চট্টগ্রামে ইসলামী মহাসমাবেশ বানচালঃ পুলিশের ভূমিকা স্বাভাবিক নয়
দেশের পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলতেই কি একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার তদন্ত ছাড়াই দেশজুড়ে শিবির নির্মূলে চিরুনি অভিযান, রাঙামাটিতে বাঙালি-পাহাড়ি-সেনা সংঘর্ষের জের কাটতে না কাটতেই চট্টগ্রামে আলেম-ওলামার ওপর বিনা উস্কানিতে পুলিশের ঝাঁপিয়ে পড়া কোনোভাবেই স্বাভাবিকতার পরিচয় তুলে ধরে না।
কোনো অজানা উদ্দেশ্যে সরকার কি দেশকে অস্বাভাবিক পথেই ঠেলে দিতে চাচ্ছে? প্রশ্নটা ক্রমেই বড় হয়ে উঠেছে। গত বুধবার বিকালে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে হেফাজতে ইসলামের ডাকে আলেম-ওলামার মহাসমাবেশ বেশ আগেই ডাকা হয়েছিল। এজন্য মুসলিম হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিও নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট পুলিশ দফতরেও লিখিতভাবে অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত দেয়া হয়েছে। তখন কেউই এ ধরনের সমাবেশের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়নি। স্বাভাবিক প্রচার-প্রচারণা শেষে বুধবার দুপুরে যখন ইসলামী জনতা দলে দলে সমাবেশস্থলের দিকে ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’ স্লোগান তুলে মিছিল করে আসছিল, তখনই আচম্বিত পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে মিছিলের ওপর। তার আগে অবশ্য লালদীঘি ময়দানে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ নির্মিত মঞ্চটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। নগরীর বিভিন্ন দিক থেকে আসা আলেম-ওলামা-মাদ্রাসা ছাত্রদের মিছিলগুলো ভেঙে দিতে পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। গাড়ি বহরে হামলা ও গুলি চালিয়ে অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থককে আহত করে, যাদের অনেকেই ছিলেন গুলিবিদ্ধ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেফতারের কথা জানা গেছে।
ইসলামী মহাসমাবেশটি ডাকা হয়েছিল সরকারের ইসলামবিরোধী ভূমিকা, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ বাদ দেয়া, ধর্মহীন শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও কওমী মাদ্রাসাগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদেই। লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকের এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। হঠাত্ করে কেন পুলিশ উন্মত্তভাবে হামলা চালিয়ে এই ইসলামী মহাসমাবেশটি বানচাল করে দিল, তার কারণ কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে নানা সন্দেহ জাগাই স্বাভাবিক।
তবে ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনারের কথা থেকে জানা যায়, মহাসমাবেশকারীরা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। যদি সেটাই একমাত্র কারণ হয়ে থাকে তবে মহাসমাবেশের প্রচার-প্রচারণা ও অন্যান্য প্রস্তুতি চলাকালীন কেন বাধা দেয়া বা বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়নি? সমাবেশের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদনপত্রটি নাকচ করা হয়েছে, তেমন কিছুও জানানো হয়নি সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে। এ থেকে যদি কেউ ধরে নেন সরকার আলেম-ওলামা-মাদ্রাসা ছাত্রদের একটা শক্ত ঠ্যাঙ্গানি দেয়ার জন্যই এমনটা করেছে, তবে তাকে দোষ দেয়া যাবে না। দেশ এখন জরুরি আইনে শাসিত হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ডাকার এবং সে সমাবেশে যোগদানের অধিকার মৌলিক মানবাধিকারেরই অঙ্গ। আলেম সমাজকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার কী বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে আমরা জানি না। আমরা শুধু বলব, সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর পরিণতি অশুভ ফল ডেকে আনতে বাধ্য।
ইসলামী মহাসমাবেশটি ডাকা হয়েছিল সরকারের ইসলামবিরোধী ভূমিকা, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ বাদ দেয়া, ধর্মহীন শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও কওমী মাদ্রাসাগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদেই। লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকের এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। হঠাত্ করে কেন পুলিশ উন্মত্তভাবে হামলা চালিয়ে এই ইসলামী মহাসমাবেশটি বানচাল করে দিল, তার কারণ কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে নানা সন্দেহ জাগাই স্বাভাবিক।
তবে ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনারের কথা থেকে জানা যায়, মহাসমাবেশকারীরা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। যদি সেটাই একমাত্র কারণ হয়ে থাকে তবে মহাসমাবেশের প্রচার-প্রচারণা ও অন্যান্য প্রস্তুতি চলাকালীন কেন বাধা দেয়া বা বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়নি? সমাবেশের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদনপত্রটি নাকচ করা হয়েছে, তেমন কিছুও জানানো হয়নি সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে। এ থেকে যদি কেউ ধরে নেন সরকার আলেম-ওলামা-মাদ্রাসা ছাত্রদের একটা শক্ত ঠ্যাঙ্গানি দেয়ার জন্যই এমনটা করেছে, তবে তাকে দোষ দেয়া যাবে না। দেশ এখন জরুরি আইনে শাসিত হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ডাকার এবং সে সমাবেশে যোগদানের অধিকার মৌলিক মানবাধিকারেরই অঙ্গ। আলেম সমাজকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার কী বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে আমরা জানি না। আমরা শুধু বলব, সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর পরিণতি অশুভ ফল ডেকে আনতে বাধ্য।
No comments