কংগ্র্যাটস ফর থ্রি by ফজলুল বারী
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অভিনন্দন। অভিনন্দন ওবায়দুল কাদের, ড. হাছান মাহমুদকে। বাংলাদেশের প্রায় সব পার্লামেন্টের সদস্য, দেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এ দেশটির মন্ত্রী হতে তার চল্লিশ বছর লাগল! মুক্তিযুদ্ধের আরেক নেতা, ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমদকে আবার মন্ত্রী করার কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। করলে ভালো হতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন এ যাত্রায় সুযোগটি নিলেন না তা তিনি বলতে পারবেন। যার সুতো যার কাছে। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে। এরজন্য সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর’ও অভিনন্দন পেতে পারেন। আল গোরের অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সহযাত্রী হচ্ছেন হাছান মাহমুদ। অ্যান্টার্কটিকায় বাংলাদেশের একজন হাফমন্ত্রী যাবেন, তা কী হয়! তেলগ্যাস আন্দোলনের নেতাদের একবার টোকাই বলে তিনি সমালোচিত হয়েছেন। আর তার তেমন বদনাম নেই।
মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন ঘষামাজা করলেন তার সরকার নিয়ে সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আর ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারের সমালোচনা প্রকাশের পর। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দেশে গণবিস্ফোরণের আভাস দিয়েছেন। আর কুলদীপ নায়ার ঢাকা ঘুরে দুবাই গিয়ে গালফ নিউজের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্যারিশমা হারিয়েছেন। শেখ হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াতো রোড মার্চের প্রতি বক্তৃতায়ই সরকারকে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন! সবকিছুতেই তার মূল কথাটি, এ সরকার শেষ!`
নানান দেশের রাজনীতিতে এসব হয়। কিন্তু বিরোধীদলের বক্তব্যের রাজনৈতিক জবাব দেয়ার মতো মন্ত্রী যেন কেবিনেটে কম। এটা হয়ত প্রধানমন্ত্রী চান না অথবা অনেকের নিজের চাকরি নিয়ে ভয়! এক মতিয়া চৌধুরী ছড়া কারও বক্তৃতা পাবলিকের কাছে যেন যুৎসইও হয় না। মতিয়ারা বেশি বললেও আওয়ামী লীগার অনেকে আবার দল বামপন্থীদের হাতে চলে গেল বলে হা-হুতাশ করেন। ইমেজ সংকটের কারণে সাহারা খাতুন, ফারুক খান, শাহজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল এদের বক্তৃতায় উল্টো সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঠিকাদার-ব্যবসায়ী-মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে নিজের জন্যেই ইয়া নফসি বলতে হয় সারা সময়। রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়াতেও অবশ্য তিনি অভ্যস্ত নন।
কেবিনেটের বাইরে প্রায় প্রতিদিন নানান অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় বিরোধীদলের নানান জবাবের পাশাপাশি সরকারেরও সমালোচনা করতেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের। শেয়ার কেলেংকারি আর নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন নিয়েও তারা কথা বলেছেন। বিশেষ করে অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল নিয়ে বিশেষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সংবিধান সংশোধন কমিটিতে অনেক কিছু করার কথা বলেও তিনি সুবিধা করতে পারেননি।
হাইকমান্ডের সামনে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকেও বাক বাকুম পায়রা হয়ে যেতে হয়েছে। মন্ত্রী হবার পর প্রতিশ্রুত নানা বিষয় বিশেষ করে অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল প্রশ্নে কী একাট্টা থাকতে পারবেন আমাদের এই সিলেটি দাদা? দেখা যাবে। মন্ত্রিসভায় তার অন্তর্ভূক্তিতে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও তিনি তার আইনি অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক সহায়তা করতে পারেন। হাওর অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হিসাবে অবহেলিত এলাকাগুলোর জনজীবনের উন্নয়ন নিয়েও তার কাছে স্পেশাল প্রত্যাশা থাকবে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ওকে’ কমিশন প্রধান ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের পড়াশুনা করা-জানা নেতাদের অন্যতম। ভালো বক্তৃতা দেন। কাব্যের ছোঁয়াও থাকে তার বক্তৃতায়। গত নির্বাচনেও মওদুদের মতো প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছেন। কিন্তু সরকারে জায়গা না হওয়াতে অনেকদিন ফেসবুক সহ এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ফেসবুকে তার একাউন্ট, স্টেটাসের বক্তব্য সমূহ মাঝে বিশেষ আলোচিত ছিল। ইদানিং দলের নানা রাজনৈতিক দায়িত্বে ব্যস্ততা বাড়লে আলোচিত ফেসবুকেও তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন।
মন্ত্রী হবার পর সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় নেটওয়ার্কে তার আলোচিত অ্যাকাউন্টটা কী একটিভ না ডিএকটিভিটেড হয়ে যাবে? ডিজিটাল সরকারের একজন মন্ত্রীর তেমন একটি অ্যাকাউন্ট থাকুক না। কারণ সেখানে অনেকের সাদাকালো চিন্তা-ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া তরতাজা পাওয়া যায়। এসব ছাড়াও সরকার নিয়ে হতাশ হয়ে পড়া মানুষজনকে আবার আশাবাদী করে তুলতে সুরঞ্জিত-ওবায়দুল দু’জনেরই অনেককিছু করার আছে। সঙ্গে তোফায়েল আহমদ থাকলে আরও ভালো হতো। দলের প্রবীন নেতা আব্দুর রাজ্জাক লন্ডনের হাসপাতালে শুয়ে আছেন। দেশের জন্য অনেক প্রত্যাশার পাশাপাশি নেতা রাজ্জাকের চিকিৎসার জনেও তারা উদ্যোগী হয়ে নিয়মিত দেশবাসীকে জানাবেন এমন আশা সবার। কংগ্র্যাটস এগেইন ফর থ্রি।
মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন ঘষামাজা করলেন তার সরকার নিয়ে সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আর ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারের সমালোচনা প্রকাশের পর। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দেশে গণবিস্ফোরণের আভাস দিয়েছেন। আর কুলদীপ নায়ার ঢাকা ঘুরে দুবাই গিয়ে গালফ নিউজের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্যারিশমা হারিয়েছেন। শেখ হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াতো রোড মার্চের প্রতি বক্তৃতায়ই সরকারকে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন! সবকিছুতেই তার মূল কথাটি, এ সরকার শেষ!`
নানান দেশের রাজনীতিতে এসব হয়। কিন্তু বিরোধীদলের বক্তব্যের রাজনৈতিক জবাব দেয়ার মতো মন্ত্রী যেন কেবিনেটে কম। এটা হয়ত প্রধানমন্ত্রী চান না অথবা অনেকের নিজের চাকরি নিয়ে ভয়! এক মতিয়া চৌধুরী ছড়া কারও বক্তৃতা পাবলিকের কাছে যেন যুৎসইও হয় না। মতিয়ারা বেশি বললেও আওয়ামী লীগার অনেকে আবার দল বামপন্থীদের হাতে চলে গেল বলে হা-হুতাশ করেন। ইমেজ সংকটের কারণে সাহারা খাতুন, ফারুক খান, শাহজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল এদের বক্তৃতায় উল্টো সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঠিকাদার-ব্যবসায়ী-মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে নিজের জন্যেই ইয়া নফসি বলতে হয় সারা সময়। রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়াতেও অবশ্য তিনি অভ্যস্ত নন।
কেবিনেটের বাইরে প্রায় প্রতিদিন নানান অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় বিরোধীদলের নানান জবাবের পাশাপাশি সরকারেরও সমালোচনা করতেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের। শেয়ার কেলেংকারি আর নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন নিয়েও তারা কথা বলেছেন। বিশেষ করে অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল নিয়ে বিশেষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সংবিধান সংশোধন কমিটিতে অনেক কিছু করার কথা বলেও তিনি সুবিধা করতে পারেননি।
হাইকমান্ডের সামনে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকেও বাক বাকুম পায়রা হয়ে যেতে হয়েছে। মন্ত্রী হবার পর প্রতিশ্রুত নানা বিষয় বিশেষ করে অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল প্রশ্নে কী একাট্টা থাকতে পারবেন আমাদের এই সিলেটি দাদা? দেখা যাবে। মন্ত্রিসভায় তার অন্তর্ভূক্তিতে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও তিনি তার আইনি অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক সহায়তা করতে পারেন। হাওর অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হিসাবে অবহেলিত এলাকাগুলোর জনজীবনের উন্নয়ন নিয়েও তার কাছে স্পেশাল প্রত্যাশা থাকবে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ওকে’ কমিশন প্রধান ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের পড়াশুনা করা-জানা নেতাদের অন্যতম। ভালো বক্তৃতা দেন। কাব্যের ছোঁয়াও থাকে তার বক্তৃতায়। গত নির্বাচনেও মওদুদের মতো প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছেন। কিন্তু সরকারে জায়গা না হওয়াতে অনেকদিন ফেসবুক সহ এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ফেসবুকে তার একাউন্ট, স্টেটাসের বক্তব্য সমূহ মাঝে বিশেষ আলোচিত ছিল। ইদানিং দলের নানা রাজনৈতিক দায়িত্বে ব্যস্ততা বাড়লে আলোচিত ফেসবুকেও তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন।
মন্ত্রী হবার পর সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় নেটওয়ার্কে তার আলোচিত অ্যাকাউন্টটা কী একটিভ না ডিএকটিভিটেড হয়ে যাবে? ডিজিটাল সরকারের একজন মন্ত্রীর তেমন একটি অ্যাকাউন্ট থাকুক না। কারণ সেখানে অনেকের সাদাকালো চিন্তা-ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া তরতাজা পাওয়া যায়। এসব ছাড়াও সরকার নিয়ে হতাশ হয়ে পড়া মানুষজনকে আবার আশাবাদী করে তুলতে সুরঞ্জিত-ওবায়দুল দু’জনেরই অনেককিছু করার আছে। সঙ্গে তোফায়েল আহমদ থাকলে আরও ভালো হতো। দলের প্রবীন নেতা আব্দুর রাজ্জাক লন্ডনের হাসপাতালে শুয়ে আছেন। দেশের জন্য অনেক প্রত্যাশার পাশাপাশি নেতা রাজ্জাকের চিকিৎসার জনেও তারা উদ্যোগী হয়ে নিয়মিত দেশবাসীকে জানাবেন এমন আশা সবার। কংগ্র্যাটস এগেইন ফর থ্রি।
No comments