নাটোরে পুলিশের সামনে যুবলীগের দু'গ্রুপে সশস্ত্র সংঘর্ষ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যনত্ম যুবলীগের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে নাটোর শহর পরিণত হয় রণৰেত্রে। যুবলীগ কর্মীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া আর হামলায় আহত হয়েছে কয়েকজন।
পুলিশ ও প্রত্যৰদর্শীরা জানায়, যুবলীগ কর্মী শাহিন ও ছাত্রলীগ কর্মী শুভর মধ্যে তিন বছর আগের এক ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় যুবলীগ কর্মীদের হাতে এক পুলিশ লাঞ্ছিত হয়। হামলাকারীরা একটি বাস কাউন্টার, টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার ক্যামেরা ও দু'টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। তারা আওয়ামী লীগ নেতা বুড়া চৌধুরীর অফিসে চড়াও হয়ে তার ওপর হামলা করতে উদ্যত হয়। তবে তাঁর কর্মীরা বাধা দেয়ায় তিনি রৰা পেয়েছেন। হামলাকারীরা তাঁর সেলফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষের সময় এক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে প্রত্যৰদর্শীরা জানায়। পুলিশের সামনেই দুই গ্রুপের যুবলীগ কর্মীরা অস্ত্র হাতে একে অপরের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নামে। সরকারী দলের কর্মীদের রণমূর্তি আর লড়াই অসহায় পুলিশকে দেখতে হয় দাঁড়িয়ে থেকে। পরে আর্ম ব্যাটালিয়ন পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র কানাইখালী এলাকার এ ঘটনায় আতঙ্কে লোকজন দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যায়। ফের সংঘর্ষ ঠেকাতে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.