ডিউক অব এডিনবরা’স অ্যাওয়ার্ড ও বাংলাদেশ
১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যে ‘ডিউক অব এডিনবরা’স অ্যাওয়ার্ড’-এর যাত্রা শুরু হয়। ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের জন্য পৃথিবীর ১৩৭টি দেশে এখন পরিচালিত হচ্ছে এই ডিউক অব এডিনবরা’স অ্যাওয়ার্ডের কার্যক্রম। বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়ার ১২৯তম দেশ।
আন্তর্জাতিক এই অ্যাওয়ার্ড কার্যক্রম বাংলাদেশে চালু হয় ২০০৮ সালে। এই পুরস্কারের তিনটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ (ব্রোঞ্জ, সিলভার ও গোল্ড) রয়েছে। প্রথমে একজন শিক্ষার্থী ছয় মাসব্যাপী ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারে। ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড লাভের পরবর্তী ছয় মাস ধরে চলে সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জনের প্রচেষ্টা। সবশেষে আরও ছয় মাস চূড়ান্ত অনুশীলনের পর একজন শিক্ষার্থী অর্জন করতে পারে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড। প্রতিটি পর্যায়ে একজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে শিক্ষার্থীদের চারটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে সন্তোষজনক দক্ষতা অর্জন করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক কার্যক্রম, ব্যক্তিগত দক্ষতা, শরীরচর্চা ও অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। গোল্ড অ্যাওয়ার্ডের জন্য অতিরিক্ত হিসেবে অংশ নিতে হয় পাঁচ দিনের একটি আবাসিক প্রকল্পে। যেমন: শরীরচর্চায় কেউ বেছে নিল সাঁতার কাটা, আবার কেউ সিদ্ধান্ত নিল কারাতে শিখবে। ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কেউ ফরাসি ভাষা শিখল, কেউ কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নিল, আবার কেউ হয়তো ফটোগ্রাফির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করল। সামাজিক কার্যক্রমের ব্যাপ্তি আরও বৈচিত্র্যময়। বাড়ির কাজের ছেলেটিকে পড়াশোনা শেখানো, হাসপাতালে রোগীদের সেবাদানে সহায়তা করা, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা—এমন যেকোনো সেবামূলক কাজ করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় তাদের।
আর সবশেষে কয়েক দিনের জন্য পরিচিত পরিবেশ, মানুষ, সমাজ থেকে দূরে কোথাও গিয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে চলে অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। দেশে-বিদেশে যেকোনো জায়গায় হতে পারে এই অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। শিক্ষার্থীরাই ভ্রমণের জন্য তাদের পছন্দের জায়গা বাছাই করতে পারে।
আর সবশেষে কয়েক দিনের জন্য পরিচিত পরিবেশ, মানুষ, সমাজ থেকে দূরে কোথাও গিয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে চলে অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। দেশে-বিদেশে যেকোনো জায়গায় হতে পারে এই অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। শিক্ষার্থীরাই ভ্রমণের জন্য তাদের পছন্দের জায়গা বাছাই করতে পারে।
No comments