ঝরে পড়া শিক্ষার্থী-এই প্রবণতা রোধ করতে হবে
প্রাথমিক পর্যায়েই ঝরে পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। দুঃখজনক হলেও এ সত্যটি আমাদের মেনে নিতেই হচ্ছে। সরকারের হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। অর্ধেক শিক্ষার্থী থেকে যাচ্ছে_এটা ভেবে মিথ্যা সান্ত্বনা পাওয়া যেতে পারে; কিন্তু তাতে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তাকে হাতাশাজনকই বলতে হবে। ২০০৭ সালে যে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল, তারাই এবার
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত সোমবার কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে প্রাথমিকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৫ লাখ। এ বছর পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২৩ লাখ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আসতেই ঝরে গেল প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর অনুপস্থিত থেকেছে অনেকে। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে_এমন আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়। আবার এমনও হতে পারে, অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করার কারণে নিচের ক্লাসেই থেকে যাচ্ছে, তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। অন্যদিকে শুরুতে পরীক্ষা দিতে আসার পর পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় অনেকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। কিন্তু তাতে এটা নিশ্চিত হয় না যে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে না। কেন প্রাথমিকেই শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে?
শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটি দরিদ্র দেশ। দরিদ্র এই দেশে সন্তানদের শিক্ষাদান অনেক অভিভাবকের কাছে বিলাসিতা বলে বিবেচিত হতে পারে। দরিদ্র অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী হলে তাকে অস্বাভাবিক বলা যাবে না। কিন্তু যেখানে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা অবৈতনিক, শিক্ষার প্রাথমিক উপকরণ বই দেওয়া হয় বিনা মূল্যে, সেখানে প্রাথমিক পর্যায় থেকে যেকোনো অঙ্কের শিক্ষার্থী ঝরে পড়াটা দুঃখজনকই বলতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে বা স্কুলে ধরে রাখতে উপযুক্ত পরিবেশ কতটা নিশ্চিত করা গেছে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর আগে খুঁজতে হবে। প্রাথমিক স্তরে পড়তে আসা শিশুদের জন্য প্রয়োজন আনন্দদায়ক পরিবেশ। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কি সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা গেছে? শিশুর জন্য তার পাঠপ্রক্রিয়া কি আনন্দদায়ক? যে বইটি শিশুশিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা কি আকর্ষণীয়? শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ধরে রাখতে হলে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। আজকের শিশুরাই তো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার এই প্রবণতা রোধ করতে হবে। তাদের শ্রেণীকক্ষমুখী করতে সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটি দরিদ্র দেশ। দরিদ্র এই দেশে সন্তানদের শিক্ষাদান অনেক অভিভাবকের কাছে বিলাসিতা বলে বিবেচিত হতে পারে। দরিদ্র অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী হলে তাকে অস্বাভাবিক বলা যাবে না। কিন্তু যেখানে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা অবৈতনিক, শিক্ষার প্রাথমিক উপকরণ বই দেওয়া হয় বিনা মূল্যে, সেখানে প্রাথমিক পর্যায় থেকে যেকোনো অঙ্কের শিক্ষার্থী ঝরে পড়াটা দুঃখজনকই বলতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে বা স্কুলে ধরে রাখতে উপযুক্ত পরিবেশ কতটা নিশ্চিত করা গেছে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর আগে খুঁজতে হবে। প্রাথমিক স্তরে পড়তে আসা শিশুদের জন্য প্রয়োজন আনন্দদায়ক পরিবেশ। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কি সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা গেছে? শিশুর জন্য তার পাঠপ্রক্রিয়া কি আনন্দদায়ক? যে বইটি শিশুশিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা কি আকর্ষণীয়? শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ধরে রাখতে হলে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। আজকের শিশুরাই তো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার এই প্রবণতা রোধ করতে হবে। তাদের শ্রেণীকক্ষমুখী করতে সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
No comments