শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষানো যাবে কী করে?-ডুয়েটের শিক্ষকদের ছুটির প্রবণতা
ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে বেশ কিছু প্রবণতা লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে, যা পেশাগত নৈতিকতার বিচারে অত্যন্ত নেতিবাচক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকারক। বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন।
এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক পদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম—২২৮টি। এর মধ্যে ৯০টি পদ শূন্য রয়েছে। ১৩৮টি পদে নিয়োজিত শিক্ষকদের মধ্যে আবার ছুটিতে আছেন ৪০ জন শিক্ষক। নয়টি বিভাগ নিয়ে প্রায় দুই হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিদ্যাশিক্ষা চলছে মাত্র ৯৮ জন শিক্ষকের দ্বারা। প্রকৌশলশাস্ত্রের মতো প্রায়োগিক বিদ্যার বিভিন্ন শাখায় এভাবে উন্নতমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা কি সম্ভব?
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে এমন দৃষ্টান্তস্থানীয় শিক্ষকও আছেন, যিনি ১৭ বছরের চাকরিজীবনে ছুটি কাটিয়েছেন প্রায় আট বছর। তারপর ছুটি শেষে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার চার দিনের মাথায় স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন। এই একই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির আরও কিছু শিক্ষকের মধ্যে। এখানে একটা চালাকি আছে: দীর্ঘ ছুটি শেষে আবার কাজে যোগ দিয়ে স্বেচ্ছায় অবসর নিলে ছুটিকালীন আর্থিক সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। যে শিক্ষক ১৭ বছরের চাকরিজীবনের আট বছরই কাটিয়েছেন ছুটিতে, তিনি ছুটিকালীন বেতন-ভাতা তো পেয়েছেনই, স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন অতিরিক্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কাছে কি এই ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করা যায়?
আমাদের প্রত্যাশা চূর্ণ করে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই চর্চাই করছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য দীর্ঘ ছুটি নিয়ে তাঁরা বিদেশে চলে যান, নির্ধারিত ছুটি শেষ হওয়ার পরও অনেকে ফিরে এসে কাজে যোগ দেন না; আর কেউ কেউ এসে যোগ দিয়েই স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে অন্যত্র চাকরিতে ঢোকেন। ডুয়েটের সিন্ডিকেট গত বছর চারজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণের সুপারিশ করেছিল, যাঁরা অননুমোদিতভাবে দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত রয়েছেন, যাঁদের কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশসহ চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে চলতে পারে না। এটা সবার আগে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরই। আইনকানুন প্রয়োগের প্রসঙ্গ তাহলে উঠত না। কিন্তু তাঁরা যদি নৈতিকতার গুরুত্ব উপলব্ধি না করেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্ব বোধ না করেন, যে গরিব জনগণের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে, শিক্ষকেরা বেতন-ভাতা পান, সেই জনগণের প্রতি কোনো দায় বোধ না করেন, তাহলে এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপই নেওয়া উচিত।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে এমন দৃষ্টান্তস্থানীয় শিক্ষকও আছেন, যিনি ১৭ বছরের চাকরিজীবনে ছুটি কাটিয়েছেন প্রায় আট বছর। তারপর ছুটি শেষে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার চার দিনের মাথায় স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন। এই একই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির আরও কিছু শিক্ষকের মধ্যে। এখানে একটা চালাকি আছে: দীর্ঘ ছুটি শেষে আবার কাজে যোগ দিয়ে স্বেচ্ছায় অবসর নিলে ছুটিকালীন আর্থিক সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। যে শিক্ষক ১৭ বছরের চাকরিজীবনের আট বছরই কাটিয়েছেন ছুটিতে, তিনি ছুটিকালীন বেতন-ভাতা তো পেয়েছেনই, স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন অতিরিক্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কাছে কি এই ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করা যায়?
আমাদের প্রত্যাশা চূর্ণ করে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই চর্চাই করছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য দীর্ঘ ছুটি নিয়ে তাঁরা বিদেশে চলে যান, নির্ধারিত ছুটি শেষ হওয়ার পরও অনেকে ফিরে এসে কাজে যোগ দেন না; আর কেউ কেউ এসে যোগ দিয়েই স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে অন্যত্র চাকরিতে ঢোকেন। ডুয়েটের সিন্ডিকেট গত বছর চারজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণের সুপারিশ করেছিল, যাঁরা অননুমোদিতভাবে দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত রয়েছেন, যাঁদের কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশসহ চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবে চলতে পারে না। এটা সবার আগে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরই। আইনকানুন প্রয়োগের প্রসঙ্গ তাহলে উঠত না। কিন্তু তাঁরা যদি নৈতিকতার গুরুত্ব উপলব্ধি না করেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্ব বোধ না করেন, যে গরিব জনগণের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে, শিক্ষকেরা বেতন-ভাতা পান, সেই জনগণের প্রতি কোনো দায় বোধ না করেন, তাহলে এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপই নেওয়া উচিত।
No comments