প্রতি ইউনিটের দাম ৪ টাকা-দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিদ্যুৎ ক্রয়সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে দুই রুপি ৮০ পয়সা (প্রায় চার টাকা)। ভারত ‘আন এলোটেড’ কোটা থেকে বাংলাদেশকে এই বিদ্যুৎ দেবে।


এ ছাড়া দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারত থেকে আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। আগামী বছরের জুন নাগাদ এই বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
নয়াদিল্লিতে গতকাল বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ কেনাসংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎসচিব আবুল কালাম আজাদ নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান এবং ভারতের পক্ষে নাশনাল বিদ্যুৎ বিকাশ নিগামের (এনভিভিএন) প্রধান। বাংলাদেশ সরকার আগামী মাসে ঢাকায় চুক্তির দলিল প্রকাশ করবে।
গতকাল ছিল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে গত বছরের মার্চে ঢাকায় প্রথম বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সে দেশের বিদ্যুৎসচিব পি উমা শংকর।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, উভয় দেশেই গ্রিড নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। আগামী বছর এই লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের বহরমপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারা গ্রিড ব্যবহারের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
বিদ্যুৎসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। এর ফলে ভারত থেকে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা সম্ভব হবে।
বাগেরহাটে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎসচিব বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। নির্দিষ্ট সময় কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরিবেশদূষণের কোনো আশঙ্কা নেই।
বিদ্যুৎসচিব জানান, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নেওয়ার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নেপালের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ আলোচনা ফলপ্রসূ হলে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা হবে।
বৈঠকে যৌথ উদ্যোগে মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.