নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করল-হিলারির তাৎপর্যপূর্ণ সফর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর কূটনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তথা সার্বিক বিবেচনায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও বাংলাদেশের অনুকূলে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল আনবে বলে আশা করা যায়। তিনি বেইজিং থেকে ঢাকা এসেছেন, এরপর কলকাতা হয়ে দিল্লি যাচ্ছেন।
তাঁর সফর তিন দেশের চার শহরকে যে একসূত্রে গ্রথিত করেছে, তার সুগভীর তাৎপর্য অনস্বীকার্য। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির প্রায় সমান্তরাল সফর। তার আগে এসেছেন জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুইয়া ওকাদা। তিন দিনে তিন পরাক্রমশালী দেশের তিন প্রধান নেতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করল।
যৌথ ঘোষণায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিবিড় করতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারি সংলাপ আয়োজনে সম্মত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করল। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি থেকে শুরু করে অন্যান্য আর্থবাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সুবিধার বিষয় উত্থাপন করতে পারবে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এর আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আন্তরাষ্ট্রীয় সংঘাত নিরসনের যাবতীয় বিষয় আসবে। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিশ্চিত করার কূটনৈতিক সক্ষমতা বাংলাদেশকে অর্জন করতে হবে।
গুম-খুন, হরতাল ও ধরপাকড়ের বিষয়গুলো এ সফরের ইতিবাচক দিকগুলো ম্লান করেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এসব বিষয়ে কথা বলতে হয়েছে। তিনি সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলেছেন। দুই দলের মধ্যে সংলাপ ও সংসদীয় বিতর্কের মাধ্যমে এসব বিষয়ে মতৈক্যে আসা এবং গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, তা যথার্থ।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি এবং ভারতের সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকরূপে মূল্যায়ন করে হিলারি বলেছেন, এতে সম্পদ আহরণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এই পটভূমিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তাকে ব্যতিক্রমী ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান রূপে গণ্য করা যায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে হিলারির সাক্ষাৎও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫ সালে হিলারি গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের সংগঠন দেখার জন্য গ্রামে গেছেন। সাত বছর পর এ দুই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সঙ্গে আবার সাক্ষাতের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনের গুণগত মানোন্নয়নে তাঁদের সফল ভূমিকাকে তিনি ঊর্ধ্বে তুলে ধরলেন।
হিলারির সফরের পর সৃষ্ট সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে, যদি বাংলাদেশের সংঘাতময় রাজনীতির সমাধানে মূল দলগুলো পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে। গুম, রাজনৈতিক দমনপীড়ন আর নয়। সংলাপ ও কার্যকর সংসদ হোক দেশের রাজনৈতিক আলোচ্যসূচির এক নম্বর বিষয়। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার এ ব্যাপারে দ্বিমতের অবকাশ নেই।
হিলারি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ, সফল ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চাই।’ সম্ভাবনা না থাকলে তিনি এ রকম আশা ব্যক্ত করতেন না। এখন বাংলাদেশকে এই সম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে হবে।
যৌথ ঘোষণায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিবিড় করতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারি সংলাপ আয়োজনে সম্মত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করল। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি থেকে শুরু করে অন্যান্য আর্থবাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সুবিধার বিষয় উত্থাপন করতে পারবে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এর আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আন্তরাষ্ট্রীয় সংঘাত নিরসনের যাবতীয় বিষয় আসবে। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিশ্চিত করার কূটনৈতিক সক্ষমতা বাংলাদেশকে অর্জন করতে হবে।
গুম-খুন, হরতাল ও ধরপাকড়ের বিষয়গুলো এ সফরের ইতিবাচক দিকগুলো ম্লান করেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এসব বিষয়ে কথা বলতে হয়েছে। তিনি সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলেছেন। দুই দলের মধ্যে সংলাপ ও সংসদীয় বিতর্কের মাধ্যমে এসব বিষয়ে মতৈক্যে আসা এবং গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, তা যথার্থ।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি এবং ভারতের সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকরূপে মূল্যায়ন করে হিলারি বলেছেন, এতে সম্পদ আহরণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এই পটভূমিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তাকে ব্যতিক্রমী ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান রূপে গণ্য করা যায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে হিলারির সাক্ষাৎও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫ সালে হিলারি গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের সংগঠন দেখার জন্য গ্রামে গেছেন। সাত বছর পর এ দুই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সঙ্গে আবার সাক্ষাতের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনের গুণগত মানোন্নয়নে তাঁদের সফল ভূমিকাকে তিনি ঊর্ধ্বে তুলে ধরলেন।
হিলারির সফরের পর সৃষ্ট সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে, যদি বাংলাদেশের সংঘাতময় রাজনীতির সমাধানে মূল দলগুলো পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে। গুম, রাজনৈতিক দমনপীড়ন আর নয়। সংলাপ ও কার্যকর সংসদ হোক দেশের রাজনৈতিক আলোচ্যসূচির এক নম্বর বিষয়। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার এ ব্যাপারে দ্বিমতের অবকাশ নেই।
হিলারি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ, সফল ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চাই।’ সম্ভাবনা না থাকলে তিনি এ রকম আশা ব্যক্ত করতেন না। এখন বাংলাদেশকে এই সম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে হবে।
No comments