সারাদেশে নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট
বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ২২ দফা দাবিতে নৌযান
শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘট পালন অব্যাহত রয়েছে। ধর্মঘটের প্রথম দিনেই সারাদেশে
নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে।
সারাদেশে যাত্রী
পরিবহন ও পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে
সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে অপেক্ষা করে কোন লঞ্চ না পেয়ে তারা
চরম ভোগানত্মির শিকার হয়। এদিকে শ্রমিকরা তাদের দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া
পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। তারা অভিযোগ করে মালিক পক্ষকে
বার বার আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও তারা এ আহ্বানে কোন সাড়া দেয়নি। মালিক
পক্ষ বলছে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনার বসার কথা বললেও শ্রমিক সংগঠন
তাতে রাজি হয়নি। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এই ধর্মঘটকে বিধিবহির্ভুত
বললেও এর জন্য লঞ্চ মালিকরাই বেশি দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকার সদরঘাট নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮টি রম্নটের ৪০টি লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনালে ভিড়লেও সেগুলো কোন যাত্রী না নিয়েই বন্দর ত্যাগ করছে। এছাড়া অন্যান্য রুটের ৮০টির বেশি লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে মাঝনদীতে অবস্থান নিয়েছে। ভাণ্ডারিয়া থেকে ঢাকায় আসা এমভি আঁচল লঞ্চের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, তাদের দাবির ব্যাপারে মালিকপরে সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। কিন্তু মালিকপ এ ব্যাপারে কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
এদিকে নৌযান মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের নামে ডাকা এ ধর্মঘটকে অবৈধ অযৌক্তিক ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্রমিকদের এ দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে আবার শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ২২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌযানের সঙ্গে যুক্ত সব শ্রমিক কর্মচারীর বেতন ভাতা বৃদ্ধি, নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা, নৌপথে ডাকাতি বন্ধসহ নৌ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, মাস্টার চালকদের সনদ মেয়াদীকরণ বাতিল, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করা। চট্টগ্রাম অফিস থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, ধর্মঘটের প্রথম দিনে অভ্যন্তরীণ রুটের সব ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে পণ্য পরিবহনে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এদিকে নৌযান সংগ্রাম পরিষদের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে কর্মবিরতির সমর্থনে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার সদরঘাট নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮টি রম্নটের ৪০টি লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনালে ভিড়লেও সেগুলো কোন যাত্রী না নিয়েই বন্দর ত্যাগ করছে। এছাড়া অন্যান্য রুটের ৮০টির বেশি লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে মাঝনদীতে অবস্থান নিয়েছে। ভাণ্ডারিয়া থেকে ঢাকায় আসা এমভি আঁচল লঞ্চের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, তাদের দাবির ব্যাপারে মালিকপরে সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। কিন্তু মালিকপ এ ব্যাপারে কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
এদিকে নৌযান মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের নামে ডাকা এ ধর্মঘটকে অবৈধ অযৌক্তিক ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্রমিকদের এ দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে আবার শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ২২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌযানের সঙ্গে যুক্ত সব শ্রমিক কর্মচারীর বেতন ভাতা বৃদ্ধি, নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা, নৌপথে ডাকাতি বন্ধসহ নৌ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, মাস্টার চালকদের সনদ মেয়াদীকরণ বাতিল, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করা। চট্টগ্রাম অফিস থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, ধর্মঘটের প্রথম দিনে অভ্যন্তরীণ রুটের সব ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে পণ্য পরিবহনে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এদিকে নৌযান সংগ্রাম পরিষদের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে কর্মবিরতির সমর্থনে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
No comments