পূর্ণিমা ধর্ষণ মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ এপ্রিল

বিএনপি- জামায়াত জোটের নির্যাতনের শিকার দেশব্যাপী আলোচিত উল্লাপাড়ার পূর্ণিমা রানী ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। প্রায় ৯ বছর পর সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এজাহারভুক্ত ১৭ আসামির মধ্যে ১১ জনের বিচার শুরু হয়েছে।
বাকি ৬ জনকে এর আগে বিচারিক আদালত থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার পূর্ণিমা রানী শীল সিরাজগঞ্জের আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ১২ এপ্রিল। এই প্রথম পূর্ণিমা রানী সিরাজগঞ্জে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক ওসমান হায়দারের কাছে তার জবানবন্দী প্রদান করে। জবানবন্দীতে পূর্ণিমা রানী মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের নাম উল্লেখ করে কিভাবে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অকথ্যভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তার বর্ণনা দেয়। তবে মামলা চলাকালে আদালত থেকে ৬ আসামিকে অব্যাহতি দেয়ায় পূর্ণিমা অসন্তোষ প্রকাশ করে। এদিকে মামলার বাদী এবং সাক্ষীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি আদালতে পিটিশন দিয়ে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচারিক আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামিকে অব্যাহতি দেয়া প্রসঙ্গে ৯ বছর মামলার তদারককারী আইনজীবী জাহিদুল হক জানান, এ বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গেলে হয়ত সুফল পাওয়া যাবে। তবে বিচার বিলম্বিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জোট সরকারের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসের অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সংখ্যালঘু পরিবারের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা রানীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে।

No comments

Powered by Blogger.