আহ্বান জানান। তবে ইরানে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসংক্রান্ত সরঞ্জামাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে অবরোধ কার্যকর হবে না।
উচ্চকক্ষে পাস হওয়া প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হতে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুমোদন লাগবে। ইতিমধ্যে ইরানের কোনো ব্যাংকের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন না করার জন্য মার্কিন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ওবামা প্রশাসন।
তবে তেহরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করলে তার প্রভাব বিশ্ব তেলবাজারের ওপর পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, ইরান তেল রপ্তানি বন্ধ করলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, যা তেহরানকেই তহবিল গড়তে সহায়তা করবে।
এ প্রসঙ্গে সিনেটর ক্রিক জানান, তেল সরবরাহ নিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। জ্বালানি তেল সরবরাহে ঘাটতি পড়লে সৌদি আরব প্রয়োজনীয় তেল সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছে বলে তিনি জানান।
সিনেটররা আরো বলেন, ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করলে তা যেন বিশ্ব তেলবাজারকে প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য প্রস্তাব পাসের ছয় মাস পর তা কার্যকর করা হবে।
এদিকে ইইউ ইরানি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অবরোধ আরোপ করলেও তেল সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করেনি। কারণ ইউরোপীয় অনেক দেশ ইরানের সরবরাহ করা তেলের ওপর নির্ভরশীল।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ইইউ এ অবরোধ আরোপ করে। পরমাণু কর্মসূচি থেকে ইরানকে বিরত রাখতে পশ্চিমা দেশগুলো এর আগেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ইরানের দাবি, 'শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি শুরু করেছে।' নিজের অবস্থান থেকে কোনো ছাড় দিতে নারাজ তারা। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
উচ্চকক্ষে পাস হওয়া প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হতে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুমোদন লাগবে। ইতিমধ্যে ইরানের কোনো ব্যাংকের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন না করার জন্য মার্কিন ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ওবামা প্রশাসন।
তবে তেহরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করলে তার প্রভাব বিশ্ব তেলবাজারের ওপর পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, ইরান তেল রপ্তানি বন্ধ করলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, যা তেহরানকেই তহবিল গড়তে সহায়তা করবে।
এ প্রসঙ্গে সিনেটর ক্রিক জানান, তেল সরবরাহ নিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। জ্বালানি তেল সরবরাহে ঘাটতি পড়লে সৌদি আরব প্রয়োজনীয় তেল সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছে বলে তিনি জানান।
সিনেটররা আরো বলেন, ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করলে তা যেন বিশ্ব তেলবাজারকে প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য প্রস্তাব পাসের ছয় মাস পর তা কার্যকর করা হবে।
এদিকে ইইউ ইরানি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অবরোধ আরোপ করলেও তেল সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করেনি। কারণ ইউরোপীয় অনেক দেশ ইরানের সরবরাহ করা তেলের ওপর নির্ভরশীল।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ইইউ এ অবরোধ আরোপ করে। পরমাণু কর্মসূচি থেকে ইরানকে বিরত রাখতে পশ্চিমা দেশগুলো এর আগেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ইরানের দাবি, 'শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি শুরু করেছে।' নিজের অবস্থান থেকে কোনো ছাড় দিতে নারাজ তারা। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments