অভিযোগ নিয়ে ব্রিফিং-অদৃশ্য কোথাও থেকে আইসিডিডিআরবিকে ব্যবহার চেষ্টার শঙ্কা
রোগীদের খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সংকটের কথাও। একই সঙ্গে অদৃশ্য কোথাও থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে লাঠি হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টারআশঙ্কাওব্যক্তকরাহয়েছে।আইসিডিডিআরবির ঢাকা হাসপাতালে বুধবার সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (মেডিক্যাল) ড. মার্ক পেট্রনি বলেন,
সম্প্রতি আইসিডিডিআর-বি সার্বিকভাবেই আর্থিক সংকটের মুখে আছে। প্রতিষ্ঠানটির সেবামূলক কার্যক্রমের বিস্তার অনুসারে পর্যাপ্ত অর্থ সাহায্য মিলছে না। দুটি দাতা দেশ সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের কাছে বাড়তি কিছু সাহায্য চেয়েও পাওয়া যায়নি। ফলে আর্থিক সংকট একটু বেশি। তাই সাশ্রয়মূলক নানা পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে সংকট কাটানো সম্ভব হবে। আর এতে রোগীদের কোনো ক্ষতি হয়নি বা হবে না।
ড. মার্ক বলেন, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো কিছু সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। এসব সংবাদে তুলে ধরা অভিযোগগুলোর কোনো সত্যতা নেই। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি স্বীকার করেন, ব্যয় সাশ্রয়মূলক একটি অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক সার্কুলার ইস্যু করে তিনি কিছুটা ভুল করেছেন। যে ভুলের কারণে মাত্র ১০ জন রোগীর স্বজনরা প্রায় ১৫ দিন অন্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কম খাবার পেয়েছেন।
বিফ্রিংকালে ড. মার্ক পেট্রনি বলেন, 'অদৃশ্য কোথাও থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে লাঠি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। তবে আমরা তেমনটা হতে রাজি নই। আমরা আমাদের মতো করে মানুষের সেবা করে যাব।'
ব্রিফিংকালে উপস্থিত কর্মকর্তারা দাবি করেন, আইসিডিডিআর-বিতে কোনো অস্বচ্ছতা নেই। সেবার মানও সংরক্ষিত হয় সর্বোত্তম পর্যায়ে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো বিভেদ-বৈষম্য বা দ্বন্দ্ব নেই। খরচ সাশ্রয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা আছে কি না_এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যদি কোনো পদ শূন্য হয় সেগুলোতে আপাতত নতুন নিয়োগ না দিয়ে নিজেরা বাড়তি দায়িত্ব পালন করে ঘাটতি পূরণ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর-বির কমিউনিকেশন ইউনিটের প্রধান গ্রাহাম যাদ, হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডা. প্রদীপ বর্ধন, ইউনিট প্রধান ডা. আজাহার আলী খান, ইউনিট প্রধান ডা. নুরুল হক, ড. নাশাবা মতিন প্রমুখ।
ড. মার্ক বলেন, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো কিছু সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। এসব সংবাদে তুলে ধরা অভিযোগগুলোর কোনো সত্যতা নেই। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি স্বীকার করেন, ব্যয় সাশ্রয়মূলক একটি অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক সার্কুলার ইস্যু করে তিনি কিছুটা ভুল করেছেন। যে ভুলের কারণে মাত্র ১০ জন রোগীর স্বজনরা প্রায় ১৫ দিন অন্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কম খাবার পেয়েছেন।
বিফ্রিংকালে ড. মার্ক পেট্রনি বলেন, 'অদৃশ্য কোথাও থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে লাঠি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। তবে আমরা তেমনটা হতে রাজি নই। আমরা আমাদের মতো করে মানুষের সেবা করে যাব।'
ব্রিফিংকালে উপস্থিত কর্মকর্তারা দাবি করেন, আইসিডিডিআর-বিতে কোনো অস্বচ্ছতা নেই। সেবার মানও সংরক্ষিত হয় সর্বোত্তম পর্যায়ে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো বিভেদ-বৈষম্য বা দ্বন্দ্ব নেই। খরচ সাশ্রয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা আছে কি না_এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যদি কোনো পদ শূন্য হয় সেগুলোতে আপাতত নতুন নিয়োগ না দিয়ে নিজেরা বাড়তি দায়িত্ব পালন করে ঘাটতি পূরণ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর-বির কমিউনিকেশন ইউনিটের প্রধান গ্রাহাম যাদ, হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডা. প্রদীপ বর্ধন, ইউনিট প্রধান ডা. আজাহার আলী খান, ইউনিট প্রধান ডা. নুরুল হক, ড. নাশাবা মতিন প্রমুখ।
No comments