ভাড়ায়চালিত বাইকে মেয়েরা কতটা নিরাপদ by মরিয়ম চম্পা
দ্রুত
গন্তব্যে পৌঁছাতে এখন অনেকে অ্যাপ ভিত্তিক ভাড়ায় চালিত মোটরবাইকে চলাচল
করছেন। ভাড়ায় মোটরবাইক চালাচ্ছেন অনেক নারী রাইডারও। এছাড়া সাধারণ
বাইকারদের বাইকেও যাতায়াত করছেন অনেক নারী। রাজধানীর শেরেবাংলা
নগর এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মারা যান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য। তিনি ভাড়ায় চালিত একটি মোটরবাইকে করে
বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। তার এমন মৃতুর পর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নারীদের
এভাবে মোটরবাইকে চলাচল কতোটা নিরাপদ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারীদের
গণপরিবহনে চলাচল করা এমনিতে নানা কারণে অনিরাপদ। মোটরবাইকে চলাচলটা আরও
অনিরাপদ।
সংশ্লিষ্টদের মতে শুধু নারী না, নিয়ম কানুন না থাকায় ভাড়ায় চালিত মোটরবাইকে চলাচল অন্য যাত্রীদের জন্যও তেমন নিরাপদ না। কারণ চালকদের অনেকের প্রশিক্ষণ নেই। অনেকে রাজধানীর সড়ক সম্পর্কে যথেষ্ট পরিচিত নয়।
ব্র্যাকের করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ১৯ শতাংশ প্রাণ যায় বাস বা অন্য যানের যাত্রীদের। মোটরসাইকেল বা থ্রী হুইলার আরোহী মারা যান ১৬ শতাংশ। ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হওয়া দুর্ঘটনা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সড়ক দুর্ঘটনা ইনস্টিটিউট (এআরআই) বলছে, ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনার পেছনে অতিরিক্ত গতি ও চালকের বেপরোয়া মনোভাব দায়ী। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, এখানে সামাজিক নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করছি। রোড সেফটির প্রশ্নে মোটরসাইকেলের যাত্রীর জন্য বড় বিষয় হচ্ছে হেলমেট। এক্ষেত্রে যাত্রী যেন মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করে। হেলমেটের ভেতরে যেন অবশ্যই কোশন থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক বলেন, ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে প্রথম দিকে আমরা এই ধরনের পরিবহনগুলোকে স্বাগত জানিয়েছি। পাঠাও অথবা উবারের মাধ্যমে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরামদায়কভাবে ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় এগুলো যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে বিশেষ করে রাজধানীতে মেয়েদের পরিবহন হিসেবে আমাদের সমাজ এটাকে ওভাবে সমর্থন করেনা। পাশাপাশি রোড সেফটিরও একটি বিষয় থেকে যায়। আমরা সম্প্রতি যে ঘটনাগুলো দেখছি তারই প্রেক্ষিতে বলতে চাই এসব পরিবহনকে অবশ্যই মনিটরিং এর মধ্যে আনতে হবে। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, মোটরসাইকেলে চড়ে যাত্রী যাতায়াতের ব্যবস্থা এটা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এটা কোনো নিরাপদ বাহন হতে পারে না। পরিবহন চালক হিসেবে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে যেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে না। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, মহাসড়কে ১০টি মোটরসাইকেল একটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। ১০টি মোটরসাইকেলে যাত্রী নেয় ১০ জন। আর একটি বাসে যাত্রী নেয় ৬০ জন। রাজধানীতে সড়কে জায়গার অভাব থাকা সত্ত্বেও আমরা মোটরসাইকেল দিয়ে সারা ঢাকা শহর ভরে ফেলেছি। যেখানে কিছু সংখ্যক বাস দিয়ে এই যাত্রীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায়। আমি মনে করি, মোটরসাইকেলে মেয়েদের যাতায়াতে নিরাপত্তাতো নেইই। পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও এটা ঝুঁকিপূর্ণ। যদি সাময়িকভাবে মোটরসাইকেলকে গণপরিবহন হিসেবে রাখা হয় সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম মনে করেন নানা কারণেই ভাড়ায় চালিত সাধারণ বাইকে মেয়েদের যাতায়াত নিরাপদ নয়। এ কারণে তাদের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেশি।
সংশ্লিষ্টদের মতে শুধু নারী না, নিয়ম কানুন না থাকায় ভাড়ায় চালিত মোটরবাইকে চলাচল অন্য যাত্রীদের জন্যও তেমন নিরাপদ না। কারণ চালকদের অনেকের প্রশিক্ষণ নেই। অনেকে রাজধানীর সড়ক সম্পর্কে যথেষ্ট পরিচিত নয়।
ব্র্যাকের করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ১৯ শতাংশ প্রাণ যায় বাস বা অন্য যানের যাত্রীদের। মোটরসাইকেল বা থ্রী হুইলার আরোহী মারা যান ১৬ শতাংশ। ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হওয়া দুর্ঘটনা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সড়ক দুর্ঘটনা ইনস্টিটিউট (এআরআই) বলছে, ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনার পেছনে অতিরিক্ত গতি ও চালকের বেপরোয়া মনোভাব দায়ী। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, এখানে সামাজিক নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করছি। রোড সেফটির প্রশ্নে মোটরসাইকেলের যাত্রীর জন্য বড় বিষয় হচ্ছে হেলমেট। এক্ষেত্রে যাত্রী যেন মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করে। হেলমেটের ভেতরে যেন অবশ্যই কোশন থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক বলেন, ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে প্রথম দিকে আমরা এই ধরনের পরিবহনগুলোকে স্বাগত জানিয়েছি। পাঠাও অথবা উবারের মাধ্যমে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরামদায়কভাবে ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় এগুলো যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে বিশেষ করে রাজধানীতে মেয়েদের পরিবহন হিসেবে আমাদের সমাজ এটাকে ওভাবে সমর্থন করেনা। পাশাপাশি রোড সেফটিরও একটি বিষয় থেকে যায়। আমরা সম্প্রতি যে ঘটনাগুলো দেখছি তারই প্রেক্ষিতে বলতে চাই এসব পরিবহনকে অবশ্যই মনিটরিং এর মধ্যে আনতে হবে। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, মোটরসাইকেলে চড়ে যাত্রী যাতায়াতের ব্যবস্থা এটা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এটা কোনো নিরাপদ বাহন হতে পারে না। পরিবহন চালক হিসেবে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে যেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে না। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, মহাসড়কে ১০টি মোটরসাইকেল একটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। ১০টি মোটরসাইকেলে যাত্রী নেয় ১০ জন। আর একটি বাসে যাত্রী নেয় ৬০ জন। রাজধানীতে সড়কে জায়গার অভাব থাকা সত্ত্বেও আমরা মোটরসাইকেল দিয়ে সারা ঢাকা শহর ভরে ফেলেছি। যেখানে কিছু সংখ্যক বাস দিয়ে এই যাত্রীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায়। আমি মনে করি, মোটরসাইকেলে মেয়েদের যাতায়াতে নিরাপত্তাতো নেইই। পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও এটা ঝুঁকিপূর্ণ। যদি সাময়িকভাবে মোটরসাইকেলকে গণপরিবহন হিসেবে রাখা হয় সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম মনে করেন নানা কারণেই ভাড়ায় চালিত সাধারণ বাইকে মেয়েদের যাতায়াত নিরাপদ নয়। এ কারণে তাদের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেশি।
No comments