ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-রাঙামাটির রাঙা ধুলোয় by শারমীন জাহান
রাঙামাটির রাঙা ধুলোর পরশ নিয়ে এলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৩৫ জন শিক্ষার্থী। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনেক দিন ধরেই একটা বার্ষিক শিক্ষাসফরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। প্রথম বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্র তাই সবাই বেরিয়ে পড়লেন ৭ ফেব্রুয়ারি। গন্তব্য রাঙামাটি।
৩৫ জনের মোটামুটি একটা বিশাল দলই বলা চলে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনে। ট্রেনযাত্রাটা হয়ে উঠেছিল দারুণ উপভোগ্য। চট্টগ্রামে পৌঁছে সেখান থেকে বাসে চেপে দলটি পৌঁছে গেল কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য রাঙামাটিতে।
একে একে ঘুরে দেখল সব সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান—জলঝিরি, শুভলং, পেদাটিংটিং, টুকটুক, কাপ্তাই লেক।
কথা হয় মৃৎশিল্প বিভাগের শিক্ষার্থী জেরিন তাসনিমের সঙ্গে। এতগুলো সুন্দর স্থানের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে মনে দাগ কেটেছে জানতে চাইতেই তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লেগেছে জলঝিরি। একটা যন্ত্রচালিত নৌকায় করে সেখানে যাই আমরা। কী যে অপূর্ব এক ঝরনা আছে সেখানে! আসলে পুরো রাঙামাটির একেকটা জায়গা একেক রকম সুন্দর। রাঙামাটির মতো সুন্দর জেলা বাংলাদেশের গর্ব। না এলে সত্যিই মিস করতাম।’
শিল্পকলা ইতিহাসের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী অর্জুন মারমা মং। ওর বাড়িতে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণে যাই একদিন। কাঠের তৈরি অসাধারণ একটি বাড়ি! অন্য রকম খাবার খেলাম সেখানে। বিরিয়ানির মতো খানিকটা—অদ্ভুত মজার একটা খাবার। মূলত অর্জুন আমাদের সব জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখায়। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ওখানকার স্বচ্ছ পানি। সবুজাভ নীল রঙের! নিচের সবকিছু যেন দেখা যায়!’
কথা হয় ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে। আরিফ বলেন, ‘ভয়ংকর সুন্দর বুঝি একেই বলে! দারুণ জায়গা রাঙামাটি! পাহাড়ের উঁচু-নিচু পথ। রাস্তাভ্রমণ দারুণ রোমাঞ্চকর! অনেকেই বাসের ছাদে বসে খুব মজা করে এসেছি ফেরার দিন। ইশ্, যদি আরও কিছুদিন থাকতে পারতাম!’
এভাবেই রঙিন নানা স্মৃতি সঙ্গে করে ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে আসে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের দলটি। ক্লাসের ফাঁকে এখনো উঁকি দেয় রাঙামাটির পথে পথের সেই রাঙা ধূলি...
একে একে ঘুরে দেখল সব সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান—জলঝিরি, শুভলং, পেদাটিংটিং, টুকটুক, কাপ্তাই লেক।
কথা হয় মৃৎশিল্প বিভাগের শিক্ষার্থী জেরিন তাসনিমের সঙ্গে। এতগুলো সুন্দর স্থানের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে মনে দাগ কেটেছে জানতে চাইতেই তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লেগেছে জলঝিরি। একটা যন্ত্রচালিত নৌকায় করে সেখানে যাই আমরা। কী যে অপূর্ব এক ঝরনা আছে সেখানে! আসলে পুরো রাঙামাটির একেকটা জায়গা একেক রকম সুন্দর। রাঙামাটির মতো সুন্দর জেলা বাংলাদেশের গর্ব। না এলে সত্যিই মিস করতাম।’
শিল্পকলা ইতিহাসের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী অর্জুন মারমা মং। ওর বাড়িতে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণে যাই একদিন। কাঠের তৈরি অসাধারণ একটি বাড়ি! অন্য রকম খাবার খেলাম সেখানে। বিরিয়ানির মতো খানিকটা—অদ্ভুত মজার একটা খাবার। মূলত অর্জুন আমাদের সব জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখায়। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ওখানকার স্বচ্ছ পানি। সবুজাভ নীল রঙের! নিচের সবকিছু যেন দেখা যায়!’
কথা হয় ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে। আরিফ বলেন, ‘ভয়ংকর সুন্দর বুঝি একেই বলে! দারুণ জায়গা রাঙামাটি! পাহাড়ের উঁচু-নিচু পথ। রাস্তাভ্রমণ দারুণ রোমাঞ্চকর! অনেকেই বাসের ছাদে বসে খুব মজা করে এসেছি ফেরার দিন। ইশ্, যদি আরও কিছুদিন থাকতে পারতাম!’
এভাবেই রঙিন নানা স্মৃতি সঙ্গে করে ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে আসে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের দলটি। ক্লাসের ফাঁকে এখনো উঁকি দেয় রাঙামাটির পথে পথের সেই রাঙা ধূলি...
No comments