মন্ত্রী-এমপিরা নিজেদের দিনবদলে ব্যস্তঃ অভিযোগ খোদ সংসদীয় কমিটির
রাখঢাক সত্ত্বেও দুর্নীতি-অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। অথচ আওয়ামী মহাজোট সরকারের বর্ষপূর্তির আগে-পরে প্রধানমন্ত্রী গর্বভরে মন্ত্রীদের কারও বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি বলে তার মন্ত্রিসভাকে ক্লিন সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি আমার দেশসহ প্রায় সব পত্রিকায়ই মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের খবর বেরিয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে শীতলক্ষ্যা নদীতীর দখলমুক্ত করার পদক্ষেপে বাধা দিয়ে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন অপর প্রভাবশালী বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। চিরাচরিত অভ্যাসবশত এসব অভিযোগ সরকার বিরোধীদের কথা বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, বিরোধীদল বা সরকার বিরোধী কোনো পক্ষ থেকেই তোলা হয়নি মন্ত্রীদের এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সরকার দলীয় সদস্যরা। সাবেক জাসদ নেতা, পরিবহন ব্যবসায়ী ও একচ্ছত্র সড়ক পরিবহন নেতা শাহজাহান খান পিতার মৃত্যুর পর মাদারিপুর থেকে পর পর ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সব সরকারের আমলেই তার দাপুটে উপস্থিতি টের পাওয়া যেত। বিআরটিএর দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বাধীন শ্রমিক ফেডারেশন প্রায়ই দলবল নিয়ে পথে নেমে আসে। ফলে বিআরটিএকে সবদিক সামলে চলতে হয়। অন্যদিকে ফেডারেশনভুক্ত শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার দাপট দেখাবার এন্তার অভিযোগ। মন্ত্রী হয়ে তিনি এসব ক্ষেত্রে কতদূর কী করেছেন সেটা অবশ্য জানা যায়নি। বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ এবং বিআরটিসি বাস চলাচলের বিরুদ্ধে বেসরকারি বাস মালিক ও শ্রমিকদের একাট্টা ভূমিকা কোনো সরকারই ভাঙতে পারেনি। বাস্তব কারণে শাহজাহান খানের পক্ষেও কার্যকর ভূমিকা পালন সম্ভব হয়নি। কারণ, তিনি শুধু পরিবহন শ্রমিক-মালিক নেতাই নন, একজন প্রভাবশালী পরিবহন ব্যবসায়ীও বটে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সরকার দলীয় সদস্য এসব কারণেই প্রকাশ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন। অবশ্য মন্ত্রী শাহজাহান খানও তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তার অভিযোগও ফেলনা নয়।
খোদ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১০ মন্ত্রী-সচিবসহ গঠিত দেশের নদী খনন সংক্রান্ত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব শাহজাহান খান। নদ-নদী দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক নাব্য নিশ্চিত করাই এর কাজ। দেখা গেছে, গলাচিপার সরকার দলীয় এমপি গোলাম মওলা রনি টেস্ট রিলিফের গম দিয়ে স্থানীয় রামনাবাদ নদী ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এর বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের দৃঢ় অবস্থানের কারণেই তিনি নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে লেগেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রী-এমপি কেউ কারও চেয়ে কম যান না। মহাজোট সরকারে এ ধরনের মন্ত্রী-এমপির সংখ্যা কত সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। নিজেদের অপকর্মে হাত পড়াতে এভাবে যদি ঝোলার বিড়াল বেরিয়ে পড়তে শুরু করে তাহলে সেটা হবে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। সদা তত্পর বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের বিরুদ্ধেও এবার নতুন অভিযোগ উঠেছে। সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব অস্বীকার করা এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে শতভাগ ব্যর্থতার সঙ্গে এবারে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক শীতলক্ষ্যা নদী তীরের অবৈধ জেটিগুলো উচ্ছেদের অভিযান ঠেকাতে গিয়ে তিনি নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন। নদী সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব হিসেবে নৌমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি সিটি গ্রুপসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জেটি উচ্ছেদ না করার সুপারিশ করেন। অর্থাত্ দেখা যাচ্ছে দিনবদলের মহাজোট সরকারের মন্ত্রী-এমপি সবাই ব্যক্তিগত স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্থান দেয়ার ক্ষেত্রে কেউ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধের ফলে প্রকাশ হয়ে পড়া দু-একটি ঘটনা থেকেই বোঝা যায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিরাই শুধু নন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরাও আখের গোছাতে মহাব্যস্ত। তাদের এভাবে দিনবদলে মত্ত হওয়াকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় না, কারণ তাদের সামনের বড়দেরই তারা অনুসরণ করছেন।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সরকার দলীয় সদস্যরা। সাবেক জাসদ নেতা, পরিবহন ব্যবসায়ী ও একচ্ছত্র সড়ক পরিবহন নেতা শাহজাহান খান পিতার মৃত্যুর পর মাদারিপুর থেকে পর পর ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সব সরকারের আমলেই তার দাপুটে উপস্থিতি টের পাওয়া যেত। বিআরটিএর দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বাধীন শ্রমিক ফেডারেশন প্রায়ই দলবল নিয়ে পথে নেমে আসে। ফলে বিআরটিএকে সবদিক সামলে চলতে হয়। অন্যদিকে ফেডারেশনভুক্ত শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার দাপট দেখাবার এন্তার অভিযোগ। মন্ত্রী হয়ে তিনি এসব ক্ষেত্রে কতদূর কী করেছেন সেটা অবশ্য জানা যায়নি। বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ এবং বিআরটিসি বাস চলাচলের বিরুদ্ধে বেসরকারি বাস মালিক ও শ্রমিকদের একাট্টা ভূমিকা কোনো সরকারই ভাঙতে পারেনি। বাস্তব কারণে শাহজাহান খানের পক্ষেও কার্যকর ভূমিকা পালন সম্ভব হয়নি। কারণ, তিনি শুধু পরিবহন শ্রমিক-মালিক নেতাই নন, একজন প্রভাবশালী পরিবহন ব্যবসায়ীও বটে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সরকার দলীয় সদস্য এসব কারণেই প্রকাশ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন। অবশ্য মন্ত্রী শাহজাহান খানও তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তার অভিযোগও ফেলনা নয়।
খোদ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১০ মন্ত্রী-সচিবসহ গঠিত দেশের নদী খনন সংক্রান্ত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব শাহজাহান খান। নদ-নদী দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক নাব্য নিশ্চিত করাই এর কাজ। দেখা গেছে, গলাচিপার সরকার দলীয় এমপি গোলাম মওলা রনি টেস্ট রিলিফের গম দিয়ে স্থানীয় রামনাবাদ নদী ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এর বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের দৃঢ় অবস্থানের কারণেই তিনি নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে লেগেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রী-এমপি কেউ কারও চেয়ে কম যান না। মহাজোট সরকারে এ ধরনের মন্ত্রী-এমপির সংখ্যা কত সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। নিজেদের অপকর্মে হাত পড়াতে এভাবে যদি ঝোলার বিড়াল বেরিয়ে পড়তে শুরু করে তাহলে সেটা হবে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। সদা তত্পর বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের বিরুদ্ধেও এবার নতুন অভিযোগ উঠেছে। সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব অস্বীকার করা এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে শতভাগ ব্যর্থতার সঙ্গে এবারে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক শীতলক্ষ্যা নদী তীরের অবৈধ জেটিগুলো উচ্ছেদের অভিযান ঠেকাতে গিয়ে তিনি নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন। নদী সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব হিসেবে নৌমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি সিটি গ্রুপসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জেটি উচ্ছেদ না করার সুপারিশ করেন। অর্থাত্ দেখা যাচ্ছে দিনবদলের মহাজোট সরকারের মন্ত্রী-এমপি সবাই ব্যক্তিগত স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্থান দেয়ার ক্ষেত্রে কেউ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধের ফলে প্রকাশ হয়ে পড়া দু-একটি ঘটনা থেকেই বোঝা যায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিরাই শুধু নন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরাও আখের গোছাতে মহাব্যস্ত। তাদের এভাবে দিনবদলে মত্ত হওয়াকে খুব একটা দোষ দেয়া যায় না, কারণ তাদের সামনের বড়দেরই তারা অনুসরণ করছেন।
No comments