অবৈধ ভবন ভাঙতে রাজউকের অভিযানঃ গড়ে ওঠার সময় কর্তৃপক্ষ কী করেন?
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবার অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙতে কোমর কষে নেমেছে। রাজউকের নাকের ডগায় বছর বছর ধরে রাজধানীতে যে সব অবৈধ ভবন তৈরি হয়েছিল এখন সেগুলোই ভাঙার জন্য অভিযান চলছে। বিভিন্ন মহলের চাপ সত্ত্বেও দীর্ঘদিন রাজউক অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনার দিকে সচেতনভাবেই তাকায়নি।
বিগত কয়েক বছরে রাজধানীতে একাধিক ভবন দেবে গেছে। কাত হয়ে গেছে, ভেঙে গেছে পুরনো আমলের অনেক বাড়ি। কোনোটি আবার আংশিক ভেঙে কোনোরকমে দাঁড়িয়ে আছে। এসব খবর রাজউকের অজানা থাকার প্রশ্নই অবান্তর। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়ের কাজ সময়ে করেনি। বেশ কিছু অননুমোদিত ভবন ভাঙতে পারেনি গত কয়েক বছরেও। এ নিয়ে রাজউকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ‘শক্তের ভক্ত নরমের যম’—এ ধরনের অভিযোগেও অভিযুক্ত রাজউক।
জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীর অননুমোদিত ও নানাদিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচ হাজার ভবনের তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে রাজউক। কর্তৃপক্ষের মতে, এর মধ্যে ছয় শতাধিক ভবনের বর্ধিত অংশ ভাঙার কাজ শেষ হয়েছে। রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, তালিকাভুক্ত ভবনগুলোর অবৈধ অংশ ভাঙতে অভিযান চলছে প্রতিদিন। খুব শিগগির সব বর্ধিত অংশই ভেঙে ফেলা হবে।
অবৈধ স্থাপনা ভাঙার এই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে রাজউকের পূর্বাপরের ভূমিকা স্বভাবতই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কারণ, অনুমোদনহীন কোনো ভবন বা তার বড় ধরনের অংশ রাতারাতি গড়ে ওঠেনি এবং সহসাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েনি। এগুলো নির্মাণের সময় রাজউক নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে। আবার বিভিন্ন সময়ে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হুঙ্কার দিয়ে জেগে উঠেছে। ফলে রাজউকের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিকতা রক্ষিত হয়নি। শুরুতেই ব্যবস্থা নিলে অভিযান চালিয়ে ভাঙার বিপুল ব্যয়ভার বহন করতে হতো না এবং ভাঙতে গিয়ে ঝুঁকির আশঙ্কাও কমে যেত। জরুরি সরকারের আমলে র্যাংগস ভবন ভাঙার সময় একাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা সেই অবহেলারই দুঃখজনক জের, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভাঙাভাঙির ব্যাপারে রাজউকের মধ্যে নানা ধরনের হিসাব-নিকাশ এবং রাজনৈতিক টানাপড়েন রয়েছে বলেও অভিযোগ স্পষ্ট। দৃষ্টান্ত টেনে বলা যায়, নগরীতে বিমান উড্ডয়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙতে পারেনি রাজউক গত সাত বছরেও। এমনকি সিভিল এভিয়েশন দফায় দফায় নোটিশ দেয়ার পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ফলে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ওঠানামা করছে বিমান। এক পর্যায়ে সিভিল এভিয়েশন হলুদ সংকেত পাঠিয়ে হুঁশিয়ার করে দেয় যে, নির্ধারিত ভবনগুলোর উচ্চতা কমিয়ে না আনলে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শিগগিরই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হতে পারে। তারপরেও রাজউক ছিল নিষ্ক্রিয়। অবশেষে চাপের মুখে সরকার ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট তেজগাঁও বিমানবন্দরের পাশে ৪৫টি এবং জিয়া বিমানবন্দরের পাশে ৬৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করে এবং ছেঁটে ফেলে ১০টি ভবনের অতিরিক্ত উচ্চতা। তারপর ফের যে লাউ সেই কদু। অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ করে রাজউক নানা অনাকাঙ্ক্ষিত অভিযোগে জড়িয়ে পড়ে।
সবাই জানেন, স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে রাজউক খুব চটজলদি বস্তি উচ্ছেদে পারঙ্গম। এসব অস্থায়ী আস্তানা হুকুম দিলে এমনিতেই খালি হয়ে যায়। কিন্তু সরকারি ঘোষণা সত্ত্বেও অবৈধভাবে নদীর জমিতে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ চলে ঢিমেতেতালা গতিতে। নগরীর অসংখ্য অবৈধ ভবন শুধু তালিকাভুক্ত হয়েই থাকে, ভাঙা হয় না কিংবা নির্মাণের সময় জানা সত্ত্বেও মুখে খিল এঁটে রাখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা মনে করি, অবৈধ স্থাপনা ভাঙার আগে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে না দেয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীর অননুমোদিত ও নানাদিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচ হাজার ভবনের তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে রাজউক। কর্তৃপক্ষের মতে, এর মধ্যে ছয় শতাধিক ভবনের বর্ধিত অংশ ভাঙার কাজ শেষ হয়েছে। রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, তালিকাভুক্ত ভবনগুলোর অবৈধ অংশ ভাঙতে অভিযান চলছে প্রতিদিন। খুব শিগগির সব বর্ধিত অংশই ভেঙে ফেলা হবে।
অবৈধ স্থাপনা ভাঙার এই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে রাজউকের পূর্বাপরের ভূমিকা স্বভাবতই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কারণ, অনুমোদনহীন কোনো ভবন বা তার বড় ধরনের অংশ রাতারাতি গড়ে ওঠেনি এবং সহসাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েনি। এগুলো নির্মাণের সময় রাজউক নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে। আবার বিভিন্ন সময়ে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হুঙ্কার দিয়ে জেগে উঠেছে। ফলে রাজউকের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিকতা রক্ষিত হয়নি। শুরুতেই ব্যবস্থা নিলে অভিযান চালিয়ে ভাঙার বিপুল ব্যয়ভার বহন করতে হতো না এবং ভাঙতে গিয়ে ঝুঁকির আশঙ্কাও কমে যেত। জরুরি সরকারের আমলে র্যাংগস ভবন ভাঙার সময় একাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা সেই অবহেলারই দুঃখজনক জের, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভাঙাভাঙির ব্যাপারে রাজউকের মধ্যে নানা ধরনের হিসাব-নিকাশ এবং রাজনৈতিক টানাপড়েন রয়েছে বলেও অভিযোগ স্পষ্ট। দৃষ্টান্ত টেনে বলা যায়, নগরীতে বিমান উড্ডয়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙতে পারেনি রাজউক গত সাত বছরেও। এমনকি সিভিল এভিয়েশন দফায় দফায় নোটিশ দেয়ার পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ফলে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ওঠানামা করছে বিমান। এক পর্যায়ে সিভিল এভিয়েশন হলুদ সংকেত পাঠিয়ে হুঁশিয়ার করে দেয় যে, নির্ধারিত ভবনগুলোর উচ্চতা কমিয়ে না আনলে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শিগগিরই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হতে পারে। তারপরেও রাজউক ছিল নিষ্ক্রিয়। অবশেষে চাপের মুখে সরকার ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট তেজগাঁও বিমানবন্দরের পাশে ৪৫টি এবং জিয়া বিমানবন্দরের পাশে ৬৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করে এবং ছেঁটে ফেলে ১০টি ভবনের অতিরিক্ত উচ্চতা। তারপর ফের যে লাউ সেই কদু। অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ করে রাজউক নানা অনাকাঙ্ক্ষিত অভিযোগে জড়িয়ে পড়ে।
সবাই জানেন, স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে রাজউক খুব চটজলদি বস্তি উচ্ছেদে পারঙ্গম। এসব অস্থায়ী আস্তানা হুকুম দিলে এমনিতেই খালি হয়ে যায়। কিন্তু সরকারি ঘোষণা সত্ত্বেও অবৈধভাবে নদীর জমিতে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ চলে ঢিমেতেতালা গতিতে। নগরীর অসংখ্য অবৈধ ভবন শুধু তালিকাভুক্ত হয়েই থাকে, ভাঙা হয় না কিংবা নির্মাণের সময় জানা সত্ত্বেও মুখে খিল এঁটে রাখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা মনে করি, অবৈধ স্থাপনা ভাঙার আগে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে না দেয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
No comments