আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক-সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনা যে একজন সৎ সাংবাদিকের দায়িত্ব, সেই সহজ সত্যটি ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা প্রায়শ স্বীকার করতে চান না। তাঁদের অদ্ভুত আবদার, তাঁরা শত অন্যায় করলেও সাংবাদিকেরা লিখতে পারবেন না, কেবল তাঁদের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে যাবেন।
এই ইচ্ছাপূরণের সাংবাদিকতা যাঁরা করতে অপারগ, তাঁরাই ক্ষমতাসীন দলের বলদর্পী নেতা-কর্মীদের রোষের শিকার হন।
গত শুক্রবার প্রথম আলোয় ‘রাস্তা বন্ধ রেখে শ্রমমন্ত্রীর জনসভা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শনিবার শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীঅঙ্গনে জেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক কে এম খায়রুদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালার ওপর চড়াও হন এবং লাঞ্ছিত করেন। শ্রমমন্ত্রীর ভাই ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। এর আগেও ফরিদপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে সাংবাদিক নিহত ও নিগৃহীত হয়েছেন। শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
শনিবার আরেকটি সভায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এর পরই সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। সে ক্ষেত্রে এর দায় তাঁরা এড়াতে পারেন না। প্রথম আলোর সংবাদে কোথাও ভুল থাকলে তাঁরা প্রতিবাদ করতে পারতেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা সে পথে যাননি। সাংবাদিকের ভুলটি কোথায়, তা-ও বলেননি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষমতার দর্পে এতই বেসামাল যে রাস্তা বন্ধ রেখে জনসভা করা হলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে, সেই সত্যটিও স্বীকার করতে চান না।
বিরূপ জনপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবেই হয়তো স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা শনিবার রাতে প্রেসক্লাবে এসে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন। কিন্তু সেটাই কি যথেষ্ট? যাঁরা সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং গ্রেপ্তার করা হোক। অন্যথায় মসির ওপর পেশির এই দৌরাত্ম্য চলতেই থাকবে।
গত শুক্রবার প্রথম আলোয় ‘রাস্তা বন্ধ রেখে শ্রমমন্ত্রীর জনসভা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শনিবার শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীঅঙ্গনে জেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক কে এম খায়রুদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালার ওপর চড়াও হন এবং লাঞ্ছিত করেন। শ্রমমন্ত্রীর ভাই ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। এর আগেও ফরিদপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে সাংবাদিক নিহত ও নিগৃহীত হয়েছেন। শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
শনিবার আরেকটি সভায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এর পরই সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। সে ক্ষেত্রে এর দায় তাঁরা এড়াতে পারেন না। প্রথম আলোর সংবাদে কোথাও ভুল থাকলে তাঁরা প্রতিবাদ করতে পারতেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা সে পথে যাননি। সাংবাদিকের ভুলটি কোথায়, তা-ও বলেননি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষমতার দর্পে এতই বেসামাল যে রাস্তা বন্ধ রেখে জনসভা করা হলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে, সেই সত্যটিও স্বীকার করতে চান না।
বিরূপ জনপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবেই হয়তো স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা শনিবার রাতে প্রেসক্লাবে এসে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন। কিন্তু সেটাই কি যথেষ্ট? যাঁরা সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং গ্রেপ্তার করা হোক। অন্যথায় মসির ওপর পেশির এই দৌরাত্ম্য চলতেই থাকবে।
No comments