বিশেষজ্ঞের চেম্বার থেকে-মানসিক সমস্যা-পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী ,
পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা সমস্যা: আমার বয়স ২৩। বিবাহিত। ঘরের কোনো কিছু অগোছালো দেখলে আমার খুব রাগ হয়, অস্থির লাগে। সেটা না গোছানো পর্যন্ত আমি সুস্থির হই না। এমনকি অন্য কেউ গুছিয়ে দিলেও শান্তি পাই না। সবকিছু আমার নিজের করতে হয়। ১০-১২ বছর বয়স থেকেই আমার এ
অভ্যাস। ক্রমে এটা বেড়ে যাচ্ছে। এখন নিজের বাসা ছাড়া অন্য জায়গায় বেড়াতে গেলেও অগোছালো কোনো কিছু সহ্য করতে পারি না। এই স্বভাবের কারণে স্বামী ও অন্যদের সঙ্গে আমার সব সময় ছোটখাটো ঝগড়া লেগে থাকে। আত্মীয়স্বজনেরা বলেন, এটা মানসিক সমস্যা। এ জন্য আমি একজন চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুদিন ক্যাপসুল প্রোডেপ, ২০ মিগ্রা. করে খেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
মুক্তি
ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: আপনার সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার। এটা একধরনের শুচিবাই। আপনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার চিন্তা আপনার মধ্যে অতি-উদ্বিগ্নতা আর অশান্তি তৈরি হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে বারবার হাত ধোয়া বা একই জিনিস বারবার গোনা বা কোনো বিশেষ বস্তু বারবার স্পর্শ করা বা একই চিন্তা বারবার মনের মধ্যে চলে আসা ইত্যাদি ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। চিকিৎসা না নিলে এটি বাড়তে পারে। আপনি যে ওষুধ খাচ্ছিলেন, তা এ রোগের জন্যই দেওয়া হয়। এ রোগের চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি বিহেভিয়ার থেরাপি (এক্সপোজার ও রেসপনস প্রিভেনশন, থট স্টপিং, ডিসেনসিটাইজেশন ইত্যাদি) কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে বা আপনার নিকটস্থ মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন। মনে রাখবেন, এ রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং সে জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
মুক্তি
ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: আপনার সমস্যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার। এটা একধরনের শুচিবাই। আপনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার চিন্তা আপনার মধ্যে অতি-উদ্বিগ্নতা আর অশান্তি তৈরি হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে বারবার হাত ধোয়া বা একই জিনিস বারবার গোনা বা কোনো বিশেষ বস্তু বারবার স্পর্শ করা বা একই চিন্তা বারবার মনের মধ্যে চলে আসা ইত্যাদি ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। চিকিৎসা না নিলে এটি বাড়তে পারে। আপনি যে ওষুধ খাচ্ছিলেন, তা এ রোগের জন্যই দেওয়া হয়। এ রোগের চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি বিহেভিয়ার থেরাপি (এক্সপোজার ও রেসপনস প্রিভেনশন, থট স্টপিং, ডিসেনসিটাইজেশন ইত্যাদি) কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে বা আপনার নিকটস্থ মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন। মনে রাখবেন, এ রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং সে জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
No comments