'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়' বই আকারে বের হচ্ছে আজ
'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা :
হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়' বই আকারে বঙ্গবন্ধুর ৯১তম জন্মদিন উপলৰে আজ ১৭
মার্চ বুধবার প্রকাশিত হচ্ছে। সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
এবিএম খায়রুল হক গত কয়েক বছরে কয়েকটি মাইলফলক রায় দিয়েছেন।
বিচারপতি হক ও বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ ২০০৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ
মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ১৫ খণ্ডের বাংলাদেশের 'স্বাধীনতা যুদ্ধ'
দলিলপত্রের তৃতীয় খণ্ড বাজেয়াফত ঘোষণা করেন। এই খ-টিতে বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এ কারণে তৃতীয়
খ- বাতিলের পর রায়টি সাধারণের কাছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার রায় হিসেবে
পরিচিতি পায়। বইটি প্রকাশ করেছে সুবর্ণ প্রকাশনী। ২শ' ৬০ পৃষ্ঠার বইটি ১৫০
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (দোতলায়) পাওয়া যাবে। বইটির প্রকাশক আহমেদ
মাহফুজুল হক জনকণ্ঠকে এই তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালের প্রথম প্রহরে 'স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।' বাঙালী জাতির স্মরণকালের ইতিহাসে একটি স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশভূমি গড়ার সার্বিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭১-এ এবং তা একবারই হয়েছিল। দেশের কোটি বাঙালী বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ যোদ্ধা জাতি রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে সেই একচ্ছত্র নেতৃত্বের নাম শেখ মুজিবুর রহমান।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের রায়ের বিশেষত্ব হলো, ইতিহাসের সত্য তুলে ধরার জন্য এই বিচারপতি তাঁর রায়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ বিশেষ বর্ণনা করেছেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে তিনি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। দেশী-বিদেশী বিপুল তথ্যসমৃদ্ধ এই বিবরণে তুলে ধরেন কেন কিভাবে বাঙালী স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। কিভাবে বঙ্গবন্ধু একজন রাজনৈতিক কর্মী থেকে জাতীয় নেতা এবং শেষ পর্যন্ত জাতির জনকে পরিণত হয়েছিলেন। ইতিহাসের সেই রাখাল রাজার জীবন-ইতিহাস বাঙালী জাতিসত্তার বিকাশের ধারাবাহিকতাই তুলে ধরে। তথ্য-প্রমাণ দিয়ে মার্চের ঘটনাবলী তুলে ধরেন, দুই বিচারপতি একই সঙ্গে কিভাবে বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, কিভাবে পাক হায়েনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয় তারও বর্ণনা করা হয়। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে বর্ণনা দিয়েছেন।
সমস্ত তথ্য তুলে ধরে বিচারপতিদ্বয় রায়ে বলেন, 'এমতাবস্থায় ইহা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০০৪ সালের প্রত্যয়ন কমিটির অভিমত তথ্যভিত্তিক নহে। ইহা প্রকৃত সত্যের পরিপন্থী। তাহা ছাড়া উক্ত অভিমত ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখের দি প্রোকেমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স'র সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বিধায় সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ তাদের আদেশে বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সৈন্যদের 'একত্রিত করিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দেন'... ইত্যাদি বক্তব্যও সংবিধান পরিপন্থী বিধায় অবৈধ ঘোষণা করা হইল 'এই বক্তব্য দলিলপত্রের তৃতীয় খ-সহ যে সকল পুসত্মক-পুসত্মিকা গ্রন্থে বা গ্রন্থখণ্ডে মুদ্রিত বা বিবৃত হইয়াছে অবিলম্বে তাহা বাজেয়াপ্ত করিবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হইল। শুধু তাই নয়, 'বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সর্বপ্রকার ইতিহাস বিকৃতি দূর করত সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার পদৰেপ গ্রহণ করিবে।
এই রায়ের গুরুত্ব হলো, রায়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি সত্যাসত্য রূপ তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ পাঠক, শিৰানুরাগী, বিদ্যার্থী ও গবেষকরা এই বইটিতে ইতিহাস সম্পর্কে একটি অবিকৃত ধারণা পাবেন যা বর্তমান প্রজন্মের জন্য বিশেষ জরুরী। আর এ কারণেই বিচারপতি খায়রুল হকের রায়টি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালের প্রথম প্রহরে 'স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।' বাঙালী জাতির স্মরণকালের ইতিহাসে একটি স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশভূমি গড়ার সার্বিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭১-এ এবং তা একবারই হয়েছিল। দেশের কোটি বাঙালী বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ যোদ্ধা জাতি রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে সেই একচ্ছত্র নেতৃত্বের নাম শেখ মুজিবুর রহমান।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের রায়ের বিশেষত্ব হলো, ইতিহাসের সত্য তুলে ধরার জন্য এই বিচারপতি তাঁর রায়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ বিশেষ বর্ণনা করেছেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে তিনি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। দেশী-বিদেশী বিপুল তথ্যসমৃদ্ধ এই বিবরণে তুলে ধরেন কেন কিভাবে বাঙালী স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। কিভাবে বঙ্গবন্ধু একজন রাজনৈতিক কর্মী থেকে জাতীয় নেতা এবং শেষ পর্যন্ত জাতির জনকে পরিণত হয়েছিলেন। ইতিহাসের সেই রাখাল রাজার জীবন-ইতিহাস বাঙালী জাতিসত্তার বিকাশের ধারাবাহিকতাই তুলে ধরে। তথ্য-প্রমাণ দিয়ে মার্চের ঘটনাবলী তুলে ধরেন, দুই বিচারপতি একই সঙ্গে কিভাবে বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, কিভাবে পাক হায়েনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয় তারও বর্ণনা করা হয়। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে বর্ণনা দিয়েছেন।
সমস্ত তথ্য তুলে ধরে বিচারপতিদ্বয় রায়ে বলেন, 'এমতাবস্থায় ইহা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০০৪ সালের প্রত্যয়ন কমিটির অভিমত তথ্যভিত্তিক নহে। ইহা প্রকৃত সত্যের পরিপন্থী। তাহা ছাড়া উক্ত অভিমত ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখের দি প্রোকেমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স'র সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বিধায় সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ তাদের আদেশে বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সৈন্যদের 'একত্রিত করিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দেন'... ইত্যাদি বক্তব্যও সংবিধান পরিপন্থী বিধায় অবৈধ ঘোষণা করা হইল 'এই বক্তব্য দলিলপত্রের তৃতীয় খ-সহ যে সকল পুসত্মক-পুসত্মিকা গ্রন্থে বা গ্রন্থখণ্ডে মুদ্রিত বা বিবৃত হইয়াছে অবিলম্বে তাহা বাজেয়াপ্ত করিবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হইল। শুধু তাই নয়, 'বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সর্বপ্রকার ইতিহাস বিকৃতি দূর করত সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার পদৰেপ গ্রহণ করিবে।
এই রায়ের গুরুত্ব হলো, রায়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি সত্যাসত্য রূপ তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ পাঠক, শিৰানুরাগী, বিদ্যার্থী ও গবেষকরা এই বইটিতে ইতিহাস সম্পর্কে একটি অবিকৃত ধারণা পাবেন যা বর্তমান প্রজন্মের জন্য বিশেষ জরুরী। আর এ কারণেই বিচারপতি খায়রুল হকের রায়টি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
No comments