নতুন দিগন্ত উন্মোচন
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো গতিশীল হোক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস প্রতিরোধ, বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা, সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন,
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক সহযোগিতা পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়। এসব লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যবসা বিনিয়োগ সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বা টিকফাসহ প্রয়োজনীয় চুক্তি, সমঝোতা ও দিকনির্দেশনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশে আসার আগে চীন সফর করেছেন এবং বাংলাদেশ থেকে তিনি ভারতে গিয়েছেন। সেখানে তিনি আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্ব এবং তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হিলারি মমতার সঙ্গে কথা বলবেন বলে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষরা ধারণা করছেন। বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করেছে, তাকে আমাদের অবশ্যই দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে।
ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করেছে। সার্কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। অর্থনৈতিকভাবেও বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বঙ্গোপসাগরের লক্ষাধিক বর্গকিলোমিটারে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তেল-গ্যাস প্রাপ্তির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এসব কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্রমেই উজ্জ্বল হচ্ছে এবং অনেকেই বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। এসব দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি পরাশক্তির সাহায্য-সহযোগিতা বাংলাদেশের কাম্য। বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে প্রধান যে অন্তরায় তা হলো আমাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং হরতাল ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কর্মসূচি। এ ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি সংঘাতের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরাও আশা করি, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দুই নেত্রী এই পরামর্শ যথাসম্ভব হৃদয়ঙ্গম করবেন এবং প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চায় এগিয়ে আসবেন।
আমাদের উন্নয়নের আধো গতিকে বেগবান করার স্বার্থে আমরা অবশ্যই বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি। ইতিপূর্বে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমরা নানা ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে হয়নি। সব দেশের বিনিয়োগকারীরাই তাঁদের বিনিয়োগের নিরাপত্তার দিকটি প্রথমে দেখবে- এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। কাজেই আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ পেতে হলে তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা অবশ্যই দিতে হবে। আর সে জন্যই দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি পূর্বশর্ত। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই কনোকো-ফিলিপস, শেভরন, কোকাকোলা, কেএফসি, পিৎজাহাট, ম্যাকডোনাল্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় বড় কম্পানি বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার দিগন্ত আরো সম্প্রসারিত হলে আরো অনেক মার্কিন কম্পানি এ দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। সেদিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার হাতকে আমাদের দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গন করতে হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে তৈরি পোশাক খাত। এর একটি বড় বাজার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু বর্তমানে কিছু শুল্ক ও অশুল্ক বাধা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সেই বাধাগুলো দূর করা গেলে আমাদের তৈরি পোশাক খাত আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে। আমরা আশা করি, সরকার বর্তমান সুযোগ কাজে লাগিয়ে এ ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করেছে। সার্কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। অর্থনৈতিকভাবেও বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বঙ্গোপসাগরের লক্ষাধিক বর্গকিলোমিটারে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তেল-গ্যাস প্রাপ্তির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এসব কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্রমেই উজ্জ্বল হচ্ছে এবং অনেকেই বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। এসব দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি পরাশক্তির সাহায্য-সহযোগিতা বাংলাদেশের কাম্য। বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে প্রধান যে অন্তরায় তা হলো আমাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং হরতাল ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কর্মসূচি। এ ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি সংঘাতের পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরাও আশা করি, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দুই নেত্রী এই পরামর্শ যথাসম্ভব হৃদয়ঙ্গম করবেন এবং প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চায় এগিয়ে আসবেন।
আমাদের উন্নয়নের আধো গতিকে বেগবান করার স্বার্থে আমরা অবশ্যই বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি। ইতিপূর্বে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমরা নানা ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে হয়নি। সব দেশের বিনিয়োগকারীরাই তাঁদের বিনিয়োগের নিরাপত্তার দিকটি প্রথমে দেখবে- এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। কাজেই আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ পেতে হলে তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা অবশ্যই দিতে হবে। আর সে জন্যই দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি পূর্বশর্ত। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই কনোকো-ফিলিপস, শেভরন, কোকাকোলা, কেএফসি, পিৎজাহাট, ম্যাকডোনাল্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় বড় কম্পানি বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার দিগন্ত আরো সম্প্রসারিত হলে আরো অনেক মার্কিন কম্পানি এ দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। সেদিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার হাতকে আমাদের দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গন করতে হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে তৈরি পোশাক খাত। এর একটি বড় বাজার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু বর্তমানে কিছু শুল্ক ও অশুল্ক বাধা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সেই বাধাগুলো দূর করা গেলে আমাদের তৈরি পোশাক খাত আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে। আমরা আশা করি, সরকার বর্তমান সুযোগ কাজে লাগিয়ে এ ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
No comments