কিংবদন্তির কল্পবিজ্ঞানী by আসিফ
বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চার কল্পবিজ্ঞান লেখকের একজন স্যার আর্থার সি. ক্লার্ক। কেবল টেলিযোগাযোগে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রচলন, মহাশূন্যে যান চলাচলের গাণিতিক ব্যাখ্যা কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক কম্পিউটার 'হ্যাল' ধারণার জনক হিসেবেই আমাদের কাছে পরিচিত থাকবেন না ক্লার্ক; একই সঙ্গে কল্পবিজ্ঞানকে ফ্যান্টাসির জগৎ থেকে মুক্তি দিয়ে আধুনিকতায় পেঁৗছে দেওয়ার কৃতিত্বও তার। তিনি বিশ্বাস করতেন, 'মানব সভ্যতা প্রাচীন
কোনো এক এলিয়েন সভ্যতার উত্তরাধিকার।' মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'আমি কখনোই মহাশূন্যে ভ্রমণ করিনি। কিন্তু সেজন্য আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ একদল অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রাণী সেখানে নতুন যুগের সূচনা করার পর মহাশূন্যে সংরক্ষিত চুলের ডিএনএর
মধ্য দিয়ে আমি অনাগত সেই সময়ে বেঁচে থাকব।'
১৯১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের সামারসেটের মাইনহেড গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আর্থার সি. ক্লার্ক। শৈশবে কল্প-বৈজ্ঞানিক কাহিনীর প্রতি তার ছিল দারুণ আগ্রহ। আর এই মুগ্ধতাই বোধহয় তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কল্পনা ও বাস্তবতার সেই অবিশ্বাস্য
জগতে! হাইশে'স গ্রামার স্কুলে মাধ্যমিক শেষ করলেও অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেননি তিনি। তারপর শিক্ষা বোর্ডে কর্মজীবন
শুরু করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান
বাহিনীতে কর্পোরাল পদে, রাডার বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন আর্থার সি. ক্লার্ক। তখন তার অধিকাংশ সময়ই কেটেছে 'গ্রাউন্ড কন্ট্রোলড অ্যাপ্রোচ (জিসিএ)' রাডারে; 'গল্গাইড পাথ' নামের অর্ধ-আত্মজৈবনিক, অবৈজ্ঞানিক কল্পোপন্যাস এই যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা নিয়েই রচিত। যদিও যুদ্ধে জিসিএর বাস্তব প্রয়োগ ঘটেনি। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে ১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯ সালের বার্লিন যুদ্ধে বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যুদ্ধের পর ফের পড়ালেখায় ফিরে যান তিনি। লাভ করেন লন্ডনের কিংস কলেজের গণিত ও পদার্থবিদ্যায় প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি। যোগ দেন 'ব্রিটিশ ইন্টারপেল্গনেটারি সোসাইটি (বিআইএস)' এবং পরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। তার বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলোর কয়েকটি এখানেই বাস্তবায়িত হয়। তার তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে আদর্শ টেলিযোগাযোগ সম্প্রচার পরিকল্পনায়। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ক্লার্ক ১৯৪৫ সালে বিআইসি'র শীর্ষস্থানীয় কারিগরি সদস্যদের কাছে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মহাশূন্য অভিযান ও মহাশূন্যযানের কারিগরি এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক ধারণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য 'ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন' বিষুবরেখার প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার ওপরে স্থাপিত জিওস্টেশন্যারি অরবিটকে 'ক্লার্ক অরবিট' নামে অভিহিত করেছে, যা তিনি অসংখ্য গ্রন্থে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। ক্লার্কের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ১৯৪৮ সালে বিবিসি আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় লিখিত 'দ্য সেন্টিন্যাল'। গল্পটি পুরস্কার না পেলেও, এটি কেবল 'অ্যা স্পেস অডেসি'র ভিত্তিই নয়, তার সব লেখায় বর্ণিত রহস্যময় ও মহাজাগতিক উপকরণের পরিচয়বাহীও।
'দ্য সিটি অ্যান্ড দ্য স্টারস', 'চাইল্ডহুড'স এন্ড' ও '২০০১ সিরিজ'-এ তিনি বলেছেন, 'সংঘাত মানব বিবর্তনের উত্তরণের গতিকে ত্বরান্বিত করে।' মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন, 'লেখক, সমুদ্র তলদেশ অনুসন্ধানী ও মহাশূন্য অভিযানের প্রেরণাদাতা হিসেবে আমার জীবন বর্ণিল। কিন্তু একজন লেখক হিসেবেই আমি বাঁচতে চাই।' ১৬ ডিসেম্বর তার জন্মদিবস উপলক্ষ্যে গভীরভাবে স্মরণ করছি
মধ্য দিয়ে আমি অনাগত সেই সময়ে বেঁচে থাকব।'
১৯১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের সামারসেটের মাইনহেড গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আর্থার সি. ক্লার্ক। শৈশবে কল্প-বৈজ্ঞানিক কাহিনীর প্রতি তার ছিল দারুণ আগ্রহ। আর এই মুগ্ধতাই বোধহয় তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কল্পনা ও বাস্তবতার সেই অবিশ্বাস্য
জগতে! হাইশে'স গ্রামার স্কুলে মাধ্যমিক শেষ করলেও অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেননি তিনি। তারপর শিক্ষা বোর্ডে কর্মজীবন
শুরু করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান
বাহিনীতে কর্পোরাল পদে, রাডার বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন আর্থার সি. ক্লার্ক। তখন তার অধিকাংশ সময়ই কেটেছে 'গ্রাউন্ড কন্ট্রোলড অ্যাপ্রোচ (জিসিএ)' রাডারে; 'গল্গাইড পাথ' নামের অর্ধ-আত্মজৈবনিক, অবৈজ্ঞানিক কল্পোপন্যাস এই যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা নিয়েই রচিত। যদিও যুদ্ধে জিসিএর বাস্তব প্রয়োগ ঘটেনি। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে ১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯ সালের বার্লিন যুদ্ধে বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যুদ্ধের পর ফের পড়ালেখায় ফিরে যান তিনি। লাভ করেন লন্ডনের কিংস কলেজের গণিত ও পদার্থবিদ্যায় প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি। যোগ দেন 'ব্রিটিশ ইন্টারপেল্গনেটারি সোসাইটি (বিআইএস)' এবং পরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। তার বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলোর কয়েকটি এখানেই বাস্তবায়িত হয়। তার তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে আদর্শ টেলিযোগাযোগ সম্প্রচার পরিকল্পনায়। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ক্লার্ক ১৯৪৫ সালে বিআইসি'র শীর্ষস্থানীয় কারিগরি সদস্যদের কাছে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মহাশূন্য অভিযান ও মহাশূন্যযানের কারিগরি এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক ধারণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য 'ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন' বিষুবরেখার প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার ওপরে স্থাপিত জিওস্টেশন্যারি অরবিটকে 'ক্লার্ক অরবিট' নামে অভিহিত করেছে, যা তিনি অসংখ্য গ্রন্থে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। ক্লার্কের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ১৯৪৮ সালে বিবিসি আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় লিখিত 'দ্য সেন্টিন্যাল'। গল্পটি পুরস্কার না পেলেও, এটি কেবল 'অ্যা স্পেস অডেসি'র ভিত্তিই নয়, তার সব লেখায় বর্ণিত রহস্যময় ও মহাজাগতিক উপকরণের পরিচয়বাহীও।
'দ্য সিটি অ্যান্ড দ্য স্টারস', 'চাইল্ডহুড'স এন্ড' ও '২০০১ সিরিজ'-এ তিনি বলেছেন, 'সংঘাত মানব বিবর্তনের উত্তরণের গতিকে ত্বরান্বিত করে।' মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন, 'লেখক, সমুদ্র তলদেশ অনুসন্ধানী ও মহাশূন্য অভিযানের প্রেরণাদাতা হিসেবে আমার জীবন বর্ণিল। কিন্তু একজন লেখক হিসেবেই আমি বাঁচতে চাই।' ১৬ ডিসেম্বর তার জন্মদিবস উপলক্ষ্যে গভীরভাবে স্মরণ করছি
No comments