সমকালীন প্রসঙ্গ-সংলাপে জনগণ আশ্বস্ত হবে by ইমতিয়াজ আহমেদ

হিলারি ক্লিনটন যেসব কথা বলে গেছেন সেটা কি নতুন কিছু? এখানের বিরোধী দল, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম এমনকি শাসক মহাজোটের শরিকরাও বারবার একই কথা বলছেন। বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় তাদের উদ্বেগ রয়েছে। হরতাল সমর্থন কেবল প্রধান বিরোধী দলই করে থাকে_ অন্যরা বিরুদ্ধে। সংলাপের প্রসঙ্গ তিনি বলেছেন।


ইলিয়াস আলীর সন্ধান কিংবা এ ধরনের ইস্যুতে সংলাপ হতেই পারে। কিন্তু স্ট্র্যাটেজিক ইস্যু হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরে বাইরে উপন্যাস বহুল আলোচিত। এর ইংরেজি শিরোনাম হোম অ্যান্ড দি ওয়ার্ল্ড। দেশ ও দেশের বাইরের সম্পর্ক, বহির্জগতের চিন্তা কীভাবে আমাদের নাড়া দেয় এবং প্রভাবিত করে সেটা তিনি জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে তুলে ধরেছেন। ঘর ও বাইরের মধ্যে অনেক কিছুই সমানভাবে বিরাজমান_ এটা তার দৃষ্টি এড়ায়নি। এ দুয়ের সম্পর্ক কীভাবে মিশে আছে সেটা তিনি তুলে ধরেন।
ঘর ও বাইরের আন্তঃসম্পর্ক বিশ্বায়নের যুগে অনেক স্পষ্টভাবে আমাদের কাছে প্রতিভাত হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের উদাহরণ হতে পারে প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক শিল্প। এ খাতে বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বসমাজে স্বীকৃত। বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান রয়েছে তিন নম্বরে। এক নম্বর অবস্থান চীনের। দ্বিতীয় স্থান ২৭টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের। তৃতীয় স্থান বাংলাদেশের। কিন্তু একক দেশ ধরলে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের তালিকায় চীনের পরের স্থানটি বাংলাদেশের।
যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেন বা জার্মানির বাজারে উন্নতমানের ব্র্যান্ড পোশাকে স্টিকারে লেখা থাকে_ মেইড ইন বাংলাদেশ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে রয়েছে একাধিক দেশের অংশগ্রহণ। পোশাকের কাপড় কিছু অংশ বাংলাদেশে তৈরি হয়। বেশিরভাগ আসে চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বস্ত্র মিলে যে কাপড় তৈরি হয় তার সুতার প্রধান একটি অংশ আসে উজবেকিস্তান থেকে। ভারতও গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সম্প্রতি ভারত সুতা রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পরে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য মেশিন আসে একাধিক দেশ থেকে। ডিজাইনের জন্য দ্বারস্থ হতে হয় ইতালি ও স্পেনসহ আরও কোনো কোনো দেশের। পোশাকের উপকরণের জন্য তাই নানা দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে সম্পর্ক রাখতে হয়। প্রকৃতপক্ষে এ শিল্পের সিংহভাগের উৎসই বাইরে, বাংলাদেশে যে লাখ লাখ শ্রমিক কাজে_ যাদের বেশিরভাগ নারী, তারা মূলত মাপ অনুযায়ী কাপড় কাটা ও সেলাইয়ের অংশের কাজ করে। এভাবে যে ভ্যালু এডিশন হয়, সেটাই আমাদের উদ্যোক্তাদের লাভ।
একইভাবে আমরা আইবিএমের কম্পিউটারের কথা বলতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রের আইবিএম ব্র্যান্ড নেম। খ্যাতি অনেক। কিন্তু এর কোনো অংশ তৈরি মালয়েশিয়ায়, কোনো অংশ সিঙ্গাপুর বা চীনে। কিন্তু প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে তাদের নাম থাকে না_ সবাই কেনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড নামের আইবিএম কম্পিউটার।
আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে বাইরে কী ঘটছে, সেটা জানা দরকার। উজবেকিস্তানের তুলা উৎপাদন কম হলে কিংবা ফলন বাম্পার হলে আমাদের বস্ত্রশিল্পে প্রভাব পড়ে। ভারত বা চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যে প্রবল ঘাটতি_ আমদানি অনেক বেশি এবং রফতানি নামমাত্র। কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক রফতানি করা হয় যেসব দেশে, সেখানে রয়েছে বাণিজ্যে প্রচুর উদ্বৃত্ত। বিশ্বায়নের এ যুগে ওয়ান টু ওয়ান ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ কার্যত সম্ভব নয়। এ পথ কেউ অনুসরণ করে না। প্রকৃতপথে এ পথে চললে আমাদের যে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি বছর বছর ঘটছে সেটা সম্ভব হতো না।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের দুটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি ভারত ও চীনের অবস্থান আমাদের দুই পাশে। তাদের কাছ থেকে পণ্য (কাঁচামাল) আমদানি করে মূল্য সংযোজনের পর অন্য দেশে সেটা রফতানি করে বাংলাদেশ লাভবান হয়। বিশ্বসমাজে এ অবস্থান ক্রমে বেশি বেশি করে গুরুত্ব পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, মানব উন্নয়ন সূচকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান উৎসাহব্যঞ্জক_ এমনকি ভারতের চেয়ে ভালো অবস্থানে। এর পেছনে ভৌগোলিক নয় বরং সরকার ও বেসরকারি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে বলতে হয় গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার কথা। গ্রামীণ এখন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। অনেক দেশেই তারা মডেল। ব্র্যাক বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও। তারাও অনেক দেশে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা খাতে মডেলে পরিণত হয়েছে।
এমন একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে বিশ্ববাসীর দৃষ্টিসীমায় সেটা আসবেই। এমনকি তাদের জন্য এটা উদ্বেগেরও কারণ হতে পারে। স্বভাবতই তারা এর কারণ জানতে চাইবেন। গণমাধ্যমের বিকাশ এবং প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে বিশ্ববাসী এটাও জানে যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মানেই হচ্ছে হরতাল-টিয়ার গ্যাস-গ্রেফতার-ভাংচুর-মৃত্যু। হাল আমলে হরতালবিরোধী আইনও কঠোর হয়েছে। এ অস্থিরতায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে_ গুম ও খুন। সন্দেহ নেই যে, এসব ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবর্মূির্ত ক্ষুণ্ন হয়। হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশে অবস্থানকালে এসব প্রসঙ্গ বিশেষভাবে তুলেছেন।
বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এ ধরনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করে বলে মনে হয় না। কিন্তু বিদেশিরা রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বললে অনেক রাজনীতিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হওয়ার প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে ক্ষমতায় যারা থাকেন তাদের এর এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু বাস্তবে অর্থনীতি ও রাজনীতি আলাদা করার উপায় নেই, বিশ্বায়নের যুগে সেটা সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ঢাকায় ২৪ ঘণ্টারও কম সময় অবস্থানকালে যেসব রাজনৈতিক ইস্যু তুলেছেন, সেটা কি বিশ্বসমাজের ভাবনা থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু? মাত্র দু'দিন আগে জাপানের সফররত উপ-প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কি একই ধরনের বার্তা পাইনি?
কূটনৈতিক অঙ্গনের খবরাখবর যারা রাখেন তারা ভালো করেই জানেন গুরুত্বপূর্ণ কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সফরটি কোন সময়ে অনুষ্ঠিত হবে, এটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সরকারের যাত্রা শুরুর সময়ে এলে একভাবে মূল্যায়ন করা হয়, শেষের দিকে এলে বিচারের মানদণ্ড হয় ভিন্ন। হিলারি ক্লিনটন ঢাকায় এলেন শেখ হাসিনার সরকারের প্রায় সাড়ে তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর এবং এর তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ওয়াশিংটনের অনুরোধে। এ সফরে দুটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। একটি হচ্ছে, অংশীদারিত্ব সংলাপের যৌথ ঘোষণা সই। প্রতি বছরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানিসহ অনেক ইস্যু এর আওতায় আসবে। ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, মেক্সিকোসহ অনেক দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে।
আলোচনায় দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল রাজনীতি নিয়ে। হিলারি ক্লিনটন সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের রহস্যজনক মৃত্যু এবং বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তুলেছেন। ইলিয়াস আলীর মেয়ের কাছ থেকে চিঠি নিয়েছেন। তিনি প্রধান দুটি দলের মধ্যে সংলাপের কথা বলেছেন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য_ এ বিষয়েও তার অবস্থান মনে হয়েছে দ্ব্যর্থহীন। তিনি এটাও বলেছেন, 'বাংলাদেশ ইজ এ পারসোনাল ম্যাটার টু মি।' তিনি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে সার্চ কমিটির মাধ্যমে একজন যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব প্রদানের কথা বলেছেন। ১৭ বছর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ওই সময়ে কথা হওয়া মুখগুলো তার এখনও স্মরণে রয়েছে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি শুধু দেশে নয়, বিশ্বকেও প্রভাবিত করছে।
এখন কথা হচ্ছে, হিলারি ক্লিনটন যেসব কথা বলে গেছেন সেটা কি নতুন কিছু? এখানের বিরোধী দল, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম এমনকি শাসক মহাজোটের শরিকরাও বারবার একই কথা বলছেন। বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় তাদের উদ্বেগ রয়েছে। হরতাল সমর্থন কেবল প্রধান বিরোধী দলই করে থাকে_ অন্যরা বিরুদ্ধে। সংলাপের প্রসঙ্গ তিনি বলেছেন। ইলিয়াস আলীর সন্ধান কিংবা এ ধরনের ইস্যুতে সংলাপ হতেই পারে। কিন্তু স্ট্র্যাটেজিক ইস্যু হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার। অর্থাৎ কোন কাঠামোয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অস্থিরতার মূল কারণ এখানেই। আর তার মূলে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা দুর্বল এবং দলের ভেতরে গণতন্ত্রের অভাব। এ ধরনের অভাব থাকলে তা দূর করায় বিশ্বসমাজের কেউ কথা বললে তার জন্য তাকে দায়ী করা, নাকি যাদের কারণে এ সমস্যা তাদের প্রতি অভিযোগের আঙুল তোলা_ কোনটা সঙ্গত? কাদের কারণে আমরা বারবার হোঁচট খাচ্ছি?
শেক্সপিয়রের জুলিয়াস সিজার নাটকের একটি সংলাপ : 'দ্য ফল্ট ডিয়ার ব্রুটাস ইজ নট ইন আওয়ার স্টারস বাট ইন আওয়ারসেলভস।' বাংলাদেশের নেতৃত্বকেও বুঝতে হবে, যা করার তাদেরই করতে হবে। হিলারি ক্লিনটন সংলাপের কথা বলেছেন। তবে আমি মনে করি, মূল সমস্যা সমাধানে সংলাপ মুখ্য বিষয় নয়। আগামী সংসদ নির্বাচন কোন ফর্মুলায় অনুষ্ঠিত হবে সেটা সংসদে এবং বাইরের রাজনৈতিক মহলের কাছে সরকারকেই তুলে ধরতে হবে। সংসদে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় তখন সংলাপ করে হয়নি। ১৯৯৬ সালে যে ব্যবস্থা বিএনপি সংবিধানে যুক্ত করেছিল সেটাও তারা সংলাপ করে করেনি। কয়েক ধরনের ফর্মুলা আলোচনায় ছিল এবং তার একটি সংসদে অনুমোদন হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সেটা মেনে নিয়েছে। এখনও সংসদে আওয়ামী লীগকেই ফর্মুলা উপস্থাপন করতে হবে। এটা ঠিক যে, সংলাপ হলে জনগণ স্বস্তিবোধ করে। বিদেশিরাও আশ্বস্ত হয়। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার পরিবেশ গড়ে ওঠে। দেশের অবস্থা এমন যে চা খাওয়ার জন্যও সরকারি ও বিরোধী দলের নেতারা এক টেবিলে বসেন না। গণতন্ত্রের কাঠামোর মধ্যে এটা কী করে সম্ভব সেটা অনেকের বোধগম্য নয়।
বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপের যৌথ ঘোষণায় সই করেছে। আমাদের ক্ষমতাসীন দল ও প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে এমন একটি চুক্তি সই হলে কেমন হয়? এমন চুক্তিতে কি তারা আসতে পারেন না, যেখানে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও বিরোধী দল প্রতি ছয় মাস পরপর গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসবে?
লেখা শুরু করেছিলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরে বাইরে উপন্যাসের প্রসঙ্গ টেনে। রবীন্দ্রনাথ দিয়েই লেখা শেষ করতে চাই। তিনি লিখেছেন, 'প্রভার্টি লে ইন দি সেপারেসন্স এবং ওয়েলথ ইন দি ইউনিয়ন।' অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতা দারিদ্র্য এবং ঐক্য সম্পদ তৈরি করে।'
আশা করব, আমাদের রাজনীতিকরা এ কথা সর্বদা মনে রাখবেন।

ইমতিয়াজ আহমেদ : রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
 

No comments

Powered by Blogger.