আমরা প্রধান বিচারপতির দিকে তাকিয়ে-বিচারপতিদের সম্পদের বিবরণী
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিম স্বচ্ছতার স্বার্থে উচ্চ আদালতের বিচারকদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশে যে গুরুত্ব আরোপ করেছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। অনেক বিলম্বে হলেও এ রকম সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতি ধন্যবাদপ্রাপ্য।
তবে এখন দেখার বিষয় হলো, বিচারপতিরা জনগণের সামনে ঠিক কবে নাগাদ তাঁদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেন।
জরুরি অবস্থার সময় অধস্তন আদালতের বিচারকদের কাছ থেকে সম্পদের বিবরণী নেওয়া হয়েছিল। এসব বিবরণী যাচাই ও মূল্যায়ন করার উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। বিচার বিভাগ পৃথক্করণের পরও সংবিধান অনুযায়ী বিষয়টি যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার দায়িত্ব হাইকোর্ট বিভাগের। কিন্তু আমরা বেদনা ও পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করি, এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ নীরবতা পালন করে চলেছেন। প্রায় ৮০ জন বিচারপতি নিয়ে গঠিত ফুলকোর্টের সভার আলোচ্যসূচি হিসেবে এ বিষয়টি অবিলম্বে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
প্রতিবেশী ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সম্প্রতি তাঁদের সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দিয়েছেন। লক্ষণীয় যে তা কেবল নিজেদেরই নয়, একই সঙ্গে তাঁরা তাঁদের পোষ্যদের সম্পদসংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করেছেন। সেখানে আদালতের তরফে একটা প্রশ্ন তোলা হয়েছিল যে উচ্চ আদালতের বিচারকেরা এ তথ্য জনগণের সামনে প্রকাশ করবেন কি না। সেই তর্কের একটা অবসান ঘটেছে। বিচারপতিরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তাঁদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করছেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পর বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলোর বিচারকেরা তাঁদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করছেন।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদের আওতায় ২০০৩ সালে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য পালনীয় আচরণবিধিতে প্রথমবারের মতো সম্পদের বিবরণীর কথা নির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত হয়। এতে বলা আছে, প্রধান বিচারপতি প্রয়োজন মনে করলে বিচারকদের তাঁদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে আহ্বান জানাবেন। আজ সাত বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু সম্পদের বিবরণী কোনো প্রধান বিচারপতিই চাইলেন না। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রধান বিচারপতি শপথ নিয়েই সাংবাদিকদের কাছে সম্পদের বিবরণী প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরলেন। সুতরাং আমরা একান্তভাবে আশা করতে পারি, অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি সংবিধান ও আইনে তাঁর ওপর দেওয়া অর্পিত কর্তব্যের ডাকে সাড়া দিয়ে বিচারকদের কাছে সম্পদের বিবরণী চাইবেন এবং যথাসময়ে তা জনগণের কাছে প্রকাশ করবেন।
বর্তমান জাতীয় সংসদে পাস হওয়া তথ্য অধিকার আইনের আওতায় এ ধরনের তথ্য জানার অধিকার নাগরিকেরা সংরক্ষণ করে। আমাদের জানামতে, কোনো কর্মরত প্রধান বিচারপতির তরফে সম্পদের বিবরণী প্রকাশসংক্রান্ত ঘোষণা এই প্রথম। আইন তাঁকেই তা বাস্তবায়নের সুযোগ দিয়ে রেখেছে। আমরা প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে যথা উদ্যোগের অপেক্ষায় থাকলাম।
জরুরি অবস্থার সময় অধস্তন আদালতের বিচারকদের কাছ থেকে সম্পদের বিবরণী নেওয়া হয়েছিল। এসব বিবরণী যাচাই ও মূল্যায়ন করার উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। বিচার বিভাগ পৃথক্করণের পরও সংবিধান অনুযায়ী বিষয়টি যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার দায়িত্ব হাইকোর্ট বিভাগের। কিন্তু আমরা বেদনা ও পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করি, এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ নীরবতা পালন করে চলেছেন। প্রায় ৮০ জন বিচারপতি নিয়ে গঠিত ফুলকোর্টের সভার আলোচ্যসূচি হিসেবে এ বিষয়টি অবিলম্বে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
প্রতিবেশী ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সম্প্রতি তাঁদের সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দিয়েছেন। লক্ষণীয় যে তা কেবল নিজেদেরই নয়, একই সঙ্গে তাঁরা তাঁদের পোষ্যদের সম্পদসংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করেছেন। সেখানে আদালতের তরফে একটা প্রশ্ন তোলা হয়েছিল যে উচ্চ আদালতের বিচারকেরা এ তথ্য জনগণের সামনে প্রকাশ করবেন কি না। সেই তর্কের একটা অবসান ঘটেছে। বিচারপতিরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তাঁদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করছেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পর বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলোর বিচারকেরা তাঁদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করছেন।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদের আওতায় ২০০৩ সালে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য পালনীয় আচরণবিধিতে প্রথমবারের মতো সম্পদের বিবরণীর কথা নির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত হয়। এতে বলা আছে, প্রধান বিচারপতি প্রয়োজন মনে করলে বিচারকদের তাঁদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে আহ্বান জানাবেন। আজ সাত বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু সম্পদের বিবরণী কোনো প্রধান বিচারপতিই চাইলেন না। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমান প্রধান বিচারপতি শপথ নিয়েই সাংবাদিকদের কাছে সম্পদের বিবরণী প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরলেন। সুতরাং আমরা একান্তভাবে আশা করতে পারি, অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি সংবিধান ও আইনে তাঁর ওপর দেওয়া অর্পিত কর্তব্যের ডাকে সাড়া দিয়ে বিচারকদের কাছে সম্পদের বিবরণী চাইবেন এবং যথাসময়ে তা জনগণের কাছে প্রকাশ করবেন।
বর্তমান জাতীয় সংসদে পাস হওয়া তথ্য অধিকার আইনের আওতায় এ ধরনের তথ্য জানার অধিকার নাগরিকেরা সংরক্ষণ করে। আমাদের জানামতে, কোনো কর্মরত প্রধান বিচারপতির তরফে সম্পদের বিবরণী প্রকাশসংক্রান্ত ঘোষণা এই প্রথম। আইন তাঁকেই তা বাস্তবায়নের সুযোগ দিয়ে রেখেছে। আমরা প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে যথা উদ্যোগের অপেক্ষায় থাকলাম।
No comments