আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীঃ মহানবীর (সা.) আদর্শে উজ্জীবিত দিন
আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এক অনন্য সাধারণ আধ্যাত্মিক ও জাগতিক চেতনায় সমৃদ্ধ এ দিবসটি পালিত হচ্ছে সমগ্র মুসলিম জাহানে। বিশ্ব মুসলিমের যাপিত জীবন এবং ইসলামের ইতিহাসে দিনটির তাত্পর্য অপরিসীম।
এদিন বিশ্ববাসীর জন্য মহাকল্যাণের দিশারিস্বরূপ মহামানব হজরত মোহাম্মদ (সা.) আবির্ভূত হন পুণ্যভূমি মক্কায় কুরাইশ বংশে মা আমেনার কোল আলোকিত করে। মানুষের কাছে সৃষ্টিকর্তার পয়গাম পৌঁছে দিয়ে ৬৩ বছর বয়সে তিনি একই দিনে ওফাত লাভ করেন মদিনায়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই পিতৃহীন হন মহানবী (সা.)। আরবীয় রীতি অনুযায়ী মা আমেনা শিশু মোহাম্মদকে (সা.) তুলে দেন দুধমাতা হজরত হালিমার (রা.) হাতে। শৈশবেই একাধিক অলৌকিক ঘটনার মধ্য দিয়ে অভূতপূর্ব গুণাবলীর প্রকাশ ঘটে তাঁর চরিত্রে। এতিম হিসেবে জীবন ও জগেক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার সুযোগ লাভ করেন তিনি তখন থেকেই। মানবিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং সত্যবাদিতার জন্য সর্বস্তরের নারী-পুরুষসহ তত্কালীন আরব গোত্রপতিদের কাছেও তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র।
মহানবী (সা.) চল্লিশ বছর বয়সে ওহিপ্রাপ্ত হন, তাঁর ওপর নাযিল হয় সর্বশেষ আসমানি মহাগ্রন্থ আল-কোরআন এবং তিনি লাভ করেন আখেরি পয়গম্বরের মর্যাদা। তিনি মানব জাতির পথপ্রদর্শক, আল্লাহ মনোনীত জীবন ব্যবস্থার প্রাণপুরুষ। একাধারে তিনি ছিলেন মহান সমাজ সংস্কারক, শিক্ষক, রাজনীতিক, সেনানায়ক, ব্যবসায়ী এবং পরিপূর্ণ সংসারী। সমস্ত মানবিক গুণাবলীর আধার শেষ নবী পৃথিবীতে এসেছিলেন আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগে। পাপাচারে আকীর্ণ সমাজে তাঁর আবির্ভাব ছিল প্রজ্ঞার অনির্বাণ জ্যোতিস্বরূপ। সেই জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হয়েছে গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। এ অর্থেই আখেরি নবীর (সা.) আবির্ভাব সৃষ্টির মধ্যে সর্বাপেক্ষা তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা। এ ঘটনার স্মরণে সারা বিশ্বের মুসলমান প্রতিবছর উদ্যাপন করে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।
চৌদ্দশ’ বছরেরও বেশি সময় আগে মানবতার যে বাণী প্রচার করে গেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.), তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সামাজিক বিপ্লব হিসেবে আদৃত। তিনিই প্রথম সমাজ-মননে বপন করেছিলেন সত্যিকার সাম্য ও গণতন্ত্রের বীজ। আশরাফ-আতরাফকে দাঁড় করিয়েছেন একই সমতলে। তিনি সমাজে সুষম বণ্টন এবং নারীসমাজ ও দাস-দাসীকে সমমর্যাদা দিয়ে মানবাধিকারের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। এক কথায়, মানব জীবনের এমন কোনো উত্তম বিষয় নেই যা মহানবীর (সা.) জীবনে অনুপস্থিত। তাঁর চরিত্র মাধুর্য মানবিক গুণাবলীর আশ্চর্য সমাহার। নবীজীর (সা.) সমুদয় বাণী, আধ্যাত্মিক ও ইহলৌকিক জীবনের দিক-নির্দেশনা হাদিস শরীফ অবয়বে সঙ্কলিত। আল কোরআনের পরেই এর গুরুত্ব নির্দিষ্ট।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী নিছক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে উদ্যাপনের অবকাশ নেই। এর অন্তর্গত তাত্পর্য হৃদয়ঙ্গম করে জীবন ও সমাজে প্রতিষ্ঠা করাই আসল কথা। সে অনুসারে আমৃত্যু পরিচালিত হওয়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই এ মহান দিবসের মর্যাদার প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করা যেতে পারে। বর্তমানে যুদ্ধবিগ্রহ, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও হানাহানিতে আচ্ছন্ন বিশ্বে মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হওয়া আক্ষরিক অর্থেই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। নানামুখী আক্রমণের শিকার হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম বিশ্ব আজ পরস্পর কলহে লিপ্ত। মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ চলছে বছরের পর বছর। আগ্রাসী শক্তির প্রভাব রুখে দেয়ার কোনো সম্মিলিত প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ গোলযোগে সঙ্কীর্ণ স্বার্থে রক্তপাত হচ্ছে। শিথিল হয়ে যাচ্ছে মানবিক সম্পর্ক। শ্রেণীতে শ্রেণীতে বেড়ে উঠছে বৈষম্যের দেয়াল। অশান্তির আগুনে পুড়ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদ। অথচ ইসলাম শান্তির ধর্ম। নবীজী (সা.) ছিলেন সেই শান্তির বার্তাবাহক। তাই মহানবীর (সা.) পুণ্যস্মৃতিকে স্মরণে রেখে মানুষ যদি শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যায়, মানবতাকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, তাহলেই এই পবিত্র দিবস উদ্যাপন প্রকৃত অর্থে স্বার্থকতা পেতে পারে। আল্লাহ তাঁর প্রত্যেক বান্দাকে রাসূলের আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দিন—ঈদে মিলাদুন্নবীর এই পবিত্র দিনে এটাই আমাদের প্রার্থনা।
মহানবী (সা.) চল্লিশ বছর বয়সে ওহিপ্রাপ্ত হন, তাঁর ওপর নাযিল হয় সর্বশেষ আসমানি মহাগ্রন্থ আল-কোরআন এবং তিনি লাভ করেন আখেরি পয়গম্বরের মর্যাদা। তিনি মানব জাতির পথপ্রদর্শক, আল্লাহ মনোনীত জীবন ব্যবস্থার প্রাণপুরুষ। একাধারে তিনি ছিলেন মহান সমাজ সংস্কারক, শিক্ষক, রাজনীতিক, সেনানায়ক, ব্যবসায়ী এবং পরিপূর্ণ সংসারী। সমস্ত মানবিক গুণাবলীর আধার শেষ নবী পৃথিবীতে এসেছিলেন আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগে। পাপাচারে আকীর্ণ সমাজে তাঁর আবির্ভাব ছিল প্রজ্ঞার অনির্বাণ জ্যোতিস্বরূপ। সেই জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হয়েছে গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। এ অর্থেই আখেরি নবীর (সা.) আবির্ভাব সৃষ্টির মধ্যে সর্বাপেক্ষা তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা। এ ঘটনার স্মরণে সারা বিশ্বের মুসলমান প্রতিবছর উদ্যাপন করে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।
চৌদ্দশ’ বছরেরও বেশি সময় আগে মানবতার যে বাণী প্রচার করে গেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.), তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সামাজিক বিপ্লব হিসেবে আদৃত। তিনিই প্রথম সমাজ-মননে বপন করেছিলেন সত্যিকার সাম্য ও গণতন্ত্রের বীজ। আশরাফ-আতরাফকে দাঁড় করিয়েছেন একই সমতলে। তিনি সমাজে সুষম বণ্টন এবং নারীসমাজ ও দাস-দাসীকে সমমর্যাদা দিয়ে মানবাধিকারের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। এক কথায়, মানব জীবনের এমন কোনো উত্তম বিষয় নেই যা মহানবীর (সা.) জীবনে অনুপস্থিত। তাঁর চরিত্র মাধুর্য মানবিক গুণাবলীর আশ্চর্য সমাহার। নবীজীর (সা.) সমুদয় বাণী, আধ্যাত্মিক ও ইহলৌকিক জীবনের দিক-নির্দেশনা হাদিস শরীফ অবয়বে সঙ্কলিত। আল কোরআনের পরেই এর গুরুত্ব নির্দিষ্ট।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী নিছক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে উদ্যাপনের অবকাশ নেই। এর অন্তর্গত তাত্পর্য হৃদয়ঙ্গম করে জীবন ও সমাজে প্রতিষ্ঠা করাই আসল কথা। সে অনুসারে আমৃত্যু পরিচালিত হওয়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই এ মহান দিবসের মর্যাদার প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করা যেতে পারে। বর্তমানে যুদ্ধবিগ্রহ, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও হানাহানিতে আচ্ছন্ন বিশ্বে মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে উজ্জীবিত হওয়া আক্ষরিক অর্থেই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। নানামুখী আক্রমণের শিকার হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম বিশ্ব আজ পরস্পর কলহে লিপ্ত। মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ চলছে বছরের পর বছর। আগ্রাসী শক্তির প্রভাব রুখে দেয়ার কোনো সম্মিলিত প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ গোলযোগে সঙ্কীর্ণ স্বার্থে রক্তপাত হচ্ছে। শিথিল হয়ে যাচ্ছে মানবিক সম্পর্ক। শ্রেণীতে শ্রেণীতে বেড়ে উঠছে বৈষম্যের দেয়াল। অশান্তির আগুনে পুড়ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদ। অথচ ইসলাম শান্তির ধর্ম। নবীজী (সা.) ছিলেন সেই শান্তির বার্তাবাহক। তাই মহানবীর (সা.) পুণ্যস্মৃতিকে স্মরণে রেখে মানুষ যদি শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যায়, মানবতাকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, তাহলেই এই পবিত্র দিবস উদ্যাপন প্রকৃত অর্থে স্বার্থকতা পেতে পারে। আল্লাহ তাঁর প্রত্যেক বান্দাকে রাসূলের আদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক দিন—ঈদে মিলাদুন্নবীর এই পবিত্র দিনে এটাই আমাদের প্রার্থনা।
No comments