প্রাণ-সংহারের লাইসেন্স!
ব্রিটিশ রহস্য-লেখক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের বিখ্যাত সৃষ্টি জেমস বন্ড। জেমস বন্ড সিরিজের বইগুলো আমাদের দেশেও পাঠকপ্রিয়। এই সিরিজের অনেক কাহিনী নিয়ে সিনেমা হয়েছে। সে রকমই একটা সিনেমার নাম ছিল 'লাইসেন্স টু কিল'। টিমোথি ডালটন অভিনীত সিনেমাটির মতোই বাংলাদেশের গাড়িচালকরা যেন মানুষের প্রাণ-সংহারের লাইসেন্স নিয়ে বসে আছেন।
রাস্তায় চলাচলকারী অধিকাংশ চালকই গাড়ি চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, বৈধ লাইসেন্সও নেই। ট্রাফিক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা দিব্যি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারণে শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশেই প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের। এ রকম একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে কালের কণ্ঠে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সারা দেশে বিভিন্ন থানায় ২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত মামলা হয় চার হাজার ৪২৬টি। আসামি ছিল চার হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে ১৫৬ জন ছাড়া চার হাজার ২৮০ জনই গাড়ির চালক। আসামি চালকদের বেশির ভাগেরই ছিল জাল লাইসেন্স। অন্যদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণায় দেখা গেছে, এই চালকদের ১৩ শতাংশ নিরক্ষর, ৪৭ শতাংশ প্রাথমিক, ৩৭ শতাংশ মাধ্যমিক ও ৩ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক বা তার বেশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণহীন বেকার যুবকরাই 'চালক' বনে গিয়ে সড়ক নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে টিআইবির গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার একটি নিয়ম আছে। পেশাদার লাইসেন্সের আগে একটি শিক্ষানবিশ লাইসেন্স নিতে হয়। পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু জাল লাইসেন্সের জন্য কিছুই করতে হয় না। কেবল কিছু টাকা দিলেই হলো। দেখা যায়, বিআরটিএকে ঘিরে একটি চক্র সব সময় সক্রিয়। এ চক্রটিই অযোগ্য চালকদের হাতে ভুয়া বা জাল লাইসেন্স তুলে দেয়। বিআরটিএ অফিসে গেলেই এই দালাল চক্রের সন্ধান মেলে। স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ না নিয়েও অনেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যান। এই চালকদের যেমন ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কোনো জ্ঞান থাকে না, তেমনি থাকে না রাস্তার সংকেত চিহ্ন বা ইঞ্জিন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানটুকুও। এর চেয়ে ভীতিকর ব্যাপার আর কী হতে পারে?
এই বিপজ্জনক প্রবণতা রোধ করা না গেলে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কখনো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। একেকজন চালকের হাতে চলে যাবে অনেকের জীবন। তাই জাল লাইসেন্স প্রদানকারী চক্রকে দ্রুত রুখতে হবে। পাশাপাশি জাল লাইসেন্স নিয়ে কোনো চালক যাতে রাস্তায় বেরোতে না পারে, সে জন্য কঠোর তদারকি থাকতে হবে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সারা দেশে বিভিন্ন থানায় ২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত মামলা হয় চার হাজার ৪২৬টি। আসামি ছিল চার হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে ১৫৬ জন ছাড়া চার হাজার ২৮০ জনই গাড়ির চালক। আসামি চালকদের বেশির ভাগেরই ছিল জাল লাইসেন্স। অন্যদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণায় দেখা গেছে, এই চালকদের ১৩ শতাংশ নিরক্ষর, ৪৭ শতাংশ প্রাথমিক, ৩৭ শতাংশ মাধ্যমিক ও ৩ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক বা তার বেশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী। প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণহীন বেকার যুবকরাই 'চালক' বনে গিয়ে সড়ক নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে টিআইবির গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার একটি নিয়ম আছে। পেশাদার লাইসেন্সের আগে একটি শিক্ষানবিশ লাইসেন্স নিতে হয়। পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু জাল লাইসেন্সের জন্য কিছুই করতে হয় না। কেবল কিছু টাকা দিলেই হলো। দেখা যায়, বিআরটিএকে ঘিরে একটি চক্র সব সময় সক্রিয়। এ চক্রটিই অযোগ্য চালকদের হাতে ভুয়া বা জাল লাইসেন্স তুলে দেয়। বিআরটিএ অফিসে গেলেই এই দালাল চক্রের সন্ধান মেলে। স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ না নিয়েও অনেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যান। এই চালকদের যেমন ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কোনো জ্ঞান থাকে না, তেমনি থাকে না রাস্তার সংকেত চিহ্ন বা ইঞ্জিন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানটুকুও। এর চেয়ে ভীতিকর ব্যাপার আর কী হতে পারে?
এই বিপজ্জনক প্রবণতা রোধ করা না গেলে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কখনো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। একেকজন চালকের হাতে চলে যাবে অনেকের জীবন। তাই জাল লাইসেন্স প্রদানকারী চক্রকে দ্রুত রুখতে হবে। পাশাপাশি জাল লাইসেন্স নিয়ে কোনো চালক যাতে রাস্তায় বেরোতে না পারে, সে জন্য কঠোর তদারকি থাকতে হবে।
No comments