মেয়র পদে আ'লীগের ৩ ও বিএনপির একজনের মনোনয়নপত্র জমা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও রয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন শুক্রবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট আফজল খান ছাড়াও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু ও নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। অপরদিকে বিএনপি এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও বিদ্রোহী হিসেবে
মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী পৌর মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অ্যাডভোকেট আফজল খান। তিনি বিদ্রোহীদের সিদ্ধান্তকে 'ভুল' হিসেবে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যে দু'জন নির্বাচন করছে, তারা আওয়ামী লীগের সদস্য নয়। 'পোলাপাইন' (ছেলে) মানুষ তারা ভুল করছে। কেন্দ্রের নির্দেশে সব ঠিক হয়ে যাবে। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে তার জন্য কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তবে অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু ও নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জানান, কুমিল্লাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে সাজাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কারও চাপে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব না। এদিকে বৃহস্পতিবার অপর বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল যুগে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
আর বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে যাবে না বলে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী পৌর মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী জানান, ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েনের দাবি নির্বাচন কমিশন না মানায় তারা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সাক্কু বলেন, নির্বাচন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। দল বললে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করতেও রাজি আছেন। এদিকে সাক্কুকে সমর্থন দিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেননি গায়ক আসিফ।
গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে কুমিল্লা টাউন হল সরগরম হয়ে ওঠে। শেষ দিন ভিড় হবে_ এমন ধারণা থেকেই কুমিল্লা টাউন হলে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ২৭টি পদে ২৪২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৭০ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত রয়েছে। ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম নিজেকে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী দাবি করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়াও জেএসডির শিরিন আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য চঞ্চল কুমার ঘোষ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমান সাইদ, মেজর (অব.) মামুনুর রশিদ ও সাংবাদিক হাসানুল আলম মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে মোট ১৮ জন তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আফজল খান কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আফজল খান বলেন, বিদ্রোহীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল বিষয়টি দেখবে।
বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু নাগরিক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অসুবিধা নেই। গত সপ্তাহেও দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের চাপেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। মনিরুল হক সাক্কু ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ৯ মার্চ কুমিল্লা টাউন হলে জাতীয় পার্টির জনসভায় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, সরকারের শরিক দল হিসেবে আমি মহাজোটের প্রার্থী। তার দাবি, জাতীয় পার্টি কুমিল্লায় আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিল জামায়াত
ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েন দাবিতে কুসিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই ঘোষণা দেয় জামায়াত। মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদকে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিল দলটি। তবে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে তারা কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা মাস্টার আমিনুল হক, মোসলেম উদ্দিন, সাংবাদিক আমিনুল হক, সানাউল্লাহ মজুমদার, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক পরিবারের ৩ সদস্যের নির্বাচন
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ভাই হিম্মত খান সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সীমা ও হিম্মত খান বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। আঞ্জুম সুলতানা সীমা বর্তমানে কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুর রউফ জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কয়েক দিন আগে সীমা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবদুল বাতেন জানান, ওই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি-না জানা নেই। বাছাইয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তার আগে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অ্যাডভোকেট আফজল খান। তিনি বিদ্রোহীদের সিদ্ধান্তকে 'ভুল' হিসেবে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যে দু'জন নির্বাচন করছে, তারা আওয়ামী লীগের সদস্য নয়। 'পোলাপাইন' (ছেলে) মানুষ তারা ভুল করছে। কেন্দ্রের নির্দেশে সব ঠিক হয়ে যাবে। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে তার জন্য কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তবে অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু ও নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জানান, কুমিল্লাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে সাজাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কারও চাপে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব না। এদিকে বৃহস্পতিবার অপর বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল যুগে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
আর বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে যাবে না বলে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী পৌর মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী জানান, ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েনের দাবি নির্বাচন কমিশন না মানায় তারা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সাক্কু বলেন, নির্বাচন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। দল বললে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করতেও রাজি আছেন। এদিকে সাক্কুকে সমর্থন দিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেননি গায়ক আসিফ।
গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে কুমিল্লা টাউন হল সরগরম হয়ে ওঠে। শেষ দিন ভিড় হবে_ এমন ধারণা থেকেই কুমিল্লা টাউন হলে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ২৭টি পদে ২৪২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৭০ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত রয়েছে। ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম নিজেকে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী দাবি করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়াও জেএসডির শিরিন আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য চঞ্চল কুমার ঘোষ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমান সাইদ, মেজর (অব.) মামুনুর রশিদ ও সাংবাদিক হাসানুল আলম মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে মোট ১৮ জন তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আফজল খান কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আফজল খান বলেন, বিদ্রোহীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল বিষয়টি দেখবে।
বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু নাগরিক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অসুবিধা নেই। গত সপ্তাহেও দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের চাপেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। মনিরুল হক সাক্কু ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির এয়ার আহমেদ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ৯ মার্চ কুমিল্লা টাউন হলে জাতীয় পার্টির জনসভায় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, সরকারের শরিক দল হিসেবে আমি মহাজোটের প্রার্থী। তার দাবি, জাতীয় পার্টি কুমিল্লায় আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিল জামায়াত
ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েন দাবিতে কুসিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই ঘোষণা দেয় জামায়াত। মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদকে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিল দলটি। তবে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে তারা কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা মাস্টার আমিনুল হক, মোসলেম উদ্দিন, সাংবাদিক আমিনুল হক, সানাউল্লাহ মজুমদার, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক পরিবারের ৩ সদস্যের নির্বাচন
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ভাই হিম্মত খান সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সীমা ও হিম্মত খান বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। আঞ্জুম সুলতানা সীমা বর্তমানে কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুর রউফ জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কয়েক দিন আগে সীমা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবদুল বাতেন জানান, ওই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি-না জানা নেই। বাছাইয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তার আগে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
No comments