খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বোমা হামলাঃ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন ভেঙে পড়েছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে বিধান অনুযায়ী তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়েছেন। তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করেছিল কিনা জানা না গেলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা নেত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে যে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন, সেটা গোপন থাকেনি।
তাদের উদ্বেগ যে বাস্তবসম্মত ছিল সেটা এখন পরিষ্কার। গত সপ্তাহে বোমা উদ্ধারের পর খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে আবারও বোমা হামলা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। ফলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নিয়ে মন্ত্রীর কথাবার্তা শতভাগ অসত্য প্রমাণ হলো।
মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে গুলশান কার্যালয় লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষিপ্ত হয়। প্রচণ্ডভাবে বিস্ফোরিত একটি বোমার আঘাতে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ারের ছেলে পবন আহত হন। সে সময় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা আলমগীর, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, চেয়ারপারসনের জনৈক উপদেষ্টা, দু’জন সংসদ সদস্য, ছাত্রদল সভাপতিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। টহলরত পুলিশ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ছুটে এসে পলায়নপর এক যুবককে মোটরসাইকেলসহ আটক করেছে। ঘটনার আগে আওয়ামী যুবলীগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্যের গাড়িকে কয়েকবার ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই হামলার পেছনে সরকারের হাত রয়েছে অভিযোগ তুলে বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল বের করলে পুলিশ বরিশালে ৮ জনকে আটক করে নিয়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে বোমা উদ্ধার হলে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে সরকারের শিথিলতাকে দায়ী করে যথাযথ নিরাপত্তার দাবি জানান বিএনপি নেতৃবৃন্দ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে তখন বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার বোমা হামলার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে খালেদা জিয়ার কার্যালয় কতটা অরক্ষিত।
দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির আলামত প্রকট হয়ে ওঠায় জনমনে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলার এতটাই অবনতি ঘটেছে যে, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তারাও নিরাপদ থাকছেন না। গত সোমবার চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার এসি-ল্যান্ডকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার কারণে সরকারি অফিস কক্ষেই তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। সরকার দলীয় ক্যাডারদের এমন তাণ্ডবে সাধারণ মানুষের কি দশা সেটা সহজেই অনুমেয়। খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতনসহ নানাবিধ সন্ত্রাসের ঘটনায় ভরে থাকে কাগজের পাতা। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুরনো ব্যাপার। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশের চিরুনি অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়া খুবই ব্যতিক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্র খুনসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা অস্বীকার করা যাবে না।
এমন অবস্থায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টিও যে অবহেলিত হবে, সেটা অস্বাভাবিক নয়। দেশজুড়ে জননিরাপত্তা নাজুক হয়ে পড়ার পেছনে সরকারদলীয় কর্মী-ক্যাডারদের জড়িত থাকা এখন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। ফলে পুলিশের পক্ষে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা ক্রমেই দুরূহ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে না পড়ে পারে না। বাস্তবে মানুষের জীবনযাপন নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলের নেত্রীর নিরাপত্তাও ভিন্ন কিছু নয়।
প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলাকারীদের গ্রেফতার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হবে, এটাই স্বাভাবিক। সবার নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। তাই নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের উচিত কথা কম বলে কাজে দক্ষতা দেখানোর ওপর জোর দেয়া।
মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে গুলশান কার্যালয় লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষিপ্ত হয়। প্রচণ্ডভাবে বিস্ফোরিত একটি বোমার আঘাতে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ারের ছেলে পবন আহত হন। সে সময় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা আলমগীর, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, চেয়ারপারসনের জনৈক উপদেষ্টা, দু’জন সংসদ সদস্য, ছাত্রদল সভাপতিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। টহলরত পুলিশ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ছুটে এসে পলায়নপর এক যুবককে মোটরসাইকেলসহ আটক করেছে। ঘটনার আগে আওয়ামী যুবলীগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্যের গাড়িকে কয়েকবার ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই হামলার পেছনে সরকারের হাত রয়েছে অভিযোগ তুলে বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল বের করলে পুলিশ বরিশালে ৮ জনকে আটক করে নিয়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে বোমা উদ্ধার হলে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে সরকারের শিথিলতাকে দায়ী করে যথাযথ নিরাপত্তার দাবি জানান বিএনপি নেতৃবৃন্দ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে তখন বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার বোমা হামলার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে খালেদা জিয়ার কার্যালয় কতটা অরক্ষিত।
দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির আলামত প্রকট হয়ে ওঠায় জনমনে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলার এতটাই অবনতি ঘটেছে যে, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তারাও নিরাপদ থাকছেন না। গত সোমবার চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার এসি-ল্যান্ডকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়ার কারণে সরকারি অফিস কক্ষেই তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। সরকার দলীয় ক্যাডারদের এমন তাণ্ডবে সাধারণ মানুষের কি দশা সেটা সহজেই অনুমেয়। খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতনসহ নানাবিধ সন্ত্রাসের ঘটনায় ভরে থাকে কাগজের পাতা। যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুরনো ব্যাপার। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশের চিরুনি অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়া খুবই ব্যতিক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্র খুনসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা অস্বীকার করা যাবে না।
এমন অবস্থায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টিও যে অবহেলিত হবে, সেটা অস্বাভাবিক নয়। দেশজুড়ে জননিরাপত্তা নাজুক হয়ে পড়ার পেছনে সরকারদলীয় কর্মী-ক্যাডারদের জড়িত থাকা এখন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। ফলে পুলিশের পক্ষে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা ক্রমেই দুরূহ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে না পড়ে পারে না। বাস্তবে মানুষের জীবনযাপন নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলের নেত্রীর নিরাপত্তাও ভিন্ন কিছু নয়।
প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলাকারীদের গ্রেফতার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হবে, এটাই স্বাভাবিক। সবার নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। তাই নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের উচিত কথা কম বলে কাজে দক্ষতা দেখানোর ওপর জোর দেয়া।
No comments